বৌবাজার এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে বিজেপি কর্মীদের
কলকাতা:
বিজেপির লালবাজার অভিযানকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়। এদিন লাঠিচার্জ, জল কামানের পাশাপাশি কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ। অন্যদিকে, পাথর ছোঁড়ে বিক্ষোভকারীরা। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টেয় রাজভবনে রাজ্যের প্রধান চারদলকে নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যপাল যেহেতু একটি “সাংবিধানিক পদাধিকারী”, সেই কারণে, বৈঠকে যোগ দেবে তারা।
এখানে রইল ১০'টি তথ্য:
বুধবার বিকেলে বিজেপির লালবাজারগামী মিছিলে বৌবাজারে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় পুলিশের। বিজেপি কর্মীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে, কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ, সঙ্গে জল কামান ছোঁড়া হয়। পাল্টা পুলিশ আধিকারিকদের লক্ষ্য করে পাথর এবং বোতল ছোঁড়ে বিজেপি কর্মীরা।
শনিবার বসিরহাটে দুই কর্মী এবং বিজেপির দাবি মতো,বিগত কয়েক সপ্তাহে তাদের কর্মীদের মৃত্যুর প্রতিবাদে এদিনের প্রতিবাদ মিছিল বিজেপির।
মিছিলে যোগদান করেন দলের নবনির্বাচিত ১৮ জন সাংসদ, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, এবং বর্ষীয়ান নেতা মুকুল রায়।
বৃহস্পতিবার বিকেল চারটেয় রাজ্যের চার প্রধান দলের নেতাদের বৈঠকে ডেকেছেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী।
তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যপালের ডাকা বৈঠকে যোগ দেবে কিনা, সে সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আগামিকাল রাজ্যপালের বৈঠকে আমরা যোগ দেব। রাজ্যপাল একজন সাংবিধানিক পদাধিকারী। তাঁর সম্পর্কে আমরা কিছু বলব না”।
তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলে থাকবেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিজেপির তরফে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সিপিএমের সূর্যকান্ত মিশ্র, কংগ্রেসের তরফে সোমেন মিত্র বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাতের আবহ তৈরি হয়। রাজ্যপালকে “বিজেপির ব্লক সভাপতি” বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করা সম্পর্কিত আর্টিকেল ৩৫৬ জারি করার জল্পনার মধ্যেই চলতি সপ্তাহের শুরু তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী।
.
লোকসভা নির্বাচন থেকে রাজ্যের মৃতের সংখ্যা সম্পর্কে রাজ্যপালকে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, রাজ্যপালের দাবি, ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যদিও মৃতের সংখ্যা ১০, তারমধ্যে ৮ জন তৃণমূল কর্মী।
সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৪২ আসনের মধ্যে নিজেদের বেশ কতগুলো আসন হারিয়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে যেখানে তারা পেয়েছিল ৩৪ আসন, এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে ২২। অন্যদিকে, ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে পাওয়া বিজেপির আসন সংখ্যা ২ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৮।
Post a comment