This Article is From Nov 14, 2019

Jawaharlal Nehru: জওহরলাল নেহরুর পাঁচ সিদ্ধান্ত বদলে দিয়েছিল ভারতের ছবি

Children's Day India: ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু জানতেন, শিশুরাই দেশের ভবিষ্যত

Jawaharlal Nehru: জওহরলাল নেহরুর পাঁচ সিদ্ধান্ত বদলে দিয়েছিল ভারতের ছবি

Jawaharlal Nehru: পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সূচনা করেছিলেন নেহেরু .

নিউদিল্লি:

Children's Day India: ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু (Jawaharlal Nehru Jayanti) জানতেন, শিশুরাই দেশের ভবিষ্যত। তাই কীভাবে তাদের যত্ন নেওয়া যায়, তাদের কী কী প্রয়োজন--- এই বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি ছিল তাঁর। ছোটদের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ তিনি কখনোই ছাড়তেন না। বাচ্চারাও তাই ভালোবেসে তাঁকে ডাকত 'চাচা' নেহরু বলে ডাকত। সেই ভালোবাসা উদযাপনের দিন আজ। ১৪ নভেম্বর নেহরু জন্মজয়ন্তীর (Jawaharlal Nehru Birthday) পাশাপাশি দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে শিশুদিবস। রাষ্ট্রসংঘ ১৯৫৪ সালের ২০ নভেম্বর দিনটিকে শিশু দিবস হিসাবে পালনের জন্যে ঘোষণা করেছিল । সেই ঘোষণা অনুযায়ী এ দেশেও পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর মৃত্যুর আগে পর্যন্ত ২০ নভেম্বর দিনটিই শিশু দিবস হিসাবে পালিত হয়ে ছিল। তবে ১৯৬৪ সালের ২৭ মে, পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর প্রয়াণের পর সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে প্রতি বছর ১৪ নভেম্বর, শিশুদের প্রিয় চাচা নেহেরুর জন্মদিনটিকেই শিশু দিবস হিসাবে উদযাপন করা হবে ভারতে। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় চাচা নেহেরু যে ভূমিকা পালন করেছিলেন তা স্বাধীন ভারতের সমস্ত প্রজন্ম মনে রাখবে।  স্বাধীন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর পদে বসানো হয় তাঁকে।  এই পদে বসার সাথে সাথে তিনি শক্ত হাতে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তৎকালীন সময়ে সেই নিয়ে বিদ্রুপ করা হলেও পরবর্তীকালে দেখা গেছে,  ভারতের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে তোলার জন্য তাঁর এই ধরনের পদক্ষেপ গুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।  ভারতকে নতুন রূপে গড়ে তোলার জন্য তিনি কি কি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, এক ঝলকে সেগুলি দেখে নিন: 

১. নেহেরু ভারতকে 'নতুন মন্দির' দিয়েছিলেন:

আধুনিক ভারত গড়ে তোলার জন্য জওহরলাল নেহরুর অবদান ভারত কোনো দিনই ভুলতে পারবে না।  এই কারণেই তাঁকে ''আধুনিক ভারতের শ্রষ্ঠা'' বলে হয়।  শিক্ষা থেকে শিল্প সব দিকেই ছিল তাঁর নজর।  তিনি আইআইটি এবং আইআইএমের মতো বিশ্ববিদ্যালয় গুলি স্থাপন করেছিলেন। সেই সাথে বহু শিল্প গড়ে তুলেছিলেন তিনি। তাঁর তত্বাবধানেই ভাখরা নাঙ্গল বাঁধ, রিহান্দ বাঁধ এবং বোকার ইস্পাত কারখানা গড়ে উঠেছিল। এই শিল্প গুলোকেই তিনি আধুনিক ভারতের মন্দির বলে মনে করতেন।     

২. পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সূত্রপাত:

জওহরলাল নেহেরু ছিলেন দূরদৃষ্টি সম্পন্ন মানুষ, নিচের এই দূরদৃষ্টিতার জোরেই পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সূত্রপাত করেছিলেন তিনি, আজ এই পরিকল্পনার জোরে লাভবান হচ্ছে দেশ।  ১৯৫১-৫৬ -তে প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সূচনা হয়েছিল। প্রথম দিকে এই পরিকল্পনা কতটা সার্থক হবে সেই নিয়ে সকলের মনেই সংশয় ছিল, কিন্তু ১৯৫৬ সালে ফলাফল দেখার পর আশার আলো জ্বলে সকলের মনে।  এই প্রকল্পের জেরে সেই সময় ভারত ৩.৬ শতাংশ বিকাশ লাভ করতেস ক্ষমা হয়েছিল। সেই সাথে মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ ও বাড়তে থাকে। কৃষির কথা মাথায় রেখে গড়ে তোলা হয়েছিল প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, আর দ্বিতীয় ক্ষেত্রে মাথায় রাখা হয়েছিল শিল্পকে। 


৩. দৃঢ় প্রজাতন্ত্রের প্রতি আস্থা ছিল তাঁর:

দেশে সর্বপ্রথম সাধারণ নির্বাচন হয় ১৯৫২ সালে।   ১৯৫৭ ও ১৯৬২ -তে ভোটে জয়লাভ করার পরেও বিরোধীদের যথাযোগ্য সম্মান দিতেন তিনি। সেই সময় বহু লোক বহু ভাবে তাঁর সমালোচনা করতেন, কিন্তু তিনি কোনোদিন সেই সবা নিয়ে মাথা ঘামাননি। বিরোধী নেতারা যখন তাঁর সমালোচনা করতেন তখন তিনি তাদের গুণ গান গাইতেন।  

৪. 'এক ভারত, অখন্ড ভারত' তৈরী করেছিলেন তিনি: 

দক্ষিণ ভারত যখন পৃথক দেশ হিসাবে নিজেদের গড়ে তোলার দাবি জানাচ্ছিল, তখন তিনি 'এক ভারত, অখন্ড ভারত'-এর কথা বলেছিলেন। দ্রাবিড়নাড়ুতে সেই সময় আনন্দোলন শুরু হয়েছিল, কিন্তু সেই রকম টালমাটাল অবস্থাতে দাঁড়িয়েও তিনি 'অখন্ড ভারতের' কথা বলে গেছেন। তিনি সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে এই বিষয়টিকে আরও জোরালো করে তোলেন।''আমি ভারতের স্বাধীনতা ও অখন্ডতা বজায় রাখব''-এমন শপথ বাক্য পাঠের মধ্যে দিয়েই সকলের মুখ চুপ করিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।  

৫. আজও চলছে নেহেরুর বিদেশ নীতি: 

স্বাধীন ভারতের সত্ত্বা অটুট রাখার জন্য নেহরু চাইতেন, যেন ভারতকে অন্য কোনো দেশের চাপ হয় করতে না হয়। দ্বেষ নিজের সত্ত্বা বজায় রাখবে, অন্য দেশের বিষয়ে মাথা গলাবে না এই রকম পাঁচটি নীতির দ্বারা শান্তি স্থাপনের কথা বলে গেছেন তিনি। তিনি চেয়েছিলেন ভারত নিজের স্বাধীন বিদেশ নীতি বজায় রাখবে, কখনই তার বিসর্জন দেবে না।   

Click for more trending news


.