This Article is From Feb 06, 2020

"নেহেরু কি হিন্দু রাষ্ট্র চেয়েছিলেন?" দেশভাগ নিয়ে কংগ্রেস-নেহরুকে তোপ মোদির

একজন প্রধানমন্ত্রী হয়ে চেয়েছিলেন, তাই দেশভাগ হয়েছে। বৃহস্পতিবার সংসদে ভাষণ দিতে গিয়ে নাম না করে এভাবে জওহরলাল নেহেরুকে তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী

উদ্বাস্তু সমস্যায় জর্জরিত দু'দেশের মধ্যে একটা বোঝাপড়া তৈরি করতে স্বাক্ষরিত হয়েছিল নেহেরু-লিয়াকত চুক্তি।

হাইলাইটস

  • "একজন প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, তাই দেসভাগ হয়েছিল"
  • নাম না করে নেহেরুকে খোঁচা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির
  • সিএএ'র সমর্থনে বলতে গিয়ে তিনি নেহেরু-লিয়াকত চুক্তির প্রসঙ্গ টানেন
নয়াদিল্লি:

একজন প্রধানমন্ত্রী হয়ে চেয়েছিলেন, তাই দেশভাগ (Partition) হয়েছে। বৃহস্পতিবার সংসদে ভাষণ দিতে গিয়ে নাম না করে এভাবে জওহরলাল নেহেরুকে তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)। এদিন তিনি রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর চলা বিতর্কে অংশ নেন। নিজের বক্তৃতায় কংগ্রেসকে তুলোধোনা করতে নেহেরু (Jawaharlal Nehru), দেশভাগ, ৭৫-এর জরুরি অবস্থা ও শিখ দাঙ্গার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন নরেন্দ্র মোদি। সংশোধিত নাগরকিত্ব আইনের (citizenship law) সমর্থনে এভাবেই এদিন সংসদকে বেছে নিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister)।  এদিন তিনি সেই বিতর্কে অংশ নিয়ে বলেন, "একজনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে মানচিত্রে দাগ কাটা হয়েছিল আর ভারতকে দু'ভাগ করা হয়েছিল।" কে এই একজন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন অবশ্যই পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু। তবে এখানেই থেমে থাকেননি নরেন্দ্র মোদি। তিনি আরও আক্রমণাত্মক হয়ে বলেছেন, দেশভাগের পর যেভাবে সে দেশে হিন্দু, শিখ সংখ্যালঘুরা নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, তা অকল্পনীয়। 

রাম জন্মভূমি নিয়ে আজও সমস্যা থেকেই যেত কংগ্রেসের পথে চললে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী

১৯৫০-এর নেহেরু-লিয়াকত আলি চুক্তির প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, "সেই চুক্তিতে উল্লেখ ছিল পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের সঙ্গে ভেদাভেদ করা যাবে না। আপনাদের কাছে নেহেরু বড় দূরদর্শী, ধর্মনিরপেক্ষ একজন লোক।" কিন্তু তিনি সেই চুক্তিতে সব নাগরিক প্রসঙ্গ উল্লেখ না করে, কেন শুধু সংখ্যালঘু প্রসঙ্গ টেনেছিলেন? এদিন প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী। দেশ ভাগের পর উদ্বাস্তু সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়ে দুটি দেশ। সেই সমস্যা সুষ্ঠ উদ্বাস্তু নীতি প্রণয়নে স্বাক্ষরিত হয় নেহেরু-লিয়াকত চুক্তি। 

Lok Sabha:"গান্ধিজি আপনাদের জন্যে ট্রেলার হতে পারেন, আমাদের কাছে জীবন", বললেন মোদি

এমনকি এদিন তিনি ১৯৫০-এ অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা এক চিঠির প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। সেই চিঠিতে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু বলেছিলেন, "আপনাকে হিন্দু উদ্বাস্তু আর মুসলিম শরণার্থীদের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে হবে।" এমনকি, সে বছর সংসদে দাঁড়িয়ে উনি বলেছিলেন, "কোনও সন্দেহ নেই, যারা ভারতের শরণার্থী হতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁদের নাগরিকত্ব দিতেই হবে। যদি চলতি আইন সেই দাবি না মেটায়, তাহলে আমাদের আইন সংশোধন করতে হবে।" প্রধানমন্ত্রী এদিন প্রশ্ন তোলেন, "তাহলে এই নিদর্শন কি প্রমাণ করছে, নেহেরু সাম্প্রদায়িক ছিলেন? আমি জানতে চাই। উনি কি হিন্দু আর মুসলিমদের মধ্যে বিভেদ করছিলেন? নেহেরু কি হিন্দু রাষ্ট্র চেয়েছিলেন?"

.