Read in English
This Article is From Dec 05, 2019

ফসলের ক্ষতিপূরণ চাইতে দীর্ঘ লাইন! অপেক্ষা করতে করতেই প্রাণ হারালেন এ রাজ্যের বৃদ্ধ কৃষক

৬২ বছর বয়সী ওই কৃষক গণেশ নাইয়া সোমবার সকাল ৮ টা থেকে জয়নগর-১ বিডিও কার্যালয়ের সামনে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

পাঁচ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে করতে হঠাৎই নিচে পড়ে যান গণেশ।

কলকাতা :

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের (cyclone Bulbul) কারণে এ রাজ্যে প্রাণহানির চেয়েও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ফসলের। আর সেই ফসলের ক্ষতিপূরণ চাইতে গিয়েই মৃত্যু হল রাজ্যের কৃষকের। গত মাসে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে সমস্ত ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার পরে সরকারি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য পাঁচ ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করার পরেই প্রাণ হারান দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ওই কৃষক। পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন ৬২ বছর বয়সী ওই কৃষক গণেশ নাইয়া (Ganesh Naiya) সোমবার সকাল ৮ টা থেকে জয়নগর-১ (Joynagar-1) বিডিও কার্যালয়ের সামনে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন।

আরও পড়ুনঃ Cyclone Bulbul: প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস সত্ত্বেও এখনও মেলেনি কেন্দ্রীয় সহায়তা, বললেন মুখ্যমন্ত্রী

“আমার বড় ভাই আমার সামনেই লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। বিশাল লম্বা লাইন পড়েছিল। পাঁচ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন দাদা। অপেক্ষা করতে করতে হঠাৎ করেই তিনি নিচে পড়ে গেলেন। আমরা দাদাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলাম। সেখানেই চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন,” বলেন মৃতের ভাই শেখর নাইয়া।

Advertisement

আরও পড়ুনঃ কেন্দ্রীয় দলকে ঘূর্ণিঝড়  ''বুলবুল''-এর ফলে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব দিল রাজ্য

যৌথ বিডিও বিপ্লব কুমার পাল পরে শোকগ্রস্থ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন, তাদের সান্ত্বনা জানান। পরিবারকে সরকারি সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। বিপ্লব কুমার পাল গণমাধ্যমকে বলেন, “আমরা যতটুকু সরকারিভাবে সমর্থন করতে পারি পরিবারকে সমস্তভাবে সেসব দেওয়ার চেষ্টা করব।"

Advertisement

গত ৯ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় বুলবুল রাত্রি সাড়ে ৮ টা থেকে সাড়ে ১১ টার মধ্যে সুন্দরবনের ধাঞ্চি বনের কাছ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করে এবং পরে দুর্বল ঘূর্ণিঝড় ঝড় হিসাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে ১৫ লক্ষ হেক্টর জমিতে ধান এবং সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

Advertisement