বায়ুসেনার লক্ষ্য ছিল জঙ্গি, তাদের ঘাঁটি নয় : বায়ুসেনা প্রধান
দ্রাস, জম্মু-কাশ্মীর: শক্রবার, ২৬ জুলাই, 'কার্গিল দিবস'। এই বিশেষ দিনে সারা দেশ স্মরণ করছে দেশের সেই সমস্ত বীর জওয়ানদের, যারা নিজেদের প্রাণের বিনিময়ে রক্ষা করে যাচ্ছেন এই দেশকে। ভারতীয় বায়ু সেনা প্রধান বিএস ধানোয়া জানিয়ে দিয়েছেন, ''আমরা যদি আগে থেকে বালাকোটের 'প্রোপ্যাগন্ডা' সম্পর্কে জানতে পারতাম তাহলে এমন বোমা ফেলা হত, যাতে সম্পূর্ণ ঘাঁটিই ধ্বংস হয়ে যেত। ''
চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় বায়ুসেনা জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা লঙ্ঘন করে মিরাজ-২০০০ নিয়ে ঢুকে পড়ে পাকিস্তানের মধ্যে, আর সেখানে গিয়ে বালাকোটে অবস্থিত জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির ধ্বংস করতে সক্ষম হয়। এই কাজের জন্য ভারতের পক্ষ থেকে স্পাইস ২০০০ বোমের পেনেট্রেটর ভার্সান ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে এই হাতিয়ার সম্পূর্ণ রূপে ধ্বংস করতে পারেনি জঙ্গি শিবিরকে।
শুক্রবার কার্গিল যুদ্ধের কুড়ি বছর পূরণ হল। এইদিনে ভারত দেখেছিল বিরাট জয়ের মুখ, NDTV কে বায়ুসেনা প্রধান জানিয়েছেন, ''বালাকোটে এমন বোমা ব্যবহার করা উচিত ছিল, যাতে এই জঙ্গি প্রশিক্ষণ ঘাঁটি সম্পূর্ণ রূপে ধ্বংস হয়ে যেত। আসলে এই ঘটনার সাক্ষ্যপ্রমাণ হিসাবে ভারতীয় সেনা ভিডিও দিতে অপারগ হওয়ায় বহু সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল, রাজনৈতিক মহলে বয়ে গেছিল প্রশ্নের ঝড়। আসলে পরেরদিন স্যাটেলাইট থেকে যে চিত্র পাওয়া গেছিল, তাতে করে মনে হচ্ছিল ধ্বংসের পরিমান ছিল খুবই সামান্য, আর সেই কারণেই জল্পনার জাল আরও ঘনীভূত হতে থাকে।
এই ঘটনার পর যে সমস্ত সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল সেই সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে বায়ুসেনা প্রধান পরিষ্কার ভাষায় জানিয়েছেন, যদি ভারতীয় স্যাটেলাইট থেকে এই হামলার ছবি নেওয়া হোত, তাহলে খুবই ভালো হোত। তিনি জানিয়েছেন, ''আমাদের স্যাটেলাইটের ওপর ভরসা ছিল, কিন্তু সেই সময় মেঘাচ্ছন্ন হওয়ার জন্য অসুবিধা হয়ে যায়।... এটা তো যুদ্ধ, সর্বদা সবকিছু পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারেই হবে তার কোনো মানে নেই। আমরা আসলে আতঙ্কবাদীদের মারতে গেছিলাম, এই ঘাঁটি ভাঙা আমাদের উদ্দেশ্য ছিল না।''