This Article is From Feb 09, 2019

উত্তর-পূর্ব ভারতের গায়ে কাউকে হাত দিতে দেব না আমি, অসমের সভা থেকে হুঙ্কার মোদীর

‘ভারতমাতা কি জয়’ ধ্বনি উঠতে থাকে জনসভায় উপস্থিত হাজার-হাজার জনতার কণ্ঠ থেকে। মোদী সেই দিকে তাকিয়ে বলেন, অসমে যখন এসেছি, আমি অসমের বাসিন্দাদের সঙ্গে আজ নাগরিক বিল নিয়েও কথা বলব।

উত্তর-পূর্ব ভারতের গায়ে কাউকে হাত দিতে দেব না আমি, অসমের সভা থেকে হুঙ্কার মোদীর

অসমের গুয়াহাটির কাছে চাংসারির জনসভায় বক্তৃতা দেন নরেন্দ্র মোদী।

গুয়াহাটি:

শনিবার উত্তর-পূর্ব ভারতের তিন রাজ্য অরুণাচল প্রদেশ, অসম ও ত্রিপুরায় সভা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই মুহূর্তে তিনি বক্তব্য পেশ করছেন অসমের চাংসারির এক বিরাট জনসভায়। ‘হর হর মোদী',  ‘বন্দেমাতরম', ‘মোদীজি জয় হো' ধ্বনিতে মেতে থাকা ওই সভামঞ্চ থেকে বিজেপি বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বললেন, বিজেপি-বিরোধী সব রাজনৈতিক দল ‘দলদল'(কাদা)-এ ডুবে গিয়েছে। ওদের আর ওই কাদা থেকে বেরোনোর কোনও উপায় নেই। মহাজোটের নামে ওরা দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার খেলায় মত্ত্ হয়ে উঠেছে। কিন্তু, যতদিন এখানে আমি রয়েছি, ততদিন আমার দেশের গায়ে ওদের একটা হাত লাগাতে দেব না।

‘ভারতমাতা কি জয়' ধ্বনি উঠতে থাকে জনসভায় উপস্থিত হাজার-হাজার জনতার কণ্ঠ থেকে। মোদী সেই দিকে তাকিয়ে বলেন, অসমে যখন এসেছি, আমি অসমের বাসিন্দাদের সঙ্গে আজ নাগরিক বিল নিয়েও কথা বলব। আপনারা আমাকে বলুন, ৩২ বছর ধরে ওরা কেন অসম অ্যাকর্ড পাশ করাতে পারল না? কী কারণ রয়েছে এর নেপথ্যে? ওরা সেটা সাহস থাকলে বুক ফুলিয়ে জানাক। নাগরিক বিল আমরা চালু করেছি, তা অসমের সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই। আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন। আমি থাকতে অসমের জনতার ক্ষতি হতে দেব না কিছুতেই। নাগরিক বিল নিয়ে একের পর এক ভুল তথ্য ছড়িয়ে দিয়েছে বিরোধীরা। মানুষকে খেপিয়ে তুলতে চাইছে ওরা। জানে না, মানুষ অত বোকা নয়। তারা সব বুঝতে পারে। তাদের বোকা বানানো তারা কিছুতেই মানবে না। মানুষ রয়েছে মোদীর সঙ্গেই।   ভাবুন একবার আপনারা, এসি ঘরে বসে ওরা ঠিক করছে মানুষ কী চায় বা না চায়!

তাঁর কথায়, উত্তর-পূর্বের মানুষ এখন আর সকালে ঘুম থেকে উঠেই হিংসার সাক্ষী থাকেন না। বরং, খবরের কাগজ খুলে দেখেন তাঁদের রাজ্যের উন্নয়ন ও প্রগতির খবর। কীভাবে এখন খবরের কাগজের শিরোনামগুলি বদলে যাচ্ছে তা লক্ষ করে দেখুন। এটাই সহ্য করতে পারছে না বিরোধীরা। এনডিএ সরকার উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির ভাষা, সংস্কৃতিকে আরও এগিয়ে যাওয়ার কাজে ব্রতী। কেউ এই লক্ষ্য থেকে আমাদের বিচ্যুত করতে পারবে না।

তিনি তাঁর বেশ খানিকক্ষণের বক্তৃতা শেষ করেন ভূপেন হাজারিকার গান গেয়ে।  

.