নির্ভয়া কাণ্ডের পর ফের প্রতিবাদের মুখ হয়ে উঠল রাজধানী (Delhi)। তেলেঙ্গানার ধর্ষকেরা শাস্তি পেয়েছে। উত্তরপ্রদেশের উন্নাও (Unnao) ধর্ষণ-হত্যা কাণ্ডের অপরাধীদের শাস্তি কবে হবে? এই প্রশ্নে শনিবারের সন্ধেয় উত্তাল হল দিল্লি। মোমবাতি হাতে এদিন বহু মানুষ প্রতিবাদে পথে নামে। একসময় বিক্ষোভ এতটাই বড় আকার নেয় যে প্রতিবাদীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে। ধ্বস্তাধ্বস্তি হয় পুলিশের সঙ্গেও। তখনই উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে জলকামানের সাহায্য নিতে হয় দিল্লি পুলিশকে।
''ন্যায়বিচার সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায় না" তেলেঙ্গানা এনকাউন্টার প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি
খবর, এদিন মহাত্মা গান্ধির সমাধিস্থল রাজঘাট থেকে জাতীয় পতাকা ও প্ল্যাকার্ড হাতে মিছিল শুরু করে প্রতিবাদীরা। মিছিলে হাঁটার সময় প্রত্যেকের মুখে ছিল "আমরা ন্যায়বিচার চাই" এবং "আর ধর্ষণ না" শ্লোগান। এভাবেই তারা এগিয়ে যাচ্ছিল ইন্ডিয়া গেটের দিকে।
অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের থেকে এক কিমি দূরে আচমকাই সংঘর্ষ বাঁধে প্রশাসনের সঙ্গে। প্রশাসনের দাবি, সংঘর্ষের সময় ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে তারা। মশাল জ্বালিয়ে ছুঁড়ে দেয় পুলিশদের লক্ষ্য করে। তখনই আত্মরক্ষার্থে এবং বিক্ষোভকারীদের রুখতে জল কামান দাগে প্রশাসন। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ে বছর ২৩-এর এক যুবতীকে ধর্ষণ করে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেয় অপরাধীরা। প্রায় ৯০ শতাংশ দগ্ধ ওই যুবতীকে লখনউ থেকে নিয়ে এসে ভর্তি করা হয় দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে। শুক্রবার রাতে হৃদরোগে মৃত্যু হয় তরুণীর।
"এক সপ্তাহের মধ্যে দোষীদের ফাঁসি দিন বা গুলি করুন": মৃতার বাবার আবেদন
নির্ভয়া কাণ্ডের আগে এবং পরে দেশজুড়ে লাগাতার ধর্ষণের শিকার নানা বয়সের নারী। অপরাধীদের শনাক্ত করার পরেও আইনের ফাঁক গলে রেহাই পেয়েছে অনেকে। নিরাপত্তা কমেছে মেয়েদের। তাই ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যু চেয়ে প্রতিবাদে ফেটে পড়েন বিক্ষুব্ধরা।
এঁদের মধ্যে অন্যতম, দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল। তার দাবি, ধর্ষকদের দোষী সাব্যস্ত করার ছয় মাসের মধ্যে ফাঁসি দিতে হবে। এই দাবিতে তিনি অনশন ধর্ণায় বসেন।
প্রতিবাদে অংশগ্রহণকারী ক্ষুব্ধ বৈশালি সংবাদমাধ্যমকে জানান, স্বাতী যা বলছেন তা পুরোটাই ঠিক। দেশে কোনও কঠোরতম আইন নেই বলেই ধর্ষকেরা ধর্ষণ করতে ভয় পায় না। দেশের আইনকে আরও কড়া হতে হবে। তবে যদি হুঁশ ফেরে অপরাধীদের।