This Article is From May 15, 2019

বিজেপির যুবনেত্রীর মামলায় শীর্ষ আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ল রাজ্য প্রশাসন

প্রিয়াঙ্কা শর্মার মামলায় সুপ্রিম কোর্টের সমালোচনার মুখে পড়ল রাজ্য সরকার। গতকালই শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয় প্রিয়াঙ্কাকে মুক্তি  দিতে হবে।

বিজেপির যুবনেত্রীর মামলায় শীর্ষ আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ল রাজ্য প্রশাসন

হাইলাইটস

  • প্রিয়াঙ্কা শর্মার মামলায় সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ল রাজ্য সরকার
  • গতকালই শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয় প্রিয়াঙ্কাকে মুক্তি দিতে হবে
  • এরপরও সারারাত তাঁকে জেলে থাকতে হয়
নিউ দিল্লি:

প্রিয়াঙ্কা শর্মার মামলায় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)  প্রশ্নের মুখে পড়ল রাজ্য সরকার। গতকালই শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয় প্রিয়াঙ্কাকে (Priyanka Sharma )  মুক্তি  দিতে হবে। এরপরও সারারাত তাঁকে জেলে কেন রাখা হল তা নিয়েই প্রশ্নের মুখে পড়ল রাজ্য সরকার।মমতার ছবি বিকৃত করার পর গ্রেফতার হন তিনি। একটা সময় আদালত বলে প্রিয়াঙ্কাকে জামিন  না দেওয়া  হলে  আদালত অবমাননার নোটিশ জারি হবে। গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে  সোমবার আদালতের দ্বারস্থ হয় পরিবার। তখনই আদালত জানিয়েছিল  মামলার শুনানি হবে আজ। সেই মতো মামলা শোনেন বিচারপতিরা। আর জামিন মঞ্জুর করেন তারা।

মমতার ছবি বিকৃত করার অভিযোগে গ্রেফতার বিজেপি সমর্থক, সুপ্রিম কোর্টে মামলা করল পরিবার

প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে অভিযোগ  তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ছবি বিকৃত করে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন দিন কয়েক আগে নিউ ইয়র্কের একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে বিচিত্র রূপে ধরা দেন বলিউডের বিশিষ্ট নায়িকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। সেই  ছবিতে মমতার মুখ বসিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন প্রিয়াঙ্কা সরকার। পরিবাররের অভিযোগ বিজেপি কর্মী বলেই গ্রেফতার হয়েছেন প্রিয়াঙ্কা।  সংবাদ সংস্থাকে  তাঁর মা বলেছেন এ সবই বড় চক্রান্তের অংশ। বিজেপি জা  করে তাঁর মা যদি তৃণমূল করত তা হলে  তাঁকে গ্রেফতার হতে হত না বলে তিনি মনে করেন। প্রতিক্রিয়া  দিয়েছেন বিজেপি নেতারাও। তাঁদের অভিযোগ তৃণমূল নেত্রী গণতন্ত্রের কথা বলেন অথচ তাঁর নিজের রাজ্যেই গণতন্ত্রকে গলা টিপে  হত্যা করা  হয়। কেন্দ্রীয়  মন্ত্রী মহেশ শর্মা বলেছেন  এ ধরনের রাজনীতিতে সমাজ কল্যাণ  করতে পারে না।

মুখ্যমন্ত্রী ছবি বিকৃত করা বা সোশ্যাল  মিডিয়ায় কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগে আগেও বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছে। কিছুদিন আগেই মেদিনীপুরের এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাছাড়া কয়েক বছর আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র গ্রেফতার হন একই কারণে। সেই ঘটনা নিয়ে তুমুল চাঞ্চল্য দেখা দেয়। বিভিন্ন মহল থেকে রাজ্য পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে আইনি লড়াই লড়েন অম্বিকেশ। সেই ঘটনাতেও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে  রায় দিয়েছিল আদালত। এক্ষেত্রেও সেটাই হয়।

.