This Article is From Apr 16, 2019

বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করলে, তা ধর্ষণ: সুপ্রিম কোর্ট

বিচারপতিদের বেঞ্চ জানায়, এমন ঘটনা নারীর সম্মান ও মর্যাদাহানি ঘটায়। যে কোনও নারীর কাছেই এমন ঘটনা অত্যন্ত অবমাননাকর।

বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করলে, তা ধর্ষণ: সুপ্রিম কোর্ট

ধর্ষণ নারীর মর্যাদা ও সম্মানের ক্ষেত্রে অত্যন্ত অবমাননাকর, জানাল শীর্ষ আদালত। (ছবি প্রতীকী)

নিউ দিল্লি:

‘বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস'-এর বহু খবর সংবাদমাধ্যমে প্রায়ই আসে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যৌনতাকে এবার থেকে ধর্ষণ বলেই ধরা হবে। শীর্ষ আদালতের মতে, এমন ঘটনা মহিলাদের পক্ষে অত্যন্ত অবমাননাকরও বটে। বিচারপতি নাগেশ্বর রাও এবং বিচারপতি এম আর শাহের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানায়, ধর্ষণকে নারীর সম্মানের পক্ষে অবমাননাকর আচরণ হিসাবেই ধরা হয়। আদালত আরও জানায়, সম্প্রতি তারা লক্ষ্য করেছে, এমন ঘটনা সমাজে ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ওই বিচারপতিদের বেঞ্চ জানায়, এমন ঘটনা নারীর সম্মানহানি ঘটায়। যে কোনও নারীর কাছেই এমন ঘটনা অত্যন্ত অবমাননাকর।

মন্দিরে ভক্তের থেকে সোনা, গয়না চুরি করে তা আবার ফিরিয়ে দিল চোর

২০১৩ সালে ছত্তিশগড়ের এক চিকিৎসক তাঁকে ধর্ষণ করেছিল বলে এক মহিলা অভিযোগ জানান আদালতের কাছে। বিলাসপুরের কোনি অঞ্চলের বাসিন্দা ওই মহিলা এই কথাও জানিয়েছিলেন, ওই চিকিৎসকের সঙ্গে তাঁর প্রেম ছিল ২০০৯ সাল থেকেই। ২০১৩ সালে ওই চিকিৎসক তাঁকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত চিকিৎসক ওই মহিলাকে বিয়ে করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং সে কথা জানতেন ওই মহিলার পরিবারের সব সদস্যরাও। পরে জানা যায়, অভিযুক্ত চিকিৎসক ধর্ষিতার সঙ্গে প্রেম করার সময়ই অন্য একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। তারপর তাদের মধ্যেই একজনকে বিয়ে করে সে ধর্ষিতা মহিলাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতিকে সম্পূর্ণ নস্যাৎ করে দিয়ে। তারপরই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। ধর্ষণের।

এই মামলাটির ভিত্তিতেই সুপ্রিম কোর্ট রায়টি দিল। অভিযুক্তের সাত বছরের জেল হয়েছে।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.