This Article is From Jul 15, 2019

ছাত্রদের নিরাপত্তা দিতে মাদ্রাসার ভিতরেই মন্দির, মসজিদ গড়বেন সালমা আনসারি

সালমা আনসারি জানিয়েছেন, আলিগড়ে তিনি যে মাদ্রাসাটি চালান সেই মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে একই সঙ্গে একটি মন্দির ও একটি মসজিদ নির্মাণ করবেন।

ছাত্রদের নিরাপত্তা দিতে মাদ্রাসার ভিতরেই মন্দির, মসজিদ গড়বেন সালমা আনসারি

সালমা আনসারি দাবি জানিয়েছেন, এই ধরনের গণপিটুনির ক্ষেত্রে শাস্তিস্বরূপ মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হোক।

হাইলাইটস

  • মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে মন্দির ও মসজিদ গড়তে চান সালমা আনসারি
  • তাঁর মতে এতে ছাত্ররা নিরাপদে থাকবে
  • তিনি জানান, তাঁর মাদ্রাসার হস্টেলের পড়ুয়াদের নিরাপত্তার দায় তাঁরই
আলিগড় (উত্তরপ্রদেশ):

ভারতের প্রাক্তন উপ রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারির (Hamid Ansari) স্ত্রী সালমা আনসারি (Salma Ansari) জানিয়েছেন, আলিগড়ে (Aligarh) তিনি যে মাদ্রাসাটি চালান সেই মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে একই সঙ্গে একটি মন্দির ও একটি মসজিদ নির্মাণ করবেন। তাঁর মতে, এর ফলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকবে। পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক প্রতিহিংসার পরিমণ্ডলে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তাও বজায় থাকবে। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি একথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি আশা করব এটা সারা ভারতের মাদ্রাসার কাছে একটা মডেল হয়ে উঠবে। সৌভ্রাতৃত্বের বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি এর ফলে ছাত্রদেরও ক্যাম্পাসের বাইরে প্রার্থনা করতে যেতে হবে না। ফলে তারা নিরাপদ থাকবে।'' আর এক সংবাদ সংস্থা আইএএনএসকে তিনি জানান, তাঁর এই মাদ্রাসার হস্টেলে যে পড়ুয়ারা থাকে তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব তাঁর।

তিনি বলেন, ‘‘যাতে কোনও ছাত্র মাদ্রাসার বাইরে কোনও মসজিদে বা মন্দিরে প্রার্থনা করতে গিয়ে কোনও বিপদে না পড়ে সেটা দেখা আমাদের দায়িত্ব।'' তিনি জানান, তাঁর প্রতিষ্ঠানে হিন্দু ও মুসলিম, দুই ধরনের ছাত্রই রয়েছে।

সঙ্গে পুলিশ, তার মধ্যেই কোর্ট চত্বরে অজিতেশ কুমারকে সপাটে চড় অচেনা ব্যক্তির!

সম্প্রতি দেশে সাম্প্রদায়িক প্রতিহিংসার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষকে জোর করে হিন্দু মন্ত্র বলানোর অভিযোগ উঠছে। ক'দিন আগে উন্নাও জেলায় একদল মাদ্রাসার ছাত্রকে একটি দক্ষিণপন্থী দল জোর করে মারধর করে ‘‘জয় শ্রী রাম'' বলতে বলে। কানপুরে ২৯ জুন মাথায় টুপি পরার অভিযোগে এক ১৬ বছরের কিশোরকে মারধর করে। একই ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রের এক ক্যাব চালকের সঙ্গেও। তাঁরও অভিযোগ তাঁকে জোর করে হিন্দু মন্ত্র বলানোর চেষ্টা করে নিগ্রহ করা হয়। অসম সহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকেও আসছে একই ধরনের অভিযোগ।

বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন দিল্লিতে কি হয়েছিল, জানালেন সলমন খুরশিদ

এমাসের গোড়াতেই তবরেজ আনসারি নামের ২৪ বছরের যুবকককে ঝাড়খণ্ডে জোর করে ‘‘জয় শ্রী রাম'' ও ‘‘জয় শ্রী হনুমান'' বলতে বলা হয়। সেই সঙ্গে চলতে থাকে অকথ্য অত্যাচার। মারা যায় তবরেজ। তাঁর নিগ্রহের ভিডিও দেখে শিউরে উঠেছে দেশ।

অমর্ত্য সেনের মতো সমাজ সচেতন বিশিষ্ট ব্যক্তি এই কুৎসিত আচরণের বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেন ‘‘জয় স্রী রাম'' মন্ত্র এখন মানুষকে মারার হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। যদি কোনও বিশেষ ধর্মের মানুষের পক্ষে স্বাধীন ভাবে বিচরণ করা মুশকিল হয়ে পড়ে, তবে তা দুর্ভাগ্যের বলে জানান অমর্ত্য।

হায়দরাবাদের রাজনীতিবিদ সাংসদ আসাউদ্দিন ওয়াইসিও এই বিষয়ে প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠেন।

সালমা আনসারি দাবি জান‌িয়েছেন, এই ধরনের গণপিটুনির ক্ষেত্রে শাস্তিস্বরূপ মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হোক। সেটাই হবে সঠিক পন্থা।

.