জোট ভেঙে যাওয়ার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি তাঁর পদত্যাগপত্র দেন রাজ্যপালকে
হাইলাইটস
- বিজেপির সিদ্ধান্তের পরেই মুখ্যমন্ত্রিত্ব পদ ছেড়ে দেন মেহবুবা মুফতি
- মঙ্গলবার পিডিপির সঙ্গে জোট ভেঙে দেয় বিজেপি
- রমজানের যুদ্ধবিরতি আর বাড়াতে অস্বীকার কেন্দ্রর
নিউ দিল্লি / শ্রীনগর:
বিজেপি তাদের জোটশরিক মেহবুবা মুফতি'র পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি বা পিডিপি'র হাত ছেড়ে দেওয়ার একদিন পরেই জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যপালের শাসনে চলে গেল। বিজেপি জানিয়েছে নিরাপত্তার সমস্যা ও উপত্যকায় ক্রমে বাড়তে থাকা সন্ত্রাসবাদের কারণে এই সিদ্ধান্ত। মঙ্গলবার বিকেলে বিজেপির এই আচমকা সিদ্ধান্তের খানিকক্ষণ বাদেই হতভম্ব মেহবুবা মুফতি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান। জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল এন এন ভোরা রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছেন।
এই সংক্রান্ত 10’টি জরুরি তথ্য রইল এখানে:
- 2008 সাল থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল পদে রয়েছেন এন এন ভোরা। এই পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য তিনিই সবথেকে অভিজ্ঞ ব্যক্তি। গত 10 বছরে তাঁর শাসনকালে তিন বার জম্মু ও কাশ্মীরে রাজ্যপালের শাসন জারি হয়েছে।
- দুপুর 2:30 নাগাদ রাজ্যপাল একটি নিরাপত্তা পর্যালোচনা সভার আহ্বান জানিয়েছেন। বিজেপি এই রাজ্যে ‘নিরাপত্তা ব্যবস্থার অবনতি’ নিয়ে যে মন্তব্য করেছে, তার পর্যালোচনার জন্যই এই সভা।
- আগামী বেশ কয়েকদিন জম্মু ও কাশ্মীরে প্রবল সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান চলার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন যে রমজান মাসে যে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল, তার মেয়াদ আপাতত ফুরিয়েছে। তা আর বাড়ানো হবে না।
- রাজ্যের শীর্ষস্থানাধিকারী পুলিশ অফিসার এস পি বৈদ্য এনডিটিভিকে বেলেছেন, “যুদ্ধবিরতির সময় বন্ধ থাকলেও, অভিযান এখন চলবে”।
- অনিচ্ছাসত্ত্বেও, মেহবুবা মুফতির কথায় শান্তি পদক্ষেপ হিসাবে রমজান মাসে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে রাজি হয়ে যায় কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, এই যুদ্ধবিরতির সময় সীমান্তের ওপার থেকে আক্রমণের তীব্রতা বহুগুণে বেড়ে যায়।
- যুদ্ধবিরতি সম্প্রসারণ করতে অস্বীকার করার পরই বিজেপির সঙ্গে পিডিপির জোটটি ভেঙে যায়। এমনিতেই দু’দলের রাজনৈতিক মতাদর্শেও ফারাক ছিল কিছু। শ্রীনগরের বুকে সন্ত্রাসবাদীদের গুলিতে সাংবাদিক সুজাত বুখারির মৃত্যু, সেই আগুনেই ঘৃতাহুতি দেয়।
- হিজবুল মুজাহিদিনের জঙ্গি বুরহান ওয়ানিকে হত্যা করার পর থেকেই গত তিন বছর ধরেই বিজেপি ও পিডিপির মধ্যেই দ্বন্দ্ব আরও সম্প্রসারিত হয়।
- মেহবুবা মুফতির থেকে সমর্থন তুলে নেওয়ার খবরটি মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে রাজ্যপাল দেন। বিজেপির পক্ষ থেকে কিছুই জানানো হয়নি।
- পদত্যাগের পর মেহবুবা মুফতি সাংবাদিকদের জানান, “আমি মোটেই এই নিয়ে খুব একটা হতাশ নই, কারণ, এই সরকার ক্ষমতার সরকার কোনওদিনই ছিল না। পিডিপি কখনওই ক্ষমতার রাজনীতি করেনি। সবসময়ই আমাদের মূল লক্ষ্য মানুষের জন্য কাজ করা”।
- মেহবুবা মুফতির আগে যিনি কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন, সেই ওমর আবদুল্লা বলেন, আমি মেহবুবা মুফতিকে এই জোট ছেড়ে আসার কথা অনেক আগেই বলেছিলাম। উনি শোনেননি। এখন ওঁর নিজেরই পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেল।