This Article is From May 31, 2019

মোদীর নতুন মন্ত্রিসভা সমস্ত কৃষকদের জন্য নিয়ে এল সরাসরি রোজগার সহায়তা প্রকল্প

PM-KISAN: আজ সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে ‘পিএম-কিষান’ প্রকল্পকে সমস্ত কৃষকদের জন্য সম্প্রসারিত করা হল।

PM-KISAN: এই নতুন পদক্ষেপের ফলে ১৫ কোটি কৃষক লাভবান হবেন

নয়াদিল্লি:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নতুন মন্ত্রিসভা তাদের প্রথম বৈঠকেই কৃষক ও ব্যবসায়ীদের জন্য বড় পদক্ষেপ করল। বৈঠকে ‘পিএম-কিষান' প্রকল্পকে সমস্ত কৃষকদের জন্য সম্প্রসারিত করা হল। দরিদ্র কৃষকদের তিনটি কিস্তিতে বার্ষিক ৬,০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। এই নতুন পদক্ষেপের ফলে ১৫ কোটি কৃষক লাভবান হবেন। মন্ত্রিসভার পক্ষ থেকে পরিষ্কার করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই পেনশন প্রকল্প ব্যবসায়ীদের জন্ও। তিন কোটি ব্যবসায়ী এবং দোকানদার এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন। সংশোধিত এই প্রকল্প বাবদ ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ৮৭, ২১৭.৫০ কোটি টাকা খরচ হবে। বিগত সরকার এই প্রকল্পে প্রাথমিক সংস্করণে বার্ষিক ৭৫,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল।
২০১৯-২০-র অন্তর্বর্তী বাজেটে কেন্দ্র ঘোষণা করেছিল প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি (পিএম-কিষান) প্রকল্প। ১২ কোটি ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক সীমান্তে থাকা কৃষকেরা, যাঁদের কাছে সর্বোচ্চ ২ হেক্টর জমি রয়েছে তাঁরা বছরে ৬,০০০ টাকা তিনটি কিস্তিতে পাবেন। সরাসরি ব্যাঙ্ক ট্রান্সফারের মাধ্যমে ওই টাকা তাঁরা পাবেন।

পিএম-কিষান প্রকল্পটি ফেব্রুয়ারি মাসে ঘোষণা করা হয়েছিল। এটি তারও আগের প্রকল্প, ১ ডিসেম্বর, ২০১৮ যার সূচনা— সরকার চেয়েছিল এই প্রকল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে। গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথম কিস্তি কৃষকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

৫ জুলাই বাজেট ঘোষণা করবে নতুন সরকার

এর পাশাপাশি মন্ত্রিসভায় আরও একটি প্রকল্প ঘোষিত হয়েছে যার নাম প্রধানমন্ত্রী কিষান পেনশন যোজনা। এই প্রকল্প একটি স্বেচ্ছাধীন এবং অংশদানকারী পেনশনের প্রকল্প, যা থেকে সারা দেশের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক সীমান্তে থাকা কৃষকেরা লাভবান হতে পারবেন। কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমার আজকের বৈঠকের পরে ঘোষণা করেন এই প্রকল্পের কথা। তিনি বলেন,

‘‘কেন্দ্রীয় সরকার ওই পেনশন ফান্ডে কৃষকদের দেয় পরিমাণের সমপরিমাণ টাকা দেবে।''

তিনি আরও বলেন, ‘‘ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক জমির মালিক কৃষকদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করার জন্য এই প্রকল্প। ৬,০০০ টাকা প্রতি বছরের হিসেবে সারা দেশের ২ হেক্টর পর্যন্ত জমির মালিক যে কৃষকরা, তাঁরা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। ১২.৫ কোটি পরিবার এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত থাকবেন।''

আজকের সিদ্ধান্তগুলির পিছনে সম্ভবত রয়েছে দেশের কৃষি ক্ষেত্রের সামগ্রিক হতাশাজনক পরিস্থিতি যা গ্রাম বাংলাকে গ্রাস করেছে বিগত দীর্ঘ দিন ধরে। বার্ষিক জিডিপি বৃদ্ধির পিছনে অন্যতম ফ্যাক্টর ছিল কৃষি, যা অনেক কমে গিয়েছে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে।

জিডিপি বৃদ্ধি মাত্র ৫.৮ শতাংশ, চিনের থেকে পিছিয়ে পড়ল ভারত

আজকে প্রাপ্ত সরকারি তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, গত অর্থবর্ষে কৃষি ক্ষেত্রের বৃদ্ধি ২.৯ শতাংশ। যেখানে তার আগের অর্থবর্ষে সেই হার ছিল ৫ শতাংশ। 
বাজেটের এক মাস আগে পিএম-কিষান প্রকল্পকে আরও বিস্তৃত করার পরিকল্পনা থেকে পরিষ্কার সরকার কৃষি ক্ষেত্রকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে। বহু পলিসি বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, গ্রামীন এলাকায় অধিক বিনিয়োগের ফলে অর্থনীতির উন্নতি হবে এবং এটাই অর্থনীতির বৃদ্ধির নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠতে পারে।

.