Assam: কোকড়াঝাড়ে একটি সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
হাইলাইটস
- বোরো চুক্তির জন্যে অসমের মানুষজনকে ধন্যবাদ জানালেন প্রধানমন্ত্রী
- বোরো চুক্তিতে অসমে শান্তি ফিরে এসেছে, বললেন নরেন্দ্র মোদি
- সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও বোরো চুক্তির পর এই প্রথম অসমে গেলেন প্রধানমন্ত্রী
কোকড়াঝাড়: বোরো চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর এই প্রথম অসম (Assam) সফরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার সেখানে গিয়ে বোরো অঞ্চলের মানুষকে সহযোগিতা করার জন্যে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। অসমের বোরো অধ্যুষিত শহর কোকড়াঝাড়ে (Kokrajhar) আয়োজিত একটি মেগা সমাবেশে যোগ দিয়ে তিনি (Narendra Modi) বলেন, "সমগ্র ভারত আপনাদের (বোরো উপজাতি) ধন্যবাদ জানাচ্ছে এবং আপনাদের সঙ্গে সঙ্গে গোটা দেশও উদযাপন করছে। কারণ আপনারা সকলেই শান্তিতে থাকতে চেয়েছিলেন এবং শক্তিশালী ভারত গড়ার পক্ষে আপনারও অবদান রাখতে রাজি হয়েছিলেন।" শুধু বোরো চুক্তিই নয়, সংসদে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাস হওয়ার পরেও এই প্রথম সে রাজ্যে পা রাখলেন মোদি। সিএএ-র বিরুদ্ধে গোটা দেশের মতো অসমেও বিক্ষোভের আগুন জ্বলে। নাগরিকত্ব আইন বিরোধী প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে যে হানাহানি হয়, তাতে অসমে প্রাণ হারান ৩ জন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, "কয়েক দশক ধরে এখানে বন্দুকযুদ্ধ চলছিল। এখন অসমে এই শান্তির পরিবেশ যেন একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। পুরো দেশ যখন মহাত্মা গান্ধির ১৫০ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করছে তখন এ রাজ্য এই অসাধ্য সাধন করেছে, এটা সত্যিই এক বিস্ময়কর ঘটনা।"
‘‘ঐতিহাসিক চুক্তি'', বোরো চুক্তি সম্পর্কে Amit Shah
গত ২৭ শে জানুয়ারি এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। এই অঞ্চলে তিন দশক-পুরনো সশস্ত্র সংঘাতের অবসানের লক্ষ্যে - বোরোল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অঞ্চলের উন্নয়নে ১,৫০০ কোটি টাকার বিশেষ আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করা হয়।পাশাপাশি আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে অনেক বোরো জঙ্গির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলি পর্যালোচনা করা হবে। চুক্তি অনুসারে, অসমের পার্বত্য জেলাগুলিতে বাসকারী বোরো অধিবাসীদের কেন্দ্র 'পাহাড়ি উপজাতি'র মর্যাদা দেওয়ার চেষ্টা করবে। সেই সঙ্গে দেবনাগরী লিপি সহ বোরো ভাষাকে সমগ্র অসমের সহযোগী অফিসিয়াল ভাষায় পরিণত করা হবে।
সরকারি চাকরির জন্য অসমে দশম শ্রেণি পর্যন্ত অসমিয়া বাধ্যতামূলক হচ্ছে: হিমন্ত বিশ্ব শর্মা
রাজ্য সরকার এই অঞ্চলের সার্বিক উন্নতিতে ৩ বছরে ২৫০ কোটি টাকা খরচ করবে। ১৫০০ কোটি টাকা খরচ করবে কেন্দ্র। এই এলাকায় কোনও বহিরাগত ভোটাধিকার পাবে না। অন্যদিকে বাইরের লোককে এখানে কাজ করতে হলে অনুমতি নিতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এবং এর মেয়াদ থাকবে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত।
জনজাতির ভূমির অধিকার অক্ষুণ্ণ রাখারও প্ৰস্তাব রয়েছে চুক্তিতে। এই শান্তি চুক্তি অনু্যায়ী কোনও ধরণের ইউটিসি গঠন করা হবে না। বিটিসি এলাকায় হবে নতুন ক্ৰীড়া বিশ্ববিদ্যালয়। তামুলপুরে ক্যান্সার হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের প্ৰস্তাব রয়েছে চুক্তিত। বিটিসি এলাকায় স্থাপন করা হবে রেলওয়ে কোচ নির্মাণ কারখানা। অসমের অখণ্ডতা অক্ষুণ্ণ রেখেই স্বাক্ষরিত হয়েছে এই চুক্তি। এছাড়াও চুক্তিতে সন্নিবিষ্ট করা হয়েছে বোরো ভূমির জন্য আরও অনেক সু্যোগ সুবিধা।