Coronavirus Lockdown: আগামী সপ্তাহ থেকে যাতে দেশের মধ্যে বিমান চলাচল শুরু হয় তা নিয়েই পরিকল্পনা করছে সরকার
হাইলাইটস
- ১৮ মে থেকে শুরু হতে চলেছে লকডাউন ৪.০
- তবে স্থানীয় স্তরে চলাচল শুরু করতে পারে বাস, ট্যাক্সি, অটো
- দেশের মধ্যে শুরু করা হতে পারে বিমান পরিষেবাও
নয়া দিল্লি: আগামী ১৮ মে থেকে যে লকডাউন ৪.০ শুরু হচ্ছে তার একরকম ইঙ্গিত দিয়েই রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তবে লকডাউন (Lockdown 4.0) জারি রেখেই বিভিন্ন জায়গায় করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণের প্রবণতা বিবেচনা করে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার কথাও বিবেচনা করছে কেন্দ্র। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক পথে ফিরতেই হবে, তাই প্রথমেই শিথিল করা হতে পারে বিমান ও স্থানীয় পরিবহণগুলো চলাচলে জারি রাখা নির্দেশিকা। সেই লক্ষ্যেই রাজ্য সরকারগুলোর কাছে সেখানকার করোনা সংক্রমণ প্রবণতা অনুসারে একটি ব্লু প্রিন্ট চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তার উপর ভিত্তি করেই কোথায় কোথায় কীভাবে যানবাহন চলাচল শুরু হবে বা কোন কোন এলাকায় বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে, তার নির্দেশিকা তৈরি করবে কেন্দ্রীয় সরকার, NDTV-কে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক প্রবীণ আধিকারিক। ইতিমধ্যেই এবিষয়ে একটি খসড়া প্রস্তাবও তৈরি করেছে সরকার, যা ইতিমধ্যেই NDTV-র হাতে এসে পৌঁছেছে। পাশাপাশি ওই আধিকারিক এও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে রাজ্যগুলোর দীর্ঘদিনের দাবি মেনে এবার হয়তো তাদের হাতেই দেওয়া হতে পারে করোনা হটস্পট নির্ধারণের ক্ষমতা।
দেশে সংক্রমণ ছাড়ালো ৮০ হাজার! প্রথম দুইয়ে মহারাষ্ট্র-তামিলনাড়ু
ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, লকডাউন ৪.০ এর সময় যাত্রীসংখ্যা সীমিত রেখে শুরু করা হতে পারে বাস, ট্যাক্সি ও অটো পরিষেবাও, তবে সব যানবাহনই চলবে করোনা ভাইরাসের হটস্পট নয় এমন জায়গাতেই। মূলত নন-কনটেইনমেন্ট জোনগুলিতেই চলাচল করবে সেগুলো।
জানা গেছে, সরকার আগামী সপ্তাহ থেকেই দেশের মধ্যে বিমান পরিষেবা শুরু করার পরিকল্পনাও করছে।
ট্রেন পরিষেবা ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। সরকারি আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে, আগে যেখানে শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় পণ্যই সরবরাহ করা যাচ্ছিল, এখন সেখানে সব ধরণের পণ্যই হোম ডেলিভারি দেওয়া যাবে।
৮ কোটি পরিযায়ীর জন্য দু'মাস বিনামুল্যে খাদ্যশস্য: জানালেন নির্মলা সীতারামন
"বেশিরভাগ রাজ্যই একমত হয়েছে যে এই ভাইরাসের বিস্তার রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত", বলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিক। "যেহেতু রাজ্যুগুলোই এবার তাদের হটস্পটগুলি নির্বাচন করবে, তাই সেই গাইডলাইন মেনেই ওই অঞ্চলগুলিতে কোনও যানবাহণ চলার অনুমতি দেওয়া হবে না। তবে বাকি অংশে বিধিনিষেধে শিথিলতা থাকতে পারে"।
এদিকে অন্যান্য রাজ্যগুলোতে লকডাইন শিথিল করার কথা ভাবা হলেও কড়া বিধিনিষেধ বহাল থাকার সম্ভাবনা মহারাষ্ট্রে। কেননা সেখানে সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। মহারাষ্ট্রের পরেই আছে গুজরাট। সেখানে ৯,২৬৮ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে এবং ২,০৮,৫৩৭ জনকে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে।