This Article is From Sep 02, 2018

মোমো চ্যালেঞ্জ রুখতে বাবা-মাকে সন্তানদের ফোন পর্যবেক্ষণে রাখার নির্দেশ ওড়িশা পুলিশের

পর্যাপ্ত তথ্য না থাকলে মোমো চ্যালেঞ্জে মৃত্যু বা তার বীভৎসতা বিষয়ে ভুল খবর সম্প্রচার করা থেকে মিডিয়াকে বিরত থাকতেও আর্জি জানিয়েছে পুলিশ।

মোমো চ্যালেঞ্জ রুখতে বাবা-মাকে সন্তানদের ফোন পর্যবেক্ষণে রাখার নির্দেশ ওড়িশা পুলিশের

বিকৃত মুখ এবং স্ফীত চোখের একটি মেয়ের অদ্ভুত ছবি সমন্বিত বিপদ্দজনক চ্যালেঞ্জ গেম মোমো

Bhubaneswar:

মোমো চ্যালেঞ্জের মতো ভয়ানক খেলা থেকে শিশুদের নিরাপদে রাখতে বাবা মা অভিভাবক এবং শিক্ষকদের বিশেষ আর্জি জানিয়েছে ওড়িশা পুলিশ। বাচ্চাদের পর্যাপ্ত নজরদারিতে রাখতে বাড়ি এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ উভয়কেই নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। পাশাপাশি, পর্যাপ্ত তথ্য না থাকলে মোমো চ্যালেঞ্জে মৃত্যু বা তার বীভৎসতা বিষয়ে ভুল খবর সম্প্রচার করা থেকে মিডিয়াকে বিরত থাকতেও আর্জি জানিয়েছে পুলিশ। শনিবার রাতে একজন পুলিশ আধিকারিক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন মোমো চ্যালেঞ্জ বিষয়ে তাঁরা যথেষ্ট উদ্বিগ্ন এবং সে কারণেই বিভিন্ন ভাবে নিরাপত্তা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা।

বিকৃত মুখ এবং স্ফীত চোখের একটি মেয়ের অদ্ভুত ছবি সমন্বিত এই বিপদ্দজনক চ্যালেঞ্জ গেম সারা বিশ্বেই নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। গতবছরই ‘ব্লু হোয়েল’ নামে এমনই এক অনলাইন গেম শুরু হয়।

প্রশাসন জানিয়েছে, "সামাজিক মিডিয়ায় 'মোমো চ্যালেঞ্জ' নামের খেলাটি ছড়াচ্ছে কিছু বিকৃতমনস্ক অপরাধী। এই খেলায় নানা মানুষকে বিশেষ করে ছোটদের উস্কানি দেওয়া হয় যাতে খেলার শেষে গিয়ে তাঁরা আত্মহত্যা করে। কিছু সাধারণ নির্দোষ মানুষ এই খেলার ফাঁদে পড়ছেন, মারাত্মকভাবে ভুগছেন।" তাঁরা আরও জানিয়েছেন, বাবা-মা ও শিক্ষকদের এই বিষয়ে আরও সচেতন হতে হবে। হোয়াটসঅ্যাপে উপস্থিত অজানা লিঙ্কগুলি অবিলম্বে মুছে ফেলতে হবে তাঁদের।

সন্তানের আচরণের উপর কড়া নজর রাখার পাশাপাশি সন্তানের অনলাইন বা সোশাল মিডিয়ার কার্যকলাপের উপরেও নজর রাখতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে, সাইবার বা মোবাইল পেরেন্টিং সফ্টওয়্যার ইনস্টল করতেও অনুরোধ করা হয়েছে অভিভাবকদের। এই খেলার শিকারদের নানা আচরণ ও উপসর্গ পর্যবেক্ষণ করে তাঁরা দেখেছেন যে, এই খেলা কেউ শুরু করলে সাধারণত সেই মানুষ পরিবার ও বন্ধু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, সারাক্ষণ চাপে থাকে, কিছুতেই খুশি থাকে না, বিভিন্ন কাজে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। আকস্মিক রাগের বহিঃপ্রকাশও দেখা যায় অনেকের।

শিক্ষকরাও যাতে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন দেখেন বা তাঁদের আচরণ দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারেন সেই বিষয়টিই নিশ্চিত করতে চাইছে ওড়িশার ক্রাইম ব্রাঞ্চ।

.