This Article is From Feb 05, 2019

তিনদিনের মাথায় ‘সত্যাগ্রহ’ প্রত্যাহার করলেন মুখ্যমন্ত্রী

তিনি বলেন, ১৩ এবং ১৪ তারিখ দিল্লিতে ধর্না হবে। সংবিধান এবং গণতন্ত্র রক্ষা করতে ধর্না  করেছিল বলে তিনি জানান

তিনদিনের মাথায় ‘সত্যাগ্রহ’ প্রত্যাহার করলেন মুখ্যমন্ত্রী

তিনি বলেন, ১৩ এবং ১৪ তারিখ দিল্লিতে ধর্না হবে

হাইলাইটস

  • তিনদিনের মাথায় ধর্না প্রত্যাহার করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
  • ধর্না তুলে নিলেন মমতা বলেন, ১৩ এবং ১৪ তারিখ দিল্লিতে ধর্না হবে
  • চন্দ্রবাবু বলেন লোকসভায় রাজ্যের ৪২টি আসনেই মমতাকে জিতিয়ে দিতে হবে
কলকাতা:

তিনদিনের মাথায় ধর্না প্রত্যাহার করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আসার পর রাজনৈতিক মহলের ধারনা হয়েছিল ধর্না প্রত্যাহার করে নেবেন। সেই মতোই ধর্না তুলে নিলেন মমতা। তিনি বলেন, ১৩ এবং ১৪ তারিখ দিল্লিতে ধর্না হবে। সংবিধান এবং গণতন্ত্র রক্ষা করতে ধর্না  করেছিল বলে তিনি জানান। তাঁর পাশে  ছিলেন চন্দ্রবাবু নায়ডু। 

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সকালে এইচ ডি দেবেগৌড়ার সঙ্গে  আমার  কথা হয়েছে। তাছাড়া চন্দ্রবাবু এসেছেন, তেজস্বীও আছেন। সবাই আলোচনা করে ঠিক করেছি আগামী সপ্তাহে দিল্লিতে ধর্না হবে। তাঁর পাশে  দাঁড়িয়ে চন্দ্রবাবু বলেন, আদালতের রায় সংবিধানের জয়। আদালত ভাল রায় দিয়েছে তাই আমরা সবাই ম্যাডাম (মুখ্যমন্ত্রী)কে ধর্না প্রত্যাহার করতে অনুরোধ করি উনি সেই অনুরোধ।   রেখেছেন বলে ধন্যবাদ। পাশাপাশি রাজ্যের ভোটারদের তিনি বলেন আগামী নির্বাচনে রাজ্যের ৪২টি আসনেই  মমতাকে জিতিয়ে দিতে হবে।

এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে  রাজ্যপালের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে  কেন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার একজন আইপিএস  অফিসার হয়েও রাজনৈতিক ধর্না মঞ্চে গিয়েছিলেন? মমতা বলেন, রাজীব কুমার ধর্না দিতে আসেননি, নিরাপত্তার কারণে এসেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী থেকে  শুরু করে সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়াই তাঁর কাজ। তিনি সেটাই করেছেন। প্রধানমন্ত্রী  নরেন্দ্র মোদীর সভার কথা উল্লেখ করে  মুখ্যমন্ত্রী বলেন আপনি তো সেদিন ঠাকুর নগরে সভা করেলেন। তখন  কতজন সিআরপিএফ জওয়ান আপনার  সঙ্গে ছিলেন? আপনার সভায় থাকলে সমস্যা নেই আর অন্য কারও সভায় থাকলেই সমস্যা?

 আমরা কাল একটা চিঠি পাঠিয়ে দেব কোনও সমস্যা হবে না। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে  পুলিশ আসতেই পারে।       

আজ সকালে সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জানাল  আপাতত গ্রেফতার করা  যাবে না রাজীব কুমারকে। আপাতত গ্রেফতার করা  না গেলেও তদন্তে সব  ধরনের সাহায্য  করতে হবে রাজীবকে। শিলংয়ে গিয়ে সিবিআইয়ের আধিকারিকদের সঙ্গে  দেখা করে তথ্যও দিতে হবে  তাঁকে।   গত রবিবার সিবিআইয়ের আধিকারিকরা রাজীব কুমারের বাড়িতে  ঢুকতে  গিয়ে বাঁধা  পান । তারপরই আদালতের দ্বারস্থ  হয়। সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে সারদাকাণ্ডে কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে অন্যতম অভিযুক্ত বলল সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি রাজীব কুমার তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করে ফেলতে পারেন। ওই ঘটনার পর থেকেই ধর্না শুরু করেন মমতা।  এদিন  সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ জানতে পেরেই মমতা  বলেন এটা দেশের গণতন্ত্র এবং  সংবিধানের জয়।

.