This Article is From Sep 27, 2019

কাশ্মীর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্যে চাপ দিল আমেরিকা, ধমক পাকিস্তানকেও

Jammu and Kashmir: কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যদিও কোনও তৃতীয়পক্ষের মধ্যস্থতায় রাজি নয় ভারত

কাশ্মীর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্যে চাপ দিল আমেরিকা, ধমক পাকিস্তানকেও

Jammu and Kashmir: জম্মু ও কাশ্মীরের চলতি নিষেধাজ্ঞার জেরে গ্রেফতার করে রাখা হয়েছে সেখানকার রাজনৈতিক নেতাদেরও

হাইলাইটস

  • "উত্তেজনা কমলে গোটা বিশ্ব উপকৃত হবে", বলেন এক মার্কিন আধিকারিক
  • কাশ্মীর নিয়ে উত্তেজনা কমাতে মধ্যস্থতা করতে রাজি ট্রাম্প,বলেন ওই আধিকারিক
  • কাশ্মীর নিয়ে তৃতীয় পক্ষের কোনও ভূমিকা প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত
রাষ্ট্রসংঘ:

জম্মু ও কাশ্মীরে জারি নিষেধাজ্ঞাগুলি প্রত্যাহারে খুব দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করুক ভারত, এমনটাই চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (United States)। প্রয়োজনে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে ইচ্ছুক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প (Donald Trump), ফের জানালেন এক মার্কিন আধিকারিক। তবে ভারতের পক্ষ থেকে এর আগেও স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে, কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) ইস্যুটি সম্পূর্ণ ভারতের অভ্যন্তরীণ ইস্য়ু, এবং এটির বিষয়ে কোনও তৃতীয় পক্ষের মধ্য়স্থতা চায় না দেশ। শুক্রবারই রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তার আগে নরেন্দ্র মোদি ও ইমরান খানের সঙ্গে পৃথক পৃথক ভাবে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব রয়েছে মুখে একথা বললেও জম্মু ও কাশ্মীরের নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

"৫ অগাস্টের আগে কাশ্মীরে জগাখিচুড়ি ছিল": ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদে বললেন এস জয়শঙ্কর

"আমরা সেখান থেকে সীমাবদ্ধতা তুলে নেওয়া এবং যাদের আটক করা হয়েছে তাদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশা করি", বলেন দক্ষিণ এশিয়ার বিদেশ দফতরের শীর্ষ আধিকারিক অ্যালিস ওয়েলস ।

অগাস্টের প্রথম দিকে, কেন্দ্র জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সমাপ্ত করে বলেছিল যে এই পদক্ষেপটি রাজ্যের মানুষদের দেশের অন্যান্য মানুষের মতোই সাংবিধানিক সুবিধা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও ঝামেলা বা বিক্ষোভ রোধ করার লক্ষ্যে মেহবুবা মুফতি, ফারুক আবদুল্লা সহ সেখানকার কয়েকশ অন্যান্য রাজনীতিকেও গ্রেফতার করে রাখা হয়েছে। বন্ধ করে রাখা হয় মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবাও। 

শ্রীমতি ওয়েলস বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে কাশ্মীর বিষয়ে তেমন কিছু না বললেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র "সর্বোচ্চ স্তরে" কাশ্মীর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের আটক অবস্থা এবং সেখানকার বাসিন্দাদের উপর বিধিনিষেধ জারি করা নিয়ে উদ্বিগ্ন", বলেন দক্ষিণ এশিয়ার বিদেশ দফতরের শীর্ষ আধিকারিক অ্যালিস ওয়েলস । তিনি আরও বলেন, "দু'দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমলে গোটা বিশ্বই উপকৃত হবে এবং এই কারণগুলির পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প উভয় পক্ষের মধ্যে প্রয়োজনে মধ্যস্থতা করতেও রাজি" । যদিও ভারতের পক্ষ থেকে বারবারই কোনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার সম্ভাবনা খারিজ করা হয়েছে। 

কাশ্মীরের উন্নতির প্রতিশ্রুতি পালনে প্রধানমন্ত্রীকে উৎসাহ ডোনাল্ড ট্রাম্পের

সেইসঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরে জারি নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে ভারত জানিয়েছে, সাময়িক সময়ের জন্যে নেওয়া এই বিধিনিষেধ সংক্রান্ত পদক্ষেপ কাশ্মীরে অর্থনৈতিক বিকাশ ঘটাতে এবং সেখানকার শান্তিকে নিশ্চিত করতেই নেওয়া হয়েছে এবং পাকিস্তানকে এ বিষয়ে সবরকম হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে তিরষ্কার আমেরিকার

এদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাশ্মীর বিষয়ক মন্তব্যকে খারিজ করে অ্যালিস ওয়েলস বলেন, "দুটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হ্রাসের প্রচেষ্টাকেই স্বাগত জানানো উচিত"।

পাশাপাশি ইমরান খানকে তিরষ্কার করে তিনি বলেন, "ইমরান খান কেন চিন নিয়ে কোনও কথা বলছেন না, যেখানে ওই দেশটি আনুমানিক এক মিলিয়ন উইঘুর এবং অন্যান্য তুর্কি ভাষী মুসলিমকে আটক করে রেখেছে "।

আসলে চিন পাকিস্তানের প্রধান কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক অংশীদার। ইমরান খান সোমবার উইঘুরদের সম্পর্কে একটি প্রশ্নের উত্তরে জানান, পাকিস্তানের চিনের সঙ্গে "বিশেষ সম্পর্ক" রয়েছে এবং এ নিয়ে প্রয়োজনে শুধুমাত্র ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে এই ইস্যু উত্থাপন করবে।

মুঠোয় খবর, দেখে নিন সেরা খবরগুলি

.