This Article is From Apr 04, 2019

৪৮ বছর বাদে সি কিং হেলিকপ্টারকে বিদায় জানাল নৌ বাহিনী

প্রায় ৫ দশক বাদে  ভারতীয় নৌ বাহিনীর কাছ থেকে বিদায় নিল  সি কিং হেলিকপ্টার। ১৯৭১ সালে আইএনএস বিক্রান্তের সঙ্গে জুড়েছিল স কিং হেলিকপ্টার।

৪৮ বছর বাদে সি কিং হেলিকপ্টারকে বিদায় জানাল নৌ বাহিনী

ভারতের পক্ষে এই অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার পাওয়া  সহজ ছিল না।   

হাইলাইটস

  • প্রায় ৫ দশক বাদে ভারতীয় নৌ বাহিনীর কাছ থেকে বিদায় নিল সি কিং হেলিকপ্টার
  • ১৯৭১ সালে আইএনএস বিক্রান্তের সঙ্গে জুড়েছিল স কিং হেলিকপ্টার
  • নৌ সেনার অ্যান্টি সাবমেরিন হেলিকপ্টার হিসেবে কাজ চালাচ্ছিল সি কিং
নিউ দিল্লি:

প্রায় ৫ দশক বাদে  ভারতীয় নৌ বাহিনীর কাছ থেকে বিদায় নিল  সি কিং হেলিকপ্টার। ১৯৭১ সালে আইএনএস বিক্রান্তের সঙ্গে জুড়েছিল স কিং হেলিকপ্টার (Navy Helicopter) । সেই তখন থেকে ভারতীয় নৌ সেনার (Navy) অ্যান্টি সাবমেরিন হেলিকপ্টার (Anti Submarine ) হিসেবে কাজ  চালাচ্ছিল সি কিং। শত্রুপক্ষের সাবমেরিনের খুঁজে বের করতে এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা করতে এই হেলিকপ্টারের ব্যবহার হত। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। প্রযুক্তি গত  উন্নয়ন হয়েছে অনেকটাই। যুদ্ধ জাহাজে থাকা হেলিকপ্টার থেকে শুরু করে  অন্য সব কিছুরই মান আগের থেকে ভাল হয়েছে। এর সঙ্গেই হেলিকপ্টারের দেখভাল করাও একটি সমস্যার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর সেই কারণে  বেশির ভাগ সি কিং হেলিকপ্টার-ই আর ব্যবহার হয় না।

মমতাকে ‘স্পিড ব্রেকার দিদি' বলে কটাক্ষ করলেন মোদী, যা বলার সভায় বলব: মুখ্যমন্ত্রী

আমেরিকা  ভারতকে ২৪ এমএইচ-৬০৪ হেলিকপ্টার বিক্রির কথা জানিয়েছে। এর জন্য খরচ হবে ২.৬ বিলিয়ন টাকা। পরিস্থিতি যা তাতে  নৌ বাহিনীর পক্ষে অপেক্ষা করাও সম্ভব ছিল না।এখন  বেশির ভাগ  যুদ্ধ জাহাজ-ই অ্যান্টি সাবমেরিন হেলিকপ্টার ছাড়াই কাজ করছে। কোথাও কোথাও অবশ্য চেতকের ব্যবহার হচ্ছে। চেতক অবশ্য সি কিংয়ের থেকেও বেশি পুরনো। আমেরিকা জানিয়েছে, নতুন হেলি কপ্টার চলে এলে অ্যান্টি সারফেস এবং অ্যান্টি সাবমেরিন মিশন এগিয়ে নিয়ে যেতে সুবিধা হবে ভারতের। তবে ভারতের পক্ষে এই অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার পাওয়া  সহজ ছিল না।   

ljbb9so

 এরকমই নতুন হেলিকপ্টার  পেতে চলেছে  নৌ বাহিনী।

এমএইচ-৬০৪ হেলিকপ্টার পেতে ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে মার্কিন প্রশাসনকে অনুরোধ করে ভারত। এর ঠিক এক মাস আগে সিওএমসিএএসএ- চুক্তি স্বাক্ষর করে দুটি দেশ। এই চুক্তির ফলে নিরাপত্তা সংক্রান্ত উপগ্রহ তথ্য ভারতকে  দেয় আমেরিকা। বলার অপেক্ষা রাখে না নতুন এই হেলিকপ্টারের অস্ত্র বহন ক্ষমতা খুবই বেশি।  তবে কিছুটা আশ্চর্যজনক ভাবে ভারতে যে সমস্ত হেলিকপ্টার আসতে চলেছে। তাতে খুব বেশি পরিমাণে অস্ত্র থাকবে না। বাহিনীর তরফে অবশ্য এ ব্যাপারে  ব্যাখা দেওয়া হয়নি।      

.