This Article is From Jun 19, 2020

"রিলায়েন্সের সোনার অধ্যায়": পুরোপুরি ঋণমুক্ত সংস্থা, ঘোষণা মুকেশ আম্বানির

Reliance Industries Debt-Free: "সময়ের আগেই শেয়ার হোল্ডারদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পেরেছি", বললেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধার

Mukesh Ambani: এত অল্প সময়ে মূলধন বাড়ানোর নজির বিশ্বে বিরল, দাবি করলেন রিলের প্রধান

হাইলাইটস

  • রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের কাঁধে বিরাট অঙ্কের ঋণ ছিল
  • তবে নির্দিষ্ট সময়েই অনেক আগেই তা শোধ করা সম্ভব হয়েছে
  • শুক্রবার এই ঘোষণা করলেন রিলের কর্ণধার মুকেশ আম্বানি

করোনা ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত এবং তার জেরে জারি লকডাউনের কারণে যখন বহু শিল্পসংস্থাই ধুঁকছে, ঠিক সেই সময় নজিরবিহীন সাফল্য পেল মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ। তাঁর সংস্থা (Reliance Industries)এখন সোনার অধ্যায়ের মধ্যে দিয়ে চলেছে এবং নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সংস্থার ঘাড়ে থাকা ঋণের বোঝা (Reliance Industries Debt-Free) নামিয়ে ফেলতে পেরেছে, এমনটাই শুক্রবার ঘোষণা করেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধার মুকেশ আম্বানি। ২০২১ সালের ৩১ মার্চ, বকেয়া সব টাকা শোধ করার জন্যে ওই পর্যন্তই ছিল সময়সীমা, অথচ নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই সমস্ত ঋণ শোধ করে শেয়ার হোল্ডারদের স্বস্তি দিয়েছেন তিনি (Mukesh Ambani)। এত অল্প সময়ে মূলধন বাড়ানোর নজির বিশ্বে বিরল, এমন দাবিই করলেন রিলের প্রধান।

১০ রাজ্যের ২৪ টি রাজ্যসভা আসনে ভোটগ্রহণ, হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা

শুক্রবার রিলায়েন্সের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়, “এত কম সময়ে কোনও সংস্থায় এতটা মূলধন জমা করতে পারার উদাহরণ সারা বিশ্বে বিরল। ভারতের কর্পোরেট ইতিহাসে এমন ঘটনা কখনও ঘটেইনি, এই সংস্থা একটা নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো ব্যবসার দুনিয়ায়। কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে যখন বিশ্বজুড়ে লকডাউন চলছে, তারই মধ্যে এই সাফল্য পাওয়া সম্ভব হয়েছে, এটা তাই আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। এর বাইরেও রিলায়েন্সের স্টেকহোল্ডার ভারত পেট্রোলিয়ামের তরফে আরও ১ লক্ষ ৭৫ হাজার কোটি টাকার লগ্নি করানো সম্ভব হয়েছে। সব মিলিয়ে কার্যত অসম্ভবকে সম্ভব করা হয়েছে”।

জম্মু-কাশ্মীরের সোপিয়ান ও পাম্পোরে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই, খতম ৮ জঙ্গি

মুকেশ আম্বানি আরও বলেছেন যে, “আমরা সকলের কাছে বারবারই প্রত্যাশার বাইরে গিয়ে নিজেদের প্রমাণ করেছি। এটাই রিলায়েন্সের আসল চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, যা সংস্থার ডিএনএর মধ্যে ঢুকে গেছে। তাই ঋণমুক্ত সংস্থা হিসেবে আমি যথেষ্ট গর্ব অনুভব করছি। সেই গর্বের সঙ্গেই আমি সংস্থার শেয়ারহোল্ডার ও স্টেকহোল্ডারদের আরও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, আমরা আরও অনেক বেশি উচ্চতায় নিয়ে যাবো ব্যবসাকে। আমাদের প্রতিষ্ঠাতা ধীরুভাই আম্বানির অনুপ্রেরণায় এই দেশের অর্থনীতিতে ক্রমাগত উন্নতি ঘটানোর সবরকম প্রচেষ্টাও করবো আমরা”।

মোট ১,৬১,০৩৫ কোটি টাকার ঋণের বোঝা ছিল রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের মাথায়। এতটা ঋণের বোঝা চেপে যাওয়ার পরেই মুকেশ আম্বানি সংস্থার মূলধন ও বিনিয়োগ বাড়ানোর দিকে জোর দেন। ১০ জন তথ্যপ্রযুক্তি বিনিয়োগকারীর তরফে ১ লক্ষ ১৫ হাজার ৬৯৪ কোটি টাকার ফান্ড জোগাড় করা হয় সংস্থার জন্যে। এছাড়াও অন্যান্য ইস্যুভিত্তিক কাজের জন্য আসে ৫৩ হাজার ১২৪ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ। ফেসবুক, সিলভার লেক, ভিস্তা পার্টনার্স, জেনারেল অ্যাটলান্টিক, কেকেআর, মুদাবালা– ইত্যাদি একাধিক বৈদেশিক সংস্থা থেকে আসে ১১৫,৬৯৩.৯৫ কোটি টাকার মূলধন। এরপরেই ঘুরে দাঁড়ায় রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ।

.