This Article is From Jan 27, 2020

কমলালেবু বিক্রেতা প্রৌঢ় পেলেন পদ্মশ্রী, অবাক করা তাঁর জীবন

নিজের সামান্য রোজগারের ভগ্নাংশ জমিয়ে ২০০০ সালে একটি স্কুল স্থাপন করেন তিনি। এরপর পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়তে থাকলে ঋণ নিয়ে স্কুলের জন্য কিনে ফেলেন জমি।

কমলালেবু বিক্রেতা প্রৌঢ় পেলেন পদ্মশ্রী, অবাক করা তাঁর জীবন

৬৮ বছরের হারেকালা হাজাব্বা এবছরের পদ্মশ্রীর জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।

পেশায় তিনি কমলালেবু বিক্রেতা (Orange Seller Won Padma Shri)। ২০২০ সালের পদ্মশ্রী প্রাপকদের (Padma Shri 2020) তালিকায় রয়েছে তাঁর নাম। এক ভারতীয় বন বিভাগের আধিকারিক পরভীন কাসওয়ান জানাচ্ছেন, ৬৮ বছরের হারেকালা হাজাব্বা একটি রেশন দোকানে দাঁড়িয়ে থাকার সময় খবরটি পান। জানতে পারেন দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি। পরভীন কাসওয়ান একটি টুইটে জানান, ‘‘হারেকালা হাজাব্বা একটি রেশন দোকানের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। তখনই কর্তৃপক্ষ তাঁকে খবরটা জানান। জানিয়ে দেন তিনি পদ্মশ্রী পেয়েছেন।'' পোস্টটি এরই মধ্যে ৬,০০০ লাইক পেয়েছে।

'বিবিধের মাঝে মিলন মহান', ৭১ তম Republic Day-র ডুডলে

পোস্টে তিনি আরও জানান, ‘‘দক্ষিণ কন্নড়ের এই ফল বিক্রেতা তাঁর গ্রাম নিউপাদাপুতে। দরিদ্র শিশুদের পড়াচ্ছেন গত এক দশক ধরে এক মসজিদে।''

Viral Video: বাঘের থাবার থেকে রেহাই! কীভাবে সম্ভব?

‘বিবিসি'-র সূত্রে জানা যাচ্ছে যে গ্রামে হাজাব্বা থাকেন সেখানে একটিও স্কুল ছিল না। নিজের সামান্য রোজগারের ভগ্নাংশ জমিয়ে ২০০০ সালে একটি স্কুল স্থাপন করেন তিনি। এরপর পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়তে থাকলে ক্রমে ঋণ নিয়ে স্কুলের জন্য জমি কিনে ফেলেন হাজাব্বা।

কেন হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত? হাজাব্বা জানাচ্ছেন, ‘‘এক বিদেশি দম্পতি আমাকে কমলালেবুর দাম জিজ্ঞাসা করেন। কিন্তু আমি কিছুই বুঝতে পারিনি। আমি টুলু ও বিয়ারি ছানা কোনও ভাষা জানি না। তাঁরা চলে গেলেন। আমার খুব খারাপ লাগল। এবং ঠিক করি অন্তত আমার গ্রামের বাচ্চাদের যেন এমন সমস্যায় পড়তে না হয়। আমি বুঝতে পারি, যোগাযোগ একজনের জীবনে কীভাবে প্রগতি আনতে পারে। এবং মানুষকে জুড়তেও পারে।''

টুইটারে সকলের মন জিতে নিয়েছে তাঁর আশ্চর্য জীবনের কাহিনি। 

তিনি পরিচিত হয়ে গিয়েছেন ‘অক্ষর সান্তা' অর্থাৎ অক্ষরের সাধু নামে। তাঁর এখন আশা, এবার সরকার তাঁর গ্রামে একটি কলেজ করে দেবেন। 

Click for more trending news


.