This Article is From Mar 11, 2019

দেশের প্রথম মহিলা বোন ম্যারো দাতা এই দক্ষিণি মা বাঁচালেন দিল্লির শিশুর জীবন

মাসিলামানির বিশ্বাস, তাঁকে দেখে অন্যরাও উৎসাহী হবেন বোন ম্যারো দান করতে এবং আরও অনেক মানুষ প্রাণে বাঁচবেন। তাঁর কথায়, “আমি জানি মহিলাদের পক্ষে বোন ম্যারো দান পুরুষের থেকে কঠিনই। কিন্তু একজনকে প্রাণে বাঁচানোর আনন্দের চেয়ে সেই কষ্ট অনেক লঘু।

দেশের প্রথম মহিলা বোন ম্যারো দাতা এই দক্ষিণি মা বাঁচালেন দিল্লির শিশুর জীবন

কোথায় মিশে যায় এদেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ? কেউ বলবেন উৎসবে, কেউ বলবেন আকাশে। কেউ বা বলবেন মাটিতে। কিন্তু দেশের প্রথম বোন ম্যারো দাতা (country's first female bone marrow donor) হয়ে উত্তর ভারত আর দক্ষিণ ভারতকে মিশিয়েছেন ২৬ বছরের মাসিলামানি (Masilamani)। তাঁর বোন ম্যারো দিয়ে প্রাণে বাঁচিয়েছেন দিল্লির এক অসুস্থ তিন মাস বয়সী শিশুকে। তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটোরের একটি গ্রামের মা মাসিলামানির নিজেরও একটি সন্তান রয়েছে, সে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত। মাসিলামানি বলছেন, “আমি বিশ্বাস করি আমার উপর আশীর্বাদ আছে। আমাদের সমাজে প্রচলিত নানা ভুল ধ্যান ধারণা ভেঙে যে একটা শিশুকে বাঁচাতে পেরেছি এই তো অনেক। আমিও তো এক শিশুর মা। আমি তো বল্ব ওই বাচ্চটিও আমারই সন্তান, আমি ওকে বাঁচার দ্বিতীয় সুযোগ দিলাম। আমি প্রার্থনা করি ও তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাক। আর যেন কষ্ট না পেতে হয়।” 

ইথিওপিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় মৃতদের মধ্যে ছিলেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের পরামর্শদাতা

বোন ম্যারো দান করবেন এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে সমাজের প্রচলিত ধ্যান ধারণা সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “ভেলিয়াঙ্গিরি পাহাড়ের পাদদেশে আমাদের প্রত্যন্ত গ্রাম। আধুনিকতার রেশ খুব কমই সেখানে। খুব অল্পই শিক্ষিত মানুষ রয়েছেন। অতএব, নতুন কিছু চিন্তা, নতুন কোনও পদক্ষেপ করলে গ্রামে বাধা পেতেই হবে।” কোয়েম্বাটোরের একটি ছোট্ট গ্রাম মুধালিপালায়ামের বাসিন্দা মাসিলামানি মাত্র ২০ বছর বয়সে আর কাভিয়ারাসনকে বিয়ে করেন। তাঁর কথায়, “এক বছরের মধ্যেই আমার মেয়ের জন্ম হয় এবং কয়েক মাস পরেই ওর থ্যালাসেমিয়া ধরা পড়ে। আমরা দু'জনেই আমাদের লিউকোসাইট অ্যান্টিজেন (এইচএলএ) পরীক্ষা করে দেখতে চাইলাম যে আমরা আমাদের সন্তানের জন্য কোনও ম্যাচ হতে পারি কিনা।  রক্ত ​​স্টেম কোষ দাতাতের রেজিস্ট্রি দাত্রীতে (DATRI) যাই। সেখানেই জানতে পারি আমি একটি বাচ্চা ছেলের বোন ম্যারো ডোনার হতে পারি।" 

ছাদনাতলায় টলছে বর, বিয়ে ভেস্তে দিলেন বিহারের কনে

মাসিলামানি বলেন, কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না কী করা উচিৎ। আমার স্বামী রাজি হয়ে যান, ওই বাচ্চাটিকে বাঁচাতে। কিন্তু আমরা এত সহজে সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। আমার শ্বশুরবাড়ির সকলেই বলে আমাদের কিছু হয়ে গেলে আমার বাচ্চাকে কে দেখবে? যদি কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় কে বাঁচাবে! পরে মাসিলামানি বোন ম্যারো দানের বিষয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ চান। এবং জানতে পারেন বোন ম্যারো দানের কোনও স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। মাসিলামানির বিশ্বাস, তাঁকে দেখে অন্যরাও উৎসাহী হবেন বোন ম্যারো দান করতে এবং আরও অনেক মানুষ প্রাণে বাঁচবেন। তাঁর কথায়, “আমি জানি মহিলাদের পক্ষে বোন ম্যারো দান পুরুষের থেকে কঠিনই। কিন্তু একজনকে প্রাণে বাঁচানোর আনন্দের চেয়ে সেই কষ্ট অনেক লঘু। অনেকে ভাবেন বোন ম্যারো দিলে ঠিকভাবে হাঁটতে পারবেন না, শয্যাশায়ী হবেন, মেরুদণ্ড থেকে মজ্জা নেওয়া হবে ইত্যাদি। কিন্তু আমি তো দিয়েছি, আমি জানি এসব কিছুই হয় না।”

বর্তমানে ভারতে মোট ১,৩৬,২৪৪ মহিলা দাতা রয়েছেন যা মোট নিবন্ধিত দাতার সংখ্যার ৩৪ শতাংশ। গত দুই বছরে অনুদান থেকে শেষ মুহূর্তে সরে এসেছেন এমন নারীর সংখ্যা ১২৯ জন। দাত্রীর প্রতিষ্ঠাতে এবং সিইও রঘু রাজাগোপাল বলেন, “আমি মাসিলামানিকে ভারতের প্রথম মহিলা বোন ম্যারো দাতা হিসেবে পেয়ে গর্বিত।”



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.