This Article is From Jun 07, 2019

মমতার দাবি, সুপ্রিম কোর্টের মতো নির্বাচন কমিশনার নিয়োগেও কলেজিয়াম থাকা উচিত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দাবি নির্বাচন কমিশনের একটি কলেজিয়াম থাকা উচিত, যার দ্বারা নির্বাচন আধিকারিকদের নিয়োগ করা হবে।

মমতার দাবি, সুপ্রিম কোর্টের মতো নির্বাচন কমিশনার নিয়োগেও কলেজিয়াম থাকা উচিত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, অন্য বিরোধী দলগুলিরও উচিত ইভিএম কারচুপি নিয়ে সরব হওয়া।

হাইলাইটস

  • মমতা দাবি করেন, লোকসভা নির্বাচনে কমিশন পক্ষপাতিত্ব দেখিয়েছে।
  • ১৫ জুন নীতি আয়োগে যোগ না দেওয়া নিয়েও মুখ খোলেন মমতা।
  • তিনি বিরোধীদেরও ইভিএম কারচুপি নিয়ে সরব হতে বলেন।
কলকাতা:

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) শুক্রবার দাবি করলেন নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) একটি কলেজিয়াম থাকা উচিত, যার দ্বারা নির্বাচন আধিকারিকদের নিয়োগ করা হবে। সুপ্রিম কোর্টে যেমন ভাবে কলেজিয়ামের দ্বারা বিচারপতি ন‌িয়োগ করা হয়, তেমনই পদ্ধতি এক্ষেত্রে চালু করার পক্ষে তাঁর মত জানালেন মমতা (Mamata Banerjee)। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) উপরে তাঁর ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি দাবি করেন, লোকসভা নির্বাচনে কমিশন পক্ষপাতিত্ব দেখিয়েছে। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের তিনজন মনোনীত সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা করার ক্ষমতাই ছিল না। তিনি অন্য বিরোধী দলগুলির কাছে আবেদন জানালেন, একসঙ্গে মিলে ইভিএম কারচুপির বিরুদ্ধে সরব হয়ে এ সম্পর্কিত একটি সত্য অনুসন্ধানী কমিটি তৈরি করার দাবি করার।

“দেশদ্রোহীর” মতো কাজ করছেন মমতা

তিনি(Mamata Banerjee) বলেন, ‘‘বহু প্রমাণ রয়েছে ইভিএম কারচুপির। আমরা মনে করি একটি সত্য অনুসন্ধানী কমিটি থাকা উচিত যারা ইভিএম কারচুপি, হাওয়ালা লেনদেনের বিষয়ে তদন্ত করবে। অন্য বিরোধী দলগুলিরও এমন দাবি করা উচিত। আমি এই দাবির বিষয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে কথা বলব।''  তিনি আরও বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টেও নির্বাচনের (বিচারপতিদের নিয়োগের) একটি কলেজিয়াম থাকে। সুতরাং নির্বাচন কমিশনেও এমন কলেজিয়াম থাকা উচিত, যেখান থেকে নির্বাচন কমিশনারদের নিযুক্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনজন মনোনীত সদস্যের নির্বাচন পরিচালনার ক্ষমতাই ছিল না।''

‘ক্ষমতাহীন' বলে নীতি আয়োগের বৈঠকে যাবেন না মমতা, চিঠি লিখলেন মোদীকে

১৫ জুন নীতি আয়োগে যোগ না দেওয়া নিয়েও মুখ খোলেন মমতা(Mamata Banerjee)। তিনি জানান, ওই ধরনের বৈঠকে যোগ দেওয়া ‘একেবারেই অপ্রয়োজনীয়' , যেখানে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করেই কেন্দ্র বৈঠকের বিষয় ঠিক করে ফেলেছে। তিনি বলেন, ‘‘ওরা বিষয়সূচি ঠিক করে ফেলে আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই। এবং যে বিষয় ঠিক করা হয়েছে, সেগুলিও রাজ্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বহীন। আমাদের কথাও বলতে দেওয়া হয় না।''

.