This Article is From Jun 10, 2020

পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানো ট্রেনকে “করোনা এক্সপ্রেস” বলেননি, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর

নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষ যা বলেছেন, সেটাই উল্লেখ করেছেন তিনি

পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানো ট্রেনকে “করোনা এক্সপ্রেস” বলেননি, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর
কলকাতা:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে অমিত শাহ, পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনা ট্রেনকে “করোনা এক্সপ্রেস” (Corona Express) বলার অভিযোগ তোলার ২৪ ঘণ্টা পরেই সেই অভিযোগ খারিজ করে দিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষ যা বলেছেন, সেটাই উল্লেখ করেছেন তিনি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বাংলায় ফিরে এসেছেন ১১ লক্ষের বেশি শ্রমিক। কখনও পরিযায়ীদের ট্রেনকে ‘করোনা এক্সপ্রেস' বলিনি। সাধারণ মানুষ এই নাম দিয়েছে”। মঙ্গলবার ভার্চুয়াল জনসভায় অমিত শাহ (Amit Shah) অভিযোগ করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ধরণের অপমানজনক মন্তব্য করে শ্রমিকদের অপমান করেছেন, এবং শ্রমিকরাই তাঁর বিদায়ী ট্রেন হবেন।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, “যেহেতু করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে, সেই জন্য যাতে এক জায়গায় বহু মানুষের ভিড় না হয়, তারজন্য রেল পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। সেই জন্যই আমি বলেছি...যেটার আপনি ভুল মানে বুঝেছেন”।

বাসন্তীতে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন

এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যদি আপনি লকডাউনের ঘোষণার আগে যদি আপনি ৭দিন শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালাতেন, তাহলে এই তিনমাস শঅরমিকদের ভোগান্তি হত না। আমাদের থেকে আপনাকে শিখতে হবে। এখানকার শ্রমিকরা কোথাও যেতে চাননি”।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিযোগ খারিজের পাশাপাশি এদিনের সভা থেকে সরকারি দফতরগুলিতে শিফট চালুর ঘোষণা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম শিফটে কাজ হবে সকাল ৯.৩০টা থেকে দুপুর ২.৩০টে পর্যন্ত, পরের শিফট হবে বেলা ১২.৩০টাথেকে বিকেল ৫.৩০টা পর্যন্ত। করোনা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে রাজ্যের তরফে।

যুবভারতী থেকে ফুলবাগান পর্যন্ত মেট্রোর কাজ খতিয়ে দেখবেন রেল সুরক্ষা কমিশনার

পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে শুধুমাত্র লক্ষণহীন কর্মীরাই অফিস যেতে পারবেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, কোনওরকম লক্ষণ থাকলে তিনি বাড়ি থেকেই কাজ করবেন।

সরকারি কার্যলয়গুলির পাশাপাশি বেসরকারি অফিসগুলিও যাদের পক্ষে সম্ভভ, তারা যেন কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজের সুবিধা দেন, সেই আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আবেদন,যে সমস্ত বেসরকারি অফিসগুলিতে কর্মীদের উপস্থিতি প্রয়োজন, তারাও যেন কর্মীদের বিভিন্ন শিফটে ভাগ করে দেন, যাতে ভিড় এড়ানো যায়।

.