हिंदी में पढ़ें
This Article is From Jan 30, 2020

Mahatma Gandhi Death Anniversary: প্রয়াণের আগে এভাবেই মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ‘জাতির জনক’

Mahatma Gandhi Death Anniversary: মৃত্যুর আগে এভাবেই দাঙ্গা বিধ্বস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে এসেছিলেন ‘জাতির জনক'।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by (with inputs from IANS)

প্রয়াণের তিন দিন আগে কুতুবুদ্দিন বখতিয়ার দরগায় পৌঁছন তিনি।

Highlights

  • ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি মহাত্মা গান্ধির প্রয়াণ দিবস
  • প্রয়াণের তিন দিন আগে কুতুবুদ্দিন বখতিয়ার দরগায় আসেন তিনি
  • দাঙ্গা বিধ্বস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে এসেছিলেন ‘জাতির জনক’

বৃহস্পতিবার মহাত্মা গান্ধির (Mahatma Gandhi) প্রয়াণ দিবস (Mahatma Gandhi Death Anniversary)। ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি তাঁকে হত্যা করে নাথুরাম গডসে। সেবছরের ১৮ জানুয়ারি তাঁর জীবনের শেষ অনশন ভঙ্গ করেন মহাত্মা গান্ধি। এরপর তাঁর প্রয়াণের তিন দিন আগে কুতুবুদ্দিন বখতিয়ার দরগায় পৌঁছন তিনি। লক্ষ্য সাম্প্রদায়িক হিংসায় উন্মত্ত দিল্লির শান্তি ফিরিয়ে আনা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মৌলানা আজাদ ও রাজুমারী অমৃতা কৌর। ৭৯ বছরের গান্ধি সেখানে পৌঁছে দেখতে গিয়েছিলেন ক্ষতির পরিমাণ। উপবাসের ধাক্কায় তখনও তিনি অসুস্থ। দাঙ্গার সময় এই দরগায় আক্রমণ করা হয়েছিল। হয়েছিল প্রচুর ভাঙচুর। তাই বহু মুসলমানই নিরাপদ স্থানে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এমনকী দরগার কর্মচারীরাও সেখান থেকে চলে গিয়েছিলেন।

খরাক্লিষ্ট গ্রামকে শস্যশ্যামলা বানিয়ে পদ্মশ্রী পেলেন মহারাষ্ট্রের গ্রামপ্রধান

দরগার ক্ষতিগ্রস্ত চেহারা দেখে ভেঙে পড়েছিলেন প্রবীণ গান্ধি। শরীর-মন ছিল শ্রান্ত। তিনি সবাইকে শান্তিতে বসবাস করার আবেদন জানানোর পাশাপাশি শরণার্থীদের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পুনর্নিমাণ করার কথা বলেছিলেন।

Advertisement

দরগার মেরামতির জন্য মহাত্মা গান্ধি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর কাছে ৫০,০০০ টাকা চেয়েছিলেন। সেযুগে ওই টাকার অঙ্ক ছিল বিরাট। তাঁর যাত্রা শেষে গান্ধি লিখেছিলেন, ‘‘অজমেরের দরগার পরে এটাই দ্বিতীয় স্থান যেখানে কেবল মুসলিমরাই নন, হাজার হাজার অ-মুসলিমরাও আসে।''

মহিলাদের মসজিদে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে ইসলাম: সুপ্রিম কোর্টকে জানাল পার্সোনাল ল বোর্ড

Advertisement

দরগা ছেড়ে যাওয়ার আগে এক সমাবেশে সকলকে সাম্প্রদায়িক হিংসার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে ও শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখার আবেদন করেছিলেন।

একজন ধর্মপ্রাণ হিন্দু হওয়া সত্ত্বেও দিল্লিতে প্রায় তিন দশকের বেশি বসবাসকালে মাত্র দু'বার ধর্মস্থানে গিয়েছিলেন তিনি। একবার ১৯২৯ সালে বিড়লা মন্দিরের উদ্বোধনের সময়। সেবার তিনি জানিয়েছিলেন, এই মন্দিরে দলিতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা যাবে না। তারপর এই ১৯৪৮-এ দরগা সফর। তখন কে জানত, মৃত্যু একেবারে কাছে এসে ওত পেতে বসে রয়েছে। মৃত্যুর আগে এভাবেই দাঙ্গা বিধ্বস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে এসেছিলেন ‘জাতির জনক'।

Advertisement

বখতিয়ার কাকি দরগা প্রতিবছর বসন্তের সময় প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে এখানে উৎসব হয়। উৎসব চলাকালীন হিন্দু এবং মুসলমান উভয়ই এই দরগায় চাদর সরবরাহ করে।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
Advertisement