This Article is From Apr 25, 2019

কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে হাওয়া মোদির বিরুদ্ধে জমা পড়া নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ!

নির্বাচন কমিশনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “প্রযুক্তিগত ত্রুটি”র কারণে বিষয়টা ভুল প্রদর্শিত হয়েছে।

কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে হাওয়া মোদির বিরুদ্ধে জমা পড়া নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ!

General Elections 2019: ৯ এপ্রিল মোদির বিরুদ্ধে করা একটি নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না

নিউ দিল্লি:

নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ একের পর এক উঠেই চলেছে সমস্ত দলের রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু কমিশনে প্রধানমন্ত্রীর (Prime Minister Narendra Modi) বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়তেই তা গায়েব হয়ে গিয়েছে বলেই খবর। মহারাষ্ট্রের লাতুরে একটি জনসমাবেশে মোদির বক্তব্য নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করেছিল বলেই অভিযোগ জানানো হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট (Election Commission's website) থেকে বেমালুম হাওয়া সেই অভিযোগ! নির্বাচনী প্রচার নিয়ে এ পর্যন্ত মোট ৪২৬ টি অভিযোগ জানানো হয়েছে কমিশনে। তালিকাটি নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটেই প্রকাশ্যে পাওয়া যায়। কিন্তু গত ৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে ওঠা এমনই একটি অভিযোগ ওই তালিকায় আর দেখা যাচ্ছে না। কলকাতার এক ব্যক্তি মহেন্দ্র সিং ওই অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, মহারাষ্ট্রের লাতুরের মোদির একটি সমাবেশে পুলওয়ামা আক্রমণে শহিদ জওয়ানদের স্মৃতি এবং পাকিস্তানকে দেওয়া ভারতের ‘যোগ্য জবাবে'র নিরিখে ভোটারদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। 

বিজেপিকে ভোট দিতে ‘বললেন মমতা'! বিজেপির টুইট ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি

দুই দিন পর নির্বাচন কমিশন, আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে মহারাষ্ট্রের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের (CEO Maharashtra) কাছ থেকে এই ঘটনার একটি ভাষ্য প্রতিলিপি চেয়ে পাঠিয়েছে। অভিযোগের অবস্থা নিয়েও বিভ্রান্তি রয়েছে।

মহেন্দ্র সিং বলেন, তাঁর জানানো অভিযোগের অবস্থা কী তা জানার জন্য যখন তিনি যখন লগ ইন করেন, তাঁকে দেখানো হয় যে, তাঁর অভিযোগের ‘সমাধান' হয়ে গিয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন জানায়, ‘সমাধান' হয়ে গিয়েছে এর পরিবর্তে পোর্টালটির দেখানো উচিৎ ছিল যে অভিযোগটি, ‘নির্বাচন কমিশনের সদর দফতরে পাঠানো' হয়েছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আগামীকাল দুপুর ১ টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছ থেকে ব্যাখ্যা চেয়ে পাঠিয়েছেন মহারাষ্ট্রের সিইও।

নির্বাচন কমিশনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “প্রযুক্তিগত ত্রুটি”র কারণে বিষয়টা ভুল প্রদর্শিত হয়েছে। ওই কর্মকর্তা জানান, অভিযোগটি সকলেই দেখতে পাবেন এমন অবস্থাতেই ছিল এবং এই জন্য মহারাষ্ট্রের নির্বাচনী অফিসারের থেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে যা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

 ‘স্পিড ব্রেকার দিদি'র পর মমতার এই নাম দিলেন মোদী

কিন্তু দুই সপ্তাহ পার করেও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের তরফে কোন ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। এবং এই সময়ের মধ্যে, প্রধানমন্ত্রী একাধিকবার তাঁর জনসভায় পুলওয়ামা ও বালাকোটের উল্লেখ করেছেন।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় নির্বাচনের সময়ে বিজেপি'র ‘জাতীয় নিরাপত্তা' ইস্যু প্রদর্শন করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে পাকিস্তানে বিমান হামলার কথা উল্লেখ করা নিয়ে জমা পড়া অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁরা পদক্ষেপ করবেন শীঘ্রই।

লোকসভা নির্বাচনের তিনটি দফায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। সাতটি পর্যায়ে নির্বাচন ১৯ মে শেষ হবে। ফলাফল ঘোষণা করা হবে ২৩ মে।

.