This Article is From Apr 03, 2019

"মিথ্যে আর দ্বিচারিতায় ভরা", কংগ্রেসের ইস্তেহারকে আক্রমণ মোদীর

তিনি এই ইস্তেহারকে ‘অসততার প্রতীক’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, “এটা কোনও ঘোষণাপত্র নয়। এটা একটি দ্বিচারিতার পত্র”।

কংগ্রেস কেন্দ্র ক্ষমতায় থাকার সময় উত্তর-পূর্ব ভারতকে বরাবরই অগ্রাহ্য করে গিয়েছে, বলেন মোদী।

পাসিঘাট, অরুণাচল প্রদেশ:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) বুধবার অরুণাচল প্রদেশে জনসভা করতে এসে তুমুল আক্রমণ করলেন কংগ্রেসের ইস্তেহারকে (Congress manifesto)। তিনি এই ইস্তেহারকে ‘অসততার প্রতীক' হিসেবে অভিহিত করে বলেন, “এটা কোনও ঘোষণাপত্র নয়। এটা একটি দ্বিচারিতার পত্র”। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের (LokSabha elections 2019) জন্য নিজেদের ইস্তেহার প্রকাশ করার পরেই একাধিক বিজেপি নেতা আক্রমণ করেন কংগ্রেসকে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলিও। তিনি কংগ্রেসের ইস্তেহারকে ‘ভয়ঙ্কর এবং বাস্তবসম্মত নয়' বলেও তোপ দাগেন। মঙ্গলবার সন্ধেবেলা একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, "কংগ্রেসের এই ইস্তেহার মাওবাদী ও জেহাদিদের রক্ষা করার কাজে সাহায্য করবে। শুধু তাই নয়, সন্ত্রাসবাদী ও তাদের ‘বন্ধু'দের মুখেও হাসি ফোটাবে কংগ্রেসের এই ম্যানিফেস্টো"।  তিনি বলেন, "এই ইস্তেহারে এমন এমন দাবি করা হয়েছে, যা দেশকে ভেঙে ফেলায় প্ররোচনা দেবে। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকা আর অপরাধ বলে গণ্য করা হবে না। যে দল এই কথাগুলি বলতে পারে, এই ইস্তেহার প্রকাশ করতে পারে, তাকে একটা ভোটও দেওয়া যাবে না"।

৩০০-র বেশি আসনে জিতবে বিজেপি; ভবিষ্যৎবাণী প্রকাশ জাভড়েকরের

কংগ্রেস যে ইস্তেহারটি প্রকাশ করে, সেটির সম্বন্ধে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেন যে, ‘সাধারণ মানুষের মুখের দিকে তাকিয়ে তৈরি করা হয়েছে'। তাঁর কথায়, এই ইস্তেহারের প্রধান পাঁচটি ধারণা হল-  NYAY প্রকল্পের অধীনে এনে যতটা সম্ভব দারিদ্র দূর করা, কর্মসংস্থান তৈরি করা যুবদের জন্য, জিএসটি'র সংস্কার, শিক্ষার জন্য দ্বিগুণ অর্থ বরাদ্দ করা এবং বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া।

‘রাহুলের থেকেও হাস্যকর আপনি'! আক্রমণকারীকে যোগ্য জবাবে কী বললেন সুষমা?

পাসিঘাটের জনসভায় নরেন্দ্র মোদীর গলায় শোনা গেল অরুণ জেটলির কথারই প্রতিধ্বনী। গান্ধী পরিবারের দিকে ইঙ্গিত করে একাধিকবার বলেন, এঁদের ঠিক কী হয়েছে! একদিকে এক হাত দিয়ে গোটা দেশকে রক্ষা করার কাজে লেগে রয়েছে এই চৌকিদার, অন্যদিকে ক্ষমতালিপ্সু কংগ্রেস ক্রমশ আরও নিচে নেমে যাচ্ছে। কংগ্রেসের হাতটা কি দেশের নাগরিকদের সঙ্গে রয়েছে, নাকি রয়েছে দেশবিরোধীদের সঙ্গে?

কংগ্রেস কেন্দ্র ক্ষমতায় থাকার সময় উত্তর-পূর্ব ভারতকে বরাবরই অগ্রাহ্য করে গিয়েছে এবং এই অঞ্চলের মানুষদের জন্য কোনও জনদরদী প্রকল্প তৈরির কথাও ভাবেনি, এমন অভিযোগও তোলেন নরেন্দ্র মোদী।

.