লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election 2019) শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ইভিএম নিয়ে তরজায় জড়িয়েছে শাসক ও বিরোধী দলগুলি। একাধিক বিরোধী দলের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে ইভিএমে কারচুপি করে ভোট জিততে চাইছে বিজেপি। ভোট পর্ব শেষ হওয়ার পরও ইভিএম নিয়ে সংশয় কাটছে না। উল্টে বিভিন্ন দলের তরফে দাবি করা হয়েছে ইভিএম লুট করার চেষ্টা করছে বিজেপি। আর তাই গতকাল সারারাত দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ইভিএম পাহারা দিয়েছে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা। উত্তরপ্রদেশের এক জায়গায় মঙ্গলবার সকালে ইভিএম কারচুপি হচ্ছে বলে অভিযোগ করে সমাজবাদী পার্টি। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এরপর বিরোধী দলের তরফে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মসূচি নেওয়া হয়।
নৈশভোজ থেকেই এনডিএ- ২-র নীল নকশা তৈরি করল বিজেপি
কর্মীদের সঙ্গে দেখা করলেন দ্বিগবিজয় সিং।
মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং এবারের ভোপাল লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী দ্বিগবিজয় সিং ও তাঁর স্ত্রী গতকাল রাতে ভোপালের সেন্ট্রাল জেলের বাইরে যান। সেখানে কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। ভেতরে ইভিএম রাখা রয়েছে। উত্তরপ্রদেশে গান্ধীদের দুর্গ রায়বরেলিতেও একই ছবি দেখা গেল। এর আগে ২২টি বিরোধী দল নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় মঙ্গলবার। সেখানে তারা বলে ৫টি রাজ্যের ভোট গণনার সময় আগে ভিভিপাট গুনতে হবে। এদিকে মঙ্গলবার-ই সুপ্রিম কোর্টে চেন্নাইয়ের একটি সংস্থা ১০০ শতাংশ ভিভিপাট গোনার দাবি জানায়। কিন্তু সর্বোচ্চ আদালত বলে এমন দাবি উদ্ভট এবং তা মেনে নেওয়ার কোনও যুক্তি নেই। নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইভিএম প্রতি ৫ শতাংশ ভিভিপ্যাট গোনা হবে। সুপ্রিম কোর্ট মনে করে কমিশনের সিদ্ধান্তই বলবত থাকা উচিত।
ভোট গণনার আগে অমিত শাহর উদ্যোগে নৈশভোজে এনডিএ
চন্ডীগড়ের কংগ্রেস কর্মীরা গত সোমবার থেকেই স্ট্রং রুমের বাইরে বসে আছেন। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী ভোটে অংশ নিয়েছে এমন দলের কর্মীরা ইভিএম পাহারার কাজে যুক্ত হতে পারে। দলীয় কর্মী ছাড়াও যিনি প্রার্থী হয়েছেন তিনিও প্রতিনিধি পাঠাতে পারেন।
মুম্বইয়ের কংগ্রেস প্রার্থী তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মিলিন্দ দেওরা নির্বাচন কমিশনকে একটি চিঠি লিখেছেন। সেখানে তাঁর দাবি ইভিএমের নিরাপত্তা যাতে সুনিশ্চিত করা যায় তাই প্রতিটি স্ট্রং রুমে যে সিসিটিভি বসানো হয়েছে তার পাসওয়ার্ড প্রার্থীদের দেওয়া হোক।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন অন্য সমস্ত কাজ বাদ দিয়ে পাহাড়া দিতে হবে। সাধারণ মানুষের উদ্দেশেও তিনি একাধিকবার বলেছেন আপনারাও নজর রাখবেন। মাঝরাতে ইভিএম বদলানোর চেষ্টা হতে পারে রুখে দেবেন। এমনকী বুথ ফেরত সমীক্ষায় যখন দেখা যায় বিজেপি প্রবলভাবে ফিরতে চলেছে তখন প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে নিজের আশঙ্কার কথাই তুলে ধরেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেন, বিজেপি সংবাদ মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়িয়ে আসলে ইভিএম বদলাতে চাওয়া হচ্ছে। যেন-তেন প্রকারেণ তা রুখতে হবে।