This Article is From Apr 19, 2019

"বিজেপি-আরএসএস সাহায্য করছে তাঁকে..." মমতার অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়

তিনি তৃণমূল নেত্রীকে আক্রমণ করে বলেন, ওঁর দাবিটি অত্যন্ত ‘জঘন্য’ এবং ‘ইচ্ছাকৃত’।

কংগ্রেস প্রার্থী অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে বিজেপি ও আরএসএস ‘সাহায্য’ করছে বলে অভিযোগ মমতার

মুর্শিদাবাদ:

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কয়েকদিন ধরেই অভিযোগ করে যাচ্ছিলেন যে, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পুত্র জঙ্গিপুর লোকসবা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে বিজেপি ও আরএসএস ‘সাহায্য' করছে। এই অভিযোগকে ‘একেবারে ভিত্তিহীন' বলে উড়িয়ে দিলেন অভিজিৎ। সংবাদসংস্থা এএনআই'কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি এই অভিযোগ অস্বীকার করছি। এটা একেবারেই কল্পনাপ্রসূত ও ভিত্তিহীন দাবি। আরএসএসের সদর দফতরে গিয়ে তাঁর বিবৃতিতে আমার বাবা প্রণব মুখোপাধ্যায় বিজেপি এবং আরএসএস'কে পরিষ্কার বলেছিলেন যে, ভারতবর্ষ সকলের জন্য। সব ধর্ম, বর্ণ ও জাতির মানুষের এই দেশের ওপর সমান অধিকার। তিনি আরও বলেছিলেন যে, ভারত গণতান্ত্রিক দেশ। এই কথাও মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, বিজেপি এবং আরএসএস ভারতের সেই মূল দর্শন থেকেই সরে আসছে”।

দার্জিলিং-এর ৪০'টি বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানাল বিজেপি

তিনি তৃণমূল নেত্রীকে আক্রমণ করে বলেন, ওঁর দাবিটি অত্যন্ত ‘জঘন্য' এবং ‘ইচ্ছাকৃত'।

“আমি অত্যন্ত নম্রভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মনে করিয়ে দিতে চাই যে, এই নতুন সহস্রাব্দের প্রথম দিকে তিনি বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন। এমনকি, বাংলায় সিপিএমকে হারানোর সময়েও ওই জোট ছিল। এখন নির্বাচনের সময় আমার বিরুদ্ধে তাঁর এই অভিযোগটি অত্যন্ত অপমানজনক, জঘন্য এবং ইচ্ছাকৃত”।

যদিও, তিনি প্রবলভাবে আত্মবিশ্বাসী এই আসন থেকে জেতার ব্যাপারে। এই কংগ্রেস নেতা বলেন, “২০১২ সালে আমার বাবা যখন দেশের রাষ্ট্রপতি হলেন, আমি তখন দলের হাইকম্যান্ডের নির্দেশে এই কেন্দ্র থেকে লড়াই করি। তিনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বলেছিলেন যে, আমার বিরুদ্ধে তৃণমূল কোনও প্রার্থীকে দাঁড় করাবে না। আমি খুশি হয়েছিলাম সেই কথা শুনে। জিতেও গিয়েছিলাম”।

“২০১৪ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার বিরুদ্ধে এক সাংসদকে আমার বিরুদ্ধে দাঁড় করান। কিন্তু, তাতে আমার কোনও অসুবিধাই হয়নি। আমি আরও আরও চারগুণ বেশি ব্যবধানে জিতে যাই। তৃণমূল প্রার্থী ওইবারে তৃতীয় হয়ে শেষ করেছিলেন। আমার লড়াইটা এবারেও যে খুব সহজ, তা আমি বলব না। তবে, আমি এই আসনটি ধরে রাখার ব্যাপারে অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী”, বলেন অভিজিৎ।

আচমকা নিখোঁজ হয়ে গেলেন রানাঘাটের ইভিএম-এর দায়িত্বে থাকা অফিসার

রাজ্যে স্বচ্ছ নির্বাচন হওয়াতেও বাধা দিচ্ছে তৃণমূল। এই অভিযোগ তুলে অভিজিৎ বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া আর অন্য কোনও দলের প্রার্থীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো মনোনয়নপত্র জমা দিতেই দেন না। ভোটের কথা ছেড়ে দিন। আমি তো এই এলাকার সাংসদ। আমাকেও তো মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নিরাপত্তা বাহিনী ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে এই দাবি করে বাধা দিয়েছিল। তৃণমূলের বহু পরিচিত কর্মীরা বিজেপি, কংগ্রেস এবং অন্যান্য দলের মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নিচ্ছিল সেখানে”।

নারদ-নারদ চলছেই। এক ইঞ্চি জমি ছাড়ছেন না কেউ কাউকে। কী হবে, তার উত্তর পাওয়া যাবে আগামী ২৩ মে।

.