This Article is From Sep 16, 2018

18 ঘণ্টা পার করেও আগুনে জ্বলছে বাগরি মার্কেট

বাজার সংলগ্ন আশেপাশের বিভিন্ন বাড়ি থেকে ব্যবসায়ীরা ধোঁয়া দেখতে পান সকালে। সঙ্গে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের মতো ভয়ানক শব্দ। যে ক’টা জিনিস বাঁচাতে পারেন তাই নিয়েই দৌড়ে পালাতে থাকেন ব্যবসায়ীরা।

18 ঘণ্টা পার করেও আগুনে জ্বলছে বাগরি মার্কেট

আগুন নেভানোর সময় কয়েকজন অগ্নিনির্বাপক কর্মকর্তা আহত হয়েছেন

কলকাতা:

বারো ঘণ্টা পার করেও জ্বলছে বাগরি মার্কেট। আগুন নেভাতে গিয়ে ঘন কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে ক্যানিং স্ট্রিট। রবিবার সকালে বহু তল বাগরি মার্কেটের ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড আবারও ভয় বাড়িয়ে তুলেছে এই শহরের পুরোনো বাজারের ব্যবসায়ীদের।

আগুনে পুড়ে মৃত্যুর কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানানো হয়েছে। তবে আগুন নেভানোর সময় কয়েকজন অগ্নিনির্বাপক কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।

ওই বাজার সংলগ্ন আশেপাশের বিভিন্ন বাড়ি থেকে ব্যবসায়ীরা ধোঁয়া দেখতে পান সকালে। সঙ্গে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের মতো ভয়ানক শব্দ। যে ক’টা জিনিস বাঁচাতে পারেন তাই নিয়েই দৌড়ে পালাতে থাকেন ব্যবসায়ীরা।

RBI অফিস এবং রাইটার্স বিল্ডিং থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই বহুতল বাজারে প্রধানত প্রসাধনী, খেলনা এবং কাপড়ের প্রায় 1,000 টি দোকান ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ছিল যা একেবারেই পুড়ে গেছে।

12 ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলতে থাকা অগ্নিকাণ্ডের জন্য 30 টি অগ্নিনির্বাপক পরিষেবা সরবরাহ করা হয়েছে।

ছয় তলা এই বাজারের ভয়ানক আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকলকর্মীরা কর্মীরা মই ও গ্যাসকাটার ব্যবহার করে গ্রিল ও শাটার কাটতেও শুরু করেন কিন্তু এলাকাটি ঘিঞ্জি হওয়ায় কাজ করাও কঠিন হয়ে পড়ে। পুড়ে নষ্ট হয়ে যাওয়া ডিওডোরেন্টের ক্যান, প্লাস্টিকের বোতল, বালতি, প্লাস্টিকের খেলনা, পোশাক, অর্ধেক পোড়া ম্যানিকুইন ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা যায় গোটা বাজার জুড়ে। এরই মধ্যে যে সকল ব্যবসায়ী তাঁদের সামগ্রী বাঁচাতে বাজারে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন তাঁদের বাঁধা দেন দমকল ও পুলিশ কর্মকর্তারা। ওই বাজারের এক ব্যবসায়ী সতীশ আগরওয়াল বলেন, “কয়েক লক্ষ টাকার সামগ্রী ছিল ওই দোকানে। দুর্গাপুজোর জন্য জিনিস পত্র এনে রাখা হচ্ছিল। আমি আমার সর্বস্ব দিয়ে এই দোকানটা দাঁড় করিয়েছিলাম। সব শেষ হয়ে গেল।”

পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার জানান, আগুন ছড়াতে পারে এই আশঙ্কায় পাশের বাড়িগুলোও খালি করা হয়েছে। বিভিন্ন ব্লকে বিভক্ত এই বাজারের প্রথম তিনটি তলায় ছিল দোকান ও গুদামঘর, তৃতীয় এবং চতুর্থ তলায় অফিস এবং নিরাপত্তারক্ষী ও তাঁদের পরিবারের আবাসস্থল। দমকল বিভাগের একজন কর্তা জানান, “আগুন বিধ্বংসী আকার নিয়েছে। আমাদের কর্মীরা ভিতরে কাজ করছেন এবং আমরা আমাদের সমটুকু দিয়ে চেষ্টা করছি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার।" মেয়র ও দমকল মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্থানীয় কাউন্সিলর স্মিতা বক্সী ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান।

.