This Article is From May 02, 2020

রহস্যের আরেক নাম কিম জং উন, নিজের প্রেমিকাকেও নাকি হত্যা করেন ওই স্বৈরশাসক!

Kin Jong Un: ২০ দিন সাধারণের চোখের আড়ালে থাকার পর ফের আত্মপ্রকাশ করলেন স্বৈরশাসক, এর আগে আমেরিকাকে পারমাণবিক বোমা দিয়ে আক্রমণ করার হুমকি দেন তিনি

রহস্যের আরেক নাম কিম জং উন, নিজের প্রেমিকাকেও নাকি হত্যা করেন ওই স্বৈরশাসক!

North Korea: বাঁচা-মরার সমস্ত জল্পনাকে উড়িয়ে দিয়ে ফের জনসমক্ষে কিম জং উন

হাইলাইটস

  • সব জল্পনাকে মিথ্যে প্রমাণ করে ফিরে এলেন কিম জং উন
  • টানা ২০ দিন লোকচক্ষুর আড়ালে ছিলেন তিনি, যা নিয়ে নানা গুজবও ছড়ায়
  • এমন গুজবও ছড়ায় যে কিম জং উনের মৃত্যু হয়েছে
নয়া দিল্লি:
  1. ২০১১ সালে কিম জং উন তাঁর বাবা এবং উত্তর কোরিয়ার প্রাক্তন স্বৈরশাসক কিম জং ইলের মৃত্যুর পরে স্বৈরশাসক হিসাবেই দেশের শাসনদণ্ড হাতে নেন।
  2. নিজের বাবা এবং দাদার মতোই, কিম জং উনেরও দেশের জনজীবন সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট জ্ঞান নেই, তবে শোনা যায় তিনি নাকি সাত-আট বছর ধরে সুইজারল্যান্ডে পড়াশোনা করেছেন।
  3. উত্তর কোরিয়া দূতাবাসের এক কর্মীর চালকের ছেলে তিনি, নিজের পরিচয় গোপন করে এই পরিচয়েই সেখানে পড়াশোনা করেন কিম।
  4. এরপরে তিনি পিয়ংয়ের কিম ইল সুং মিলিটারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে উচ্চতর শিক্ষা লাভ করেন।
  5. এরপর দেশের শাসন ক্ষমতা গ্রহণের পরে, কিম জং তাঁর সম্বন্ধে বেশ বড়সড় প্রচার করতে শুরু করেন। তাঁকে একসময় গোটা বিশ্বের কাছে গ্রেট সাকসেসর এবং আউটস্ট্যান্ডিং লিডার হিসাবেই পরিচয় দেওয়া শুরু হয়। কোরিয়ান এজেন্সিগুলি তাঁকে এমন এক মহান ব্যক্তি হিসাবে সকলের সামনে ভাবমূর্তি গড়ে দিতে চায় যেন তিনি স্বর্গ থেকে নেমে এসেছেন।
  6. উত্তর কোরিয়া সবসময়েই তার পারমাণবিক পরীক্ষা ও ক্ষেপণাস্ত্র সংক্রান্ত নানা বিষয় নিয়ে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সবসময়ই তাই এই দেশটির বিরোধিতা করে এসেছে। কিম জং উনও তাঁর বাবার মতো এই বিষয়গুলি নিয়েই একগুঁয়েমি নীতি অনুসরণ করে চলেন।
  7. কিম জং উনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করার মতোও অভিযোগ উঠেছে বেশ কয়েকবার।এমনকী এই অভিযোগও ওঠে যে নিজের দেশেই তাঁর বাবার আমলে কাজ করেছেন এমন তিন মন্ত্রী এবং ৭ জন জেনারেলকে পদ থেকে বহিষ্কার করেন তিনি। বেশ কয়েকজনকে হত্যা করা হয় বলেও খবর রটে। 
  8. সবসময় ক্ষমতার অহঙ্কার করেন কিম জং উন। এমনকী এই ক্ষমতার অহংকারেই তিনি নাকি তাঁর এক ঘনিষ্ঠ শক্তিমান নেতা এবং বান্ধবীকেও হত্যা করতে পিছুপা হননি, এমন অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
  9. আজব কথা এই যে, কিম জং উনকে নিয়ে যখনই কোনও বিতর্ক দানা বাঁধে, তখনই তিনি কীভাবে যেন বেপাত্তা হয়ে যান। এর আগেও দেখা গেছে, ২০১৪ সালের প্রথম দিকে তিনি টানা ৪০ দিন গায়েব ছিলেন। এবারেও, ২০ দিন লোকচক্ষুর আড়ালে থাকার পরে হঠাৎ করেই আবার ফিরে এলেন তিনি। অথচ পরিস্থিতি এমন হয়েছিল যে কিম জং উন মারা গেছেন এই খবরটা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। সেই পরিস্থিতি থেকে হঠাৎ আবার উদয় তাঁর।
  10. গত ১৫ এপ্রিল কিম জং উন নিজের দাদার জন্মদিনের অনুষ্ঠানেও অংশ নেননি। তারপরেই তাঁর স্বাস্থ্যের বিষয়ে নানা খবর প্রকাশিত হতে থাকে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। এমনকী, কেউ কেউ তো তিনি মারা গেছেন বলেও রিপোর্ট প্রকাশ করে ফেলে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল বহাল তবিয়তেই আছেন কিম। তবে তিনি মাঝেমাঝেই কোথায় উধাও হয়ে যান আর কেনই বা যান, তা কিন্তু এখন পুরো বিশ্বের কাছেই একটা বিরাট রহস্য।

.