কেরালা ঘুরে দেখে পাঁচশো কোটি টাকা সাহায্যের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তিরুঅন্তপুরম:
আবহাওয়া দপ্তর বলেছে আজও কেরল জুড়ে বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। পাশাপাশি চলছে উদ্ধার কাজ। সেনা বাহিনীর জওয়ানরা উদ্ধার কাজে নেমেছেন। তবে এখনও বহু মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেওয়া যায়নি। তাঁরা এখনও জলবন্দি। এ মাসের 8 তারিখ থেকে এখনও পর্যন্ত কমকরে 164 জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আর গোটা বর্ষা মরসুম ধরলে সংখ্যাটা প্রায় তিনশো। রাজ্যের তিন হাজার ত্রাণ শিবিরে অংশ নিয়েছে প্রায় ছ’ লক্ষ মানুষ।
রইল দশটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
কেরালা ঘুরে দেখে 500 কোটি টাকা সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাছাড়া উদ্ধার কাজে গতি আনতে আরও বেশি হেলিকপ্টার থেকে শুরু করে নৌকো পাঠানোর কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন জানিয়েছেন, এটি গত 100 বছরের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা। আর তাই এখনই কম করে দু’হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন সেনা, নৌ সেনা এবং বায়ু সেনা উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। কাজ করছে প্রায় 38টি হেলিকপ্টার। তাছাড়া বিমান থেকে শুরু করে জাহাজও লাগানো হয়েছে উদ্ধারকাজে।
আবহাওয়া দপ্তর বলেছে, সোমবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমে আসবে। এর আগে রাজ্যের বেশিরভাগ জেলায় লাল সতর্কতা জারি হয়েছিল।
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি এবং কমিউনিটি সেন্টারের ছাদে প্রায় হাজার দশেক মানুষ আটকে রয়েছে। তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে আসতে নৌকোর সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।
পাহাড়ি এলাকায় আটকে আছে আরও বহু মানুষ। এদিকে কয়েকটি ত্রাণ শিবিরে খাদ্য এবং জলের অভাব দেখা গিয়েছে। সেই ভিডিও এখন ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
হেলিকপ্টার থেকে সব হারানো মানুষদের কাছে খাবার এবং জল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। ট্রেনের মাধ্যমে ব্যনা কবলিত এলাকায় পাঠানো হচ্ছে পানীয় জল এবং চাল। বিপন্ন আত্মীয়দের কাছে যেতে সোমবার থেকে নৌবাহিনীর বিমান ব্যবহার করতে পারবেন সাধারণ যাত্রীরা। .
বন্যা শুরুর পর থেকেই রাজ্যের বাধ গুলির মুখ খুলে দেওয়া হয়েছে। আর তাতে প্লাবিত হয়েছে বহু নীচু এলাকা।
রাজধানী তিরুঅন্তপুরম থেকে প্রায় 120 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চেঙ্গান্নুর এলাকার পরিস্থিতি কেমন তা এখনও জানা যায় নি। প্রায় চার দিন ধরে সেটি বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে।
কেরালার ঘটনাকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি।
কেরালার পাশে দাঁড়িয়েছে আরব।
Post a comment