This Article is From Mar 07, 2020

পুলওয়ামা হামলার জন্যে বোমা তৈরি করতে আমাজন থেকে নাকি কেনা হয় রাসায়নিক!

Pulwama Attack: ওই হামলার অংশীদার এক ব্যক্তি নিজে অনলাইনে বোমা তৈরির মালমশলা কিনে জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিগোষ্ঠীকে পাঠিয়েছিল

পুলওয়ামা হামলার জন্যে বোমা তৈরি করতে আমাজন থেকে নাকি কেনা হয় রাসায়নিক!

Pulwama Attack: গত বছর দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় হওয়া ওই জঙ্গি হামলায় শহিদ হন সিআরপিএফের ৪০ জন জওয়ান (ফাইল চিত্র)

হাইলাইটস

  • পুলওয়ামা হামলার ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে গ্রেফতার আরও ২
  • এই নিয়ে মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করল এনআইএ
  • গ্রেফতার হওয়াদের মধ্যে ১ ব্যক্তি নাকি বোমা তৈরির সরঞ্জাম জোগান দিয়েছিল
শ্রীনগর:

২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, ভালবাসার দিনে রক্তাক্ত হয় জম্মু ও কাশ্মীর। ওই দিন পুলওয়ামায় যে জঙ্গি হামলা হয় তার দগদগে ক্ষত এখনও বর্তমান। ওই হামলার (Pulwama Attack) নেপথ্যে শুধু জঙ্গিরাই নয়, রয়েছে আরও বেশ কয়েকজন ষড়যন্ত্রকারী, এমন সন্দেহ বরাবরই ছিল ভারতীয় গোয়েন্দাদের। শুক্রবার জাতীয় তদন্তকারী  সংস্থা এনআইএ গ্রেফতার করল ২ ব্যক্তিকে। জানা গেছে, পুলওয়ামায় কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) কনভয়ের উপর হামলা করতে ব্যবহৃত ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বা আইইডি (IED Bomb) তৈরির জন্যে অনলাইনে আমাজন (Amazon) থেকে রাসায়নিক কিনেছিল অভিযুক্তরা। গত বছর দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় হওয়া ওই জঙ্গি হামলায় শহিদ হন সিআরপিএফের ৪০ জন জওয়ান।

শ্রীনগরের বাসিন্দা ১৯ বছরের ওয়াজ-উল-ইসলাম এবং পুলওয়ামার বাসিন্দা ৩২ বছরের মহম্মদ আব্বাস রাথারকে গ্রেফতার করে এনআইএ। এই নিয়ে পুলওয়ামা হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে ওই তদন্ত সংস্থা।

Pulwama Attack: “জঙ্গিদের অপ্যায়ন” করায় গ্রেফতার বাবা ও মেয়ে

"প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের সময়, ইসলাম স্বীকার করেছে যে, পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গিদের দেওয়া নির্দেশ অনুযায়ী সে নিজের আমাজন অনলাইন শপিং অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করে অনলাইনে আইইডি, ব্যাটারি এবং বিস্ফোরক তৈরির জন্যে অন্যান্য আনুষাঙ্গিক রাসায়নিক কিনেছিল।"

এনআইয়ের এক তদন্তকর্তা জানান, ইসলামই নিজে অনলাইনে বোমা তৈরির মালমশলা কিনে জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিগোষ্ঠীকে পাঠিয়েছিল।

গ্রেফতার হওয়া আরেকজন, অর্থাৎ মহম্মদ আব্বাস রাথার বহুদিন ধরেই জইশ জঙ্গিদের হয়ে কাজ করছিল বলে অভিযোগ। এনআইয়ের ওই গোয়েন্দা জানান, "আব্বাস রাথার জেএমের একজন পুরনো শাগরেদ। ২০১৮ সালের এপ্রিল-মে মাস নাগাদ কাশ্মীরে আসা জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিগোষ্ঠীর এক সদস্য তথা আইইডি বিশেষজ্ঞ মহম্মদ উমরকে তার বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিল সে।"

পুলওয়ামার বর্ষপূর্তিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে টুইট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

পুলওয়ামা হামলার আগে আত্মঘাতী জঙ্গি আদিল আহমদ দার, সমীর আহমেদ দার ও কামরান নামে আরও এক পাকিস্তানি সহ জইশ জঙ্গিদের আশ্রয়ও দিয়েছিল এই আব্বাস রাথার, জানান ওই গোয়েন্দা।

তিনি জানান, জম্মুতে এনআইএর বিশেষ আদালতে ইসলাম ও রাথারকে তোলা হবে।, এই মামলায় আরও তদন্ত চলবে। ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, ওই পুলওয়ামা হামলা হয়, এরপরেই ওই ষড়যন্ত্রের তদন্তের ভার দেওয়া হয় এনআইএ-র গোয়েন্দাদের হাতে।

.