নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইনের (Citizenship Act) বিরুদ্ধে রাজ্যে শুরু হওয়া প্রতিবাদ-বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে বহু জায়গার ইন্টারনেট বন্ধ (Internet Suspended In Parts Of West Bengal) করে দেওয়া হয়েছে। গত তিনদিন ধরেই রাজ্যের বহু এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এই গণ্ডগোলকে কেন্দ্র করে। এখনও পর্যন্ত ইন্টারনেট বন্ধ রাখার কথা জানানো হয়েছে মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর ও হাওড়া জেলায়। এছাড়া উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত ও বসিরহাট মহকুমা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর ও ক্যানিং মহকুমাতেও বন্ধ রাখা হবে ইন্টারনেট। শনিবার মুর্শিদিবাদের লালগোলা স্টেশনে পাঁচটি ফাঁকা ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। হাওড়ায় ভাঙচুর চালানো হয় ১০-১৫টি বাসে। রাজ্য সরকারের তরফে বারবার জানানো হয়েছে মানুষকে শান্ত থাকতে।
সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও কোনও অতি সক্রিয় সাম্প্রদায়িক শক্তিকে হিংসা ছড়ানোর উস্কানি দেওয়া এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে মদত দেওয়া হচ্ছে।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই পরিস্থিতিতে কোনও উপায়ান্তর না দেখে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর ও হাওড়া জেলায়। এছাড়া উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত ও বসিরহাট মহকুমা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর ও ক্যানিং মহকুমাতেও বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট।
গত বুধবার রাজ্যসভায় পাস হয়ে গিয়েছে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল। এরপর থেকেই এই নতুন আইনের বিরোধিতা করে দেশের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির মতো পশ্চিমবঙ্গেও শুরু হয়েছে বিক্ষোভ প্রদর্শন।
রবিবার সকালেও পূর্ব রেলওয়ে শাখায় দু'টি ট্রেন বাতিল রাখা হয়েছে। দুপুর থেকে দেগঙ্গা, খড়দা-কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে এবং আমডাঙাতে রাস্তায় অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা। একই ঘটনা ঘটেছে বীরভূম ও মুর্শিদাবাদেও। শান্তি মিছিল বের করেছে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস।