নাগরিকত্ব আইনের (Citizenship (Amendment) Act) ফলে কী প্রভাব পড়তে চলেছে তা নিয়ে চিন্তিত আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা পর্যবেক্ষণের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত মার্কিন কূটনীতিক! শুক্রবার তিনি বলেন, ভারতে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল (CAB Bill) কার্যকরী করার বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র খুবই উদ্বিগ্ন। লার্জ ফর ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডমের (International Religious Freedom) রাষ্ট্রদূত স্যাম ব্রাউনব্যাক (Sam Brownback) এক টুইট বার্তায় বলেন, “ভারতের অন্যতম বড় শক্তি তার সংবিধান। গণতন্ত্র হিসাবে আমরা ভারতের প্রতিষ্ঠানগুলিকে সম্মান করি, তবে সিএবি বিলের ফলাফল নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।” আগামী সপ্তাহেই ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা রয়েছে। তার আগেই স্যাম টুইট করেন, “আমরা আশা করি সরকার ধর্মীয় স্বাধীনতা সহ তার সমস্ত সাংবিধানিক প্রতিশ্রুতি মেনেই চলবে।”
হিংসায় উন্মত্ত উত্তর-পূর্ব ভারত, ভ্রমণে সতর্কতা জারি আমেরিকার
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং পরের সপ্তাহেই ওয়াশিংটন ডিসিতে আমেরিকার পররাষ্ট্র সচিব মাইক পম্পেও এবং প্রতিরক্ষা সম্পাদক মার্ক এস্পারের সঙ্গে ১৮ ডিসেম্বর বৈঠকে বসবেন।
অন্যদিকে, ভারতীয় আমেরিকান মুসলিম কাউন্সিল, এমগেজ অ্যাকশন এবং হিন্দুস ফর হিউম্যান রাইটস আয়োজিত একটি আলোচনা সভায় জেনোসাইড ওয়াচের গ্রেগরি স্ট্যান্টন বৃহস্পতিবার কাশ্মীর ও অসমের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
"উত্তর কোরিয়ায় চলে যান": নাগরিক আইনের বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে তথাগত রায়!
১৯৯৬ সালে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরে কাজ করার সময় একটি উপস্থাপনা হিসাবে বিখ্যাত “জেনোসাইডের দশ ধাপ” (Ten Stages of Genocide) তৈরি করার জন্য সুপরিচিত ছিলেন স্ট্যান্টন। তিনি জাতিসংঘের সুরক্ষা কাউন্সিলের রেজোলিউশনের খসড়াও তৈরি করেছিলেন যার উপর ভিত্তি করে রুয়ান্ডায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং বুরুন্ডি তদন্ত কমিশন তৈরি করা হয়েছিল।
অসমে থেকে মুসলমানদের হঠানোর জন্যই নাগরিকত্ব আইনের বিষয়টির উল্লেখ করে স্ট্যান্টন বলেন যে, কাশ্মীর এবং আসাম উভয় ক্ষেত্রেই ‘চলমান গণহত্যা' ‘গণহত্যার দশ ধাপে'র নীতি অনুসরণ করেই চলছে।