তিন তালাক রোধে নয়া আইন (Triple Talaq Act) এনেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু কতটা বদলেছে দেশের মুসলিম মহিলাদের পরিস্থিতি? সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের সীতাপুরের এক মহিলা (UP Woman) অভিযোগ করেন যে তিনি শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে তিন তালাকের (Triple Talaq) মামলা দায়ের করার পরে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁর নাক কেটে (Nose Allegedly Cut Off) দেয়। মুসলিম পুরুষদের দ্বারা তিনবার "তালাক" উচ্চারণ করে তাৎক্ষণিক তালাক দেওয়ার পুরনো নিয়মকে একটি নতুন আইনের (Triple Talaq Act) মাধ্যমে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, ওই আইনে তিন বছরের কারাদণ্ডের বিধানও দেওয়া হয়েছে। সীতাপুরের ওই মুসলিম মহিলাকে তিন তালাক দেওয়ার প্রসঙ্গে এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, "আমরা অভিযোগ পাই যে এক ব্যক্তি ফোনে তাঁর স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়েছেন। তখন আমরা দুই পরিবারকে ডেকে নিয়ে পরামর্শ দিয়ে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করি। কিন্তু তাতেও বিষয়টির সমাধান না হলে আমরা তিন তালাক আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করেছি"।
‘তিন তালাক' বিল পাশ রাজ্যসভায়, 'ঐতিহাসিক দিন', বলল কেন্দ্র
"মহিলাকে (UP Woman) মারধর করা হয়েছিল। তিনি এখন হাসপাতালে রয়েছেন। তাঁর নাকে আঘাত লেগেছে", জানিয়েছে পুলিশ। আক্রান্ত মহিলার মা শরিফুন নিশার মতে, তিন তালাকের (Triple Talaq) বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করায় তাঁর মেয়েকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন সাঙ্ঘাতিক মারধর করে।
"আমি আমার মেয়ের হয়ে তিন তালাকের (Triple Talaq) অভিযোগ দায়ের করতে থানায় যাই। এরপরেই ওঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন ওঁকে মামলা প্রত্যাহার করার জন্যে হুমকি দেয়। কিন্তু আমার মেয়ে মামলা প্রত্যাহার না করায় তাঁরা তাঁকে মারধর করে," অভিযোগ করেন নিশা।
“ভারতবর্ষ আজ আনন্দিত”, তিন তালাক বিল পাশে প্রতিক্রিয়া প্রধানমন্ত্রীর
তবে আক্রান্ত মুসলিম মহিলার পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁর দেওর। তিনি অভিযোগ করেন যে তাঁর পরিবার বৌদির নাক কেটে ফেলতে একটি ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে। "ওঁরা আমাকে পাথরও মেরেছিল," তিনি অভিযোগ করেন।
গতবারের রাজ্যসভায় তিন তালাক বিল পাস করাতে ব্যর্ত হলেও গত ৩১ জুলাই ওই বিলটি পাস করাতে (Triple Talaq Act) সমর্থ হয় মোদি সরকার।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)