This Article is From Jul 16, 2019

Internet Saathi: গুগল বদলে দিচ্ছে ভারতের গ্রামীণ মহিলাদের জীবন! জানেন কীভাবে?

অনেকেই এই প্রশিক্ষণে এগিয়ে গিয়ে নিজস্ব ছোট্ট-ব্যবসা শুরু করেছে যেমন সেলাই, মৌমাছির চাষ এবং বিউটি পার্লার।

Internet Saathi: গুগল বদলে দিচ্ছে ভারতের গ্রামীণ মহিলাদের জীবন! জানেন কীভাবে?

পাঞ্জাবে প্রায় ৫ হাজার গ্রামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে, অন্যদিকে উড়িষ্যায় ১৬,০০০ গ্রামে এই কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে

নিউ দিল্লি:

ভারতের গ্রামাঞ্চলের নারীদের ক্ষমতায়নের (empower rural women) লক্ষ্যে বহুকাল ধরেই এদেশের গ্রামে গ্রামে কাজ করে চলেছে গুগল ইন্ডিয়া। ভারতীয় গ্রামীণ মহিলাদের ইন্টারনেট ব্যবহার করতে সক্ষম করে তোলার মাধ্যমে তাঁদের ক্ষমতায়ন ঘটানোর লক্ষ্যে গুগলের ‘ইন্টারনেট সাথী' (Google India's 'Internet Saathi' programme) কর্মসূচিটি গৃহীত। নিজেদের এই প্রচেষ্টাকে ছড়িয়ে দিতে আরও দুটি রাজ্য- পাঞ্জাব ও উড়িষ্যাকে যুক্ত করে দেশের ২০ টি রাজ্যের ২.৬ লক্ষ গ্রামে পৌঁছে গিয়েছে গুগল ইন্ডিয়া। ২০১১ সালে টাটা ট্রাস্টের (Tata Trusts) সঙ্গে একটি পাইলট প্রকল্প হিসাবে চালু করা হয় এই ‘ইন্টারনেট সাথী' ( Internet Saathi programme) কর্মসূচিটি। এই কর্মসূচির মাধ্যমে ইন্টারনেট কীভাবে ব্যবহার করতে হয় সে বিষয়ে গ্রামের কিছু মহিলাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই মহিলারাই বিষয়টি শিখে পরবর্তীতে তাদের সম্প্রদায় এবং প্রতিবেশী গ্রামগুলিতে অন্যান্য মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেন। 

পরিবারের বার্ষিক আয় ৮ লক্ষের কম? রাজ্যসরকারের চাকরিতে মিলবে অগ্রাধিকার

চার বছরের যাত্রায়, ৭০,০০০ প্রশিক্ষিত ‘ইন্টারনেট সাথী' তাদের গোষ্ঠীর মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে ইন্টারনেট ব্যবহার করেছে এবং ২.৬ কোটি মহিলা ইতিমধ্যেই উপকৃত হয়েছেন। গুগল ইন্ডিয়ার চিফ ইন্টারনেট সাথী, নেহা বরজাতিয়া (Neha Barjatya, Chief Internet Saathi, Google India) বলেন, “গ্রামীণ ভারতে ইন্টারনেটের ব্যবহার শেখার জন্য মহিলাদে আবেগ ও উৎসাহ এককথায় অসাধারণ। তাঁরা কেবল নিজেদের প্রয়োজনের জন্য নয় বরং তাদের পরিবারের জন্য, বাচ্চাদের এবং তাদের সম্প্রদায়ের জন্য ইন্টারনেট সম্পর্কে শিখছেন, শেখাচ্ছেন।"

অনেকেই এই প্রশিক্ষণে এগিয়ে গিয়ে নিজস্ব ছোট্ট-ব্যবসা শুরু করেছে যেমন সেলাই, মৌমাছির চাষ এবং বিউটি পার্লার। অনেকেই আবার তাঁদের পরিবার এবং সম্প্রদায়ের বিভিন্ন মানুষদের জীবিকা উন্নত করার জন্য নতুন নতুন ভাবনা ও দক্ষতার পরামর্শ দিচ্ছেন। নেহা বরজাতিয়া বলেন, “অনেক মহিলা এমনও রয়েছেন যারা শিশুদের শিক্ষা, ঋতুস্রাবের সময়ের স্বাস্থ্যবিধি এবং আরো বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন।”

পাঞ্জাবে, প্রায় ৫ হাজার গ্রামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে, অন্যদিকে উড়িষ্যায় ১৬,০০০ গ্রামে এই কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। টাটা ট্রাস্টের মুখ্য স্ট্র্যাটেজিস্ট রমন কল্যাণকৃষ্ণন (Raman Kalyanakrishnan, Head - Strategy, Tata Trusts) বলেন, “সমন্বিত সমৃদ্ধি ও সামাজিক অগ্রগতির জন্য গ্রামীণ ভারতের নারীদের পর্যাপ্ত সুযোগ ও জ্ঞান সরবরাহ করা জরুরি। এটি ইন্টারনেট সাথী প্রোগ্রামের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে।"

 বিয়ে সেরে ফেরার পথে ট্রেনের সঙ্গে ভ্যানের ধাক্কায় মৃত্যু বর কনের; নিহত আরও আট!

মানুষের জীবনযাত্রার উপর ইন্টারনেটের প্রভাব বুঝতে গুগল গ্রামীণ ভারতে জুড়ে ২৫০০ জনেরও বেশি সাক্ষাত্কার নিয়েছে। ওই তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৭০ শতাংশ ইন্টারনেট সাথী জানান যে, গ্রামের অনেক অনেক বাসিন্দাই স্কুলের পড়াশোনার বিষয়ে বাচ্চাদের সাহায্য করার জন্য বা নতুন রান্নার রেসিপি শিখতে বা চাকরি খোঁজার জন্য, অথবা ব্যবসা করার পরামর্শ চাইতে তাঁদের কাছে আসছে।

১০ জনের মধ্যে ৮ জন ইন্টারনেট সাথীই জানিয়েছেন, তাঁদের গ্রামের মানুষ তাঁদের এখন আরও বেশি সম্মান করেন। ওই সমীক্ষার তথ্য বলছে, ১০ জন ইন্টারনেট সাথীর মধ্যে ৯ জন মহিলাই এখন বিশ্বাস করেন নারীর নিজেকে প্রকাশ করার অধিকার রয়েছে এবং পরিবারের জন্য জীবিকা অর্জন করাটাও মহিলাদের দায়িত্ব। ১০ জনের মধ্যে সাতজন মহিলাই মনে করেন, এই প্রকল্প তাঁদের সন্তানদের শিক্ষার উন্নতিতে সাহায্য করছে।"

.