This Article is From Oct 25, 2019

মহারাষ্ট্রের ফলাফল "শাসকদের কাছে সতর্কবাণী": বলল বিজেপির বন্ধু শিবসেনা

Maharashtra election results: নির্বাচনের ফলাফলের পর দেখা যায় যে মহারাষ্ট্রে নিজেদের আসনসংখ্যা বাড়িয়েছে বিরোধী কংগ্রেস-এনসিপি জোট

মহারাষ্ট্রের ফলাফল

মহারাষ্ট্র বিধানসভার নির্বাচনে জোট বেঁধে লড়াই করেছে Shiv Sena এবং BJP

আলিবাগ:

মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-শিবসেনা জোট ক্ষমতা ধরে রাখলেও এবারের নির্বাচনী ফলাফল (Maharashtra election results) শাসক দলের কাছে "অশণি সংকেত" বলেই মনে করছে শিবসেনা (Shiv Sena)। ফলাফলে দেখা গেছে আগের থেকে আসন সংখ্যা কমেছে বিজেপির (BJP)। তাই তাঁদের জোটসঙ্গী শিবসেনা মনে করছে এই "মহা জনদেশ" শেষ পর্যন্ত এটা বুঝিয়ে দিয়েছে যে "ক্ষমতার অহংকার" করলে তাঁদেরকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে মানুষ। ২১ অক্টোবর ভোটগ্রহণের আগে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস তাঁর ''মহা জনদেশ যাত্রা'' চলাকালীন মোট ২৮৮ টির মধ্যে ২০০ টিরও বেশি নির্বাচনী এলাকা সফর করেছিলেন। ২৪ অক্টোবর ফলাফল প্রকাশের আগেও প্রাক্কালে তিনি ২০০-র বেশি সংখ্যক আসনে জয়ী হওয়ার দাবি করেছিলেন। শিবসেনা নির্বাচনী ফলাফলের পর তাঁদের মুখপত্র "সামনা"-য় দাবি করেছে যে, এই জনাদেশ এটা বোঝাচ্ছে যে বিরোধীদের বিভক্ত করে নিজেদের ফল ধরে রাখার সমীকরণ নিয়ে এবার বোধহয় ভাবা উচিত। কেননা ২০১৪ সালের থেকে বেশ কিছুটা ভোট কমেছে বিজেপি-শিবসেনা জোটের।

“অভূতপূর্ব ভালোভাসা দিয়ে NDA কে আশীর্বাদ করেছেন মহারাষ্ট্রবাসী”, বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

নির্বাচনের ফলাফলের পর দেখা যায় যে মহারাষ্ট্রে নিজেদের আসন সংখ্যা বাড়িয়েছে বিরোধী কংগ্রেস-এনসিপি জোট। এই প্রসঙ্গই তুলে ধরে শিবসেনার মুখপত্রে বলা হয় যে,  এই ফলাফলই প্রমাণ করেছে যে রাজনীতিতে বিরোধীদের কখনোই পুরোপুরি শেষ করা যায় না।

মারাঠি পত্রিকা বলেছে, নির্বাচনের আগে এমন ভাবে "বিজেপি এনসিপিকে ভেঙে দিয়েছে" যে লোকে সংশয়ে পড়ে গেছিল যে শরদ পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন দলের কোনও ভবিষ্যৎ আছে কিনা ।

"তবে এনসিপি ৫০-আসনে জয় লাভ করে দেখিয়ে দিয়েছে যে তাঁরা শেষ হয়নি,এদিকে কংগ্রেস জিতেছে ৪৪ টি আসনে। ফলাফল এটাই বুঝিয়ে দিয়েছে যে ক্ষমতার অহংকার না দেখানোই ভাল, এই ফলাফল শাসকের প্রতি একটি সতর্কতা ছিল" বলা হয়েছে উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন দলের মুখপত্রে।

Maharashtra Election Results: “৫০-৫০ চুক্তি কার্যকরের সময় এসেছে”, বার্তা শিবসেনার

"বিজেপি-র আসন সংখ্যা ১২২ (২০১৪) থেকে কমে ১০৫ (২০১৯) এ এসে দাঁড়িয়েছে, যেখানে শিবসেনার  আসন সংখ্যাও হ্রাস পেয়েছে (৬৩ থেকে ৫৬)।

সম্পাদকীয়টিতে বলা হয়েছে, "পঁচিশটি আসন অন্যান্য ছোট ছোট দলগুলির কাছে চলে গেছে। এই ফলাফল এটা দেখায় যে এবার সাবধান হোন ... আপনি যদি ক্ষমতার অহংকার প্রদর্শন করেন ..."।

শিবসেনার মুখপত্র "সামনা"-র সম্পাদকীয়তে এ ব্যাপারেও বিস্ময় প্রকাশ করা হয়েছে যে বিজেপি এবং শিবসেনা আগেই জোটবদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে এনসিপি-কংগ্রেস জোট এতগুলি আসন পেল।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.