This Article is From Jul 04, 2019

"৫ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতিতে পৌঁছনোর লক্ষ্যে অর্থনৈতিক সমীক্ষার রূপরেখা": প্রধানমন্ত্রী

অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৮-১৯: প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, "এটি সামাজিক ক্ষেত্রে অগ্রগতি, প্রযুক্তি গ্রহণ এবং শক্তির নিরাপত্তা ক্ষেত্রে লাভগুলিও তুলে ধরেছে"

২০১৮-১৯ এর অর্থনৈতিক সমীক্ষা দেশের নাগরিকদের পড়ার অনুরোধ জানিয়ে ট্যুইট প্রধানমন্ত্রীর

নয়া দিল্লি:

শুক্রবার সংসদে সাধারণ বাজেট(Budget) পেশের ঠিক আগের দিন ট্যুইট করে ভারতকে ৫ ট্রিলিয়ান ডলার অর্থনীতির দেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকারের রোডম্যাপ তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(PM Narendra Modi )।ইতিমধ্যেই ২০১৮-১৯এর অর্থনৈতিক সমীক্ষার (Economic Survey) বিষয়টি সংসদে তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ (Nirmala Sitharaman)।“২০১৯ এর অর্থনৈতিক সমীক্ষা আমাদের কাছে একটি দৃষ্টিভঙ্গীর রূপরেখা তৈরি করে দিয়েছে ভারতকে ৫ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির দেশ হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে। এটি সামাজিক ক্ষেত্রে অগ্রগতি, প্রযুক্তি গ্রহণ এবং শক্তির নিরাপত্তাক্ষেত্র থেকে লাভগুলিও তুলে ধরেছে।পড়ুন সেগুলি!”,কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের(Finance Ministry) ওয়েবসাইট থেকে ওই সংক্রান্ত তথ্যের লিঙ্ক তুলে ধরে বৃহস্পতিবার ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।সরকার জানিয়েছে, চলতি বছরে দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ৬.৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০২০ তে ৭ শতাংশ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।গত ৫ বছরের মধ্যে এ বছরই সর্বাপেক্ষা কম অর্থনৈতিক বৃদ্ধি হয়েছে দেশের বলে আগেই জানানো হয়েছিল।

“২০১৯-২০ অর্থবর্ষে দেশের বৃহত্তর অর্থনৈতিক অবস্থার বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং সেটি স্থিতিশীল হবে বলেই মনে করা হচ্ছে”,জানান সরকারের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মনিয়ন।

অর্থনীতির স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বার্ষিক প্রতিবেদনের রিপোর্টটি নির্মলা সীতারামণের সাধারণ বাজেট পেশের ঠিক আগের দিনই প্রকাশ হল।

কিন্তু একথাও ঠিক যে ভবিষ্যতে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দেশ হতে গেলে ভারতকে ২০২৪-২৫ এর মধ্যে বর্তমান অবস্থার থেকে দ্বিগুণেরও বেশি অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ঘটাতে হবে। বাস্তব ক্ষেত্রে সামগ্রিক বৃদ্ধি অর্থাৎ জিডিপির(GDP) হার অন্তত ৮ শতাংশ রাখতেই হবে আর এটা একমাত্র তখনই সম্ভব যখন সঞ্চয়, বিনিয়োগ এবং রপ্তানি ক্ষেত্রে যথাযথ নজর দেওয়া হবে।

“দেশের অর্থনৈতিক স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে হলে অর্থনীতিকে আরও জোরালো করতে হবে,যেখানে ব্যবহারিক ক্ষেত্রে উচ্চক্ষমতা ধরে রাখতে হবে এবং ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বিনিয়োগের প্রত্যাশাকে আরও উর্ধ্বমুখী করে তুলতে হবে”,বলছে সমীক্ষা(Economic Survey) ।

দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে শৌচালয়, রান্নার গ্যাস সহ নানান ক্ষেত্রে মোদি সরকারের নজর দেওয়ার আগের অবস্থার সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা করেও দেখানো হয়েছে সমীক্ষায়।“সরকারের চেষ্টার ফলে বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে ভারতের ৯৮.৯ শতাংশ জায়গা স্বচ্ছ ভারত মিশনের আওতায় রয়েছে”, অর্থনৈতিক সমীক্ষায় একথাও বলা হয়।

এছাড়াও গোটা দেশে করদানের বিষয়টি আরও ফলপ্রসূ করে তুলতে পারলে এবং করদাতাদের করদানে উৎসাহিত করতে পারলে বিনিয়োগ ক্ষেত্রে আরও লাভবান হয়ে উঠবে দেশ বলে মনে করছে মোদি সরকার।

গত এপ্রিল ও মে মাসে অনুষ্ঠিত দেশের সাধারণ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে ফের একবার দ্বিতীয় মেয়াদে কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসা এনডিএ সরকারের প্রথম অর্থনৈতিক সমীক্ষা(Economic Survey)  ছিল এটি।

.