This Article is From May 31, 2019

মন্ত্রিসভায় নেই রাজ্যবর্ধন রাঠৌর, টুইটারে জানালেন ধন্যবাদ

New Cabinet: রাজ্যবর্ধন সিংহ রাঠৌর মোদীর প্রশংসা করে টুইটারে পরপর বেশ কয়েকটি টুইট করেছেন।

মন্ত্রিসভায় নেই রাজ্যবর্ধন রাঠৌর, টুইটারে জানালেন ধন্যবাদ

New Cabinet: গতকাল রাজ্যবর্ধন উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানে।

নিউ দিল্লি:

নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) নতুন সরকারে যে ক'জন পুরনো হাই প্রোফাইল মুখকে দেখা যায়নি, তাঁদের অন্যতম রাজ্যবর্ধন সিংহ রাঠৌর (Rajyavardhan Singh Rathore)। তিনি টুইটারে মোদীর ‘আমাদের মহান দেশের প্রতি দৃষ্টি, স্ফূর্তি, দায়বদ্ধতা'র প্রশংসা করে টুইটারে পরপর বেশ কয়েকটি টুইট করেছেন। পাশাপাশি বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা অরুণ জেটলি, ভেঙ্কাইয়া নাইডু ও স্মৃতি ইরানিকে তাঁদের সঙ্গে কাজ করার ‘সম্মান ও সুযোগ' দেওয়ার জন্যও ধন্যবাদ দিয়েছেন। অলিম্পিকে ব্রোঞ্জজয়ী রাজ্যবর্ধন আগের সরকারে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়াও তিনি রাজ্যসভার মন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্ব) হয়ে যুব বিষয় ও ক্রীড়া বিভাগের দায়িত্ব সামলেছিলেন।

অবসরপ্রাপ্ত আর্মি কর্নেল লেখেন— ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভার একজন সদস্য হিসেবে কাজ করাটা অত্যন্ত সম্মানের। তাঁর সঙ্গে কাটানো প্রতি মুহূর্তে সাক্ষী থেকেছি আমাদের মহান দেশের প্রতি তাঁর দৃষ্টি, স্ফূর্তি, দায়বদ্ধতার। মোদীজির প্রতি আমার শ্রদ্ধা। জয় হিন্দ।''

গতকাল রাজ্যবর্ধন উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানে। তিনি নতুন মন্ত্রিসভাকে অভিনন্দন জানান ও অসাধারণ একটি মেয়াদের জন্য শুভেচ্ছা জানান।

তিনি লেখেন— ‘‘গত ৫ বছর দারুণ শিক্ষণীয় থেকেছে আমার কাছে। আমি সম্মান ও সুযোগ পেয়েছি অরুণ জেটলি, ভেঙ্কাইয়া নাইডু ও স্মৃতি ইরানির মতো সেরাদের সঙ্গে কাজ করার। তাঁদের প্রত্যেককে আমার শ্রদ্ধা। ''

মন্ত্রিসভা থেকে রাজ্যবর্ধন সরে যাওয়ার ফলে সরকারের দায়িত্ব থেকে তাঁর সরে যাওয়ার পাশাপাশি বিজেপির রাজস্থানের সংগঠনে তাঁর দায়িত্ব বাড়াতে পারে।

২০১৮ সালে সেখানকার দলীয় নেতৃত্বে বদল এনেছিল বিজেপি। বিধানসভা নির্বাচনে খারাপ ফলের পরেই এই পরিবর্তন করা হয়েছিল। কংগ্রেস জোট পেয়েছিল ১০০ আসন, বিজেপি পেয়েছিল ৭৩। ২০১৩ সালের প্রাপ্ত আসনের থেকে ৮৯টি আসন কম। দল বেছে নিয়েছিল বিধায়ক গজেন্দ্র সিংহ শাখাওয়াতকে। কিন্তু বহু নেতাই তাঁর নির্বাচনকে মেনে নেয়নি। তাঁদের মধ্যে ছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজেও। তাঁদের বক্তব্য ছিল, উচ্চবর্ণের রাজপুত অন্য সম্প্রদায়কে বিচ্ছিন্ন করে দেবেন, বিশেষ করে জাটদের।

এরপর মদনলাল সাইনিকে নিয়ে এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়েছিল। তবে রাজ্যবর্ধনের কেন্দ্রী মন্ত্রিসভা থেকে সরে যাওয়ায় সম্ভবত আবারও পরিবর্তন হবে সেখানকার নেতৃত্বে।

এবারের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী কৃষ্ণা পুনিয়াকে ৩.৮৯ লক্ষ ভোটে হারিয়ে জয়পুরে নিজের কেন্দ্রে আবারও জয় পেয়েছেন রাজ্যবর্ধন। 

.