দিল্লিতে (Delhi) সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে ঘিরে (Anti CAA Protest) দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হওয়া সংঘর্ষ পরে রণক্ষেত্রের রূপ নেয়। রাজধানীর ওই হিংসা (Delhi Violence) পরিস্থিতিকে বাগ মানাতে দিল্লি পুলিশ আপ্রাণ চেষ্টা করলেও উত্তেজিত জনতার কাছে মার খেতে হয় তাঁদের। উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে, করে লাঠিচার্জও, কিন্তু তা সত্ত্বেও হাজার হাজার মানুষ তাড়া করে তাঁদের। সম্প্রতি পুলিশের উপর গণরোষের (Mob Attacks on Police) এক ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে যাতে দেখা যাচ্ছে যে পুলিশ কর্মীরা অসহায় ভাবে মার খাচ্ছেন। লাগাতার পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টিতো চলেই, কোথাও কোথাও আবার দেখা যায় লাঠি নিয়ে পুলিশকে পেটাতে ছুটছেন মহিলারাও। ভিডিওতে দেখা যায়, জনতার তাড়া খেয়ে ছুটে পালাতে গিয়ে রাস্তার মাঝখানে থাকা ব্যারিকেডে আটকা পড়েন বেশ কিছু পুলিশ কর্মী। কেউ কেউ আবার ব্যারিকেড টপকে কোনওক্রমে পালিয়ে প্রাণ বাঁচান।
"ন্যায়বিচারের স্বার্থে" দিল্লি হিংসা-মামলার দ্রুত শুনানি হোক দিল্লি হাইকোর্টে: সুপ্রিম কোর্ট
২৪ ফেব্রুয়ারি, চাঁদবাগ এলাকায় দিল্লি পুলিশের উপর হামলা চালায় উত্তেজিত জনতা। ওই হামলার সময়েই পুলিশের হেড কনস্টেবল রতনলাল গুলিবিদ্ধ হন এবং ডিসিপি শাহদারা অমিত শর্মা এবং এসিপি গোকুলপুরী অনুজ কুমার গুরুতর আহত হন। ওইদিন সিএএ-র প্রতিবাদে অসংখ্য বিক্ষোভকারী চাঁদবাগে রাস্তা অবরোধ করেছিল। তখন পুলিশ তাদের বোঝাতে যায়, সেই সময়েই হামলা করা হয় পুলিশের উপর।
গত সপ্তাহে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথমে সংঘর্ষ বাঁধে, পরে সেই সংঘর্ষ ভয়ঙ্কর হিংসা পরিস্থিতির রূপ নেয়। দিল্লির ওই অশান্তির জেরে এখনও পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহতের সংখ্যা শতাধিক। বিজেপি নেতাদের বিদ্বেষমূলক প্ররোচনা তথা উস্কানির জেরেই দিল্লিতে হিংসা ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেন অনেকে। উত্তর পূর্ব দিল্লির বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ওই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর গোটা রাজধানীতেই আতঙ্ক ছড়ায়, পাল্লা দিয়ে ছড়ায় গুজবও। আর যাতে নতুন করে অশান্তি না ছড়ায় তার জন্যে ওই অঞ্চলগুলিতে টহল দিচ্ছে দিল্লি পুলিশ। গুজবে কান না দেওয়ার জন্যেও দিল্লিবাসীকে অনুরোধ করেছে পুলিশ।
দিল্লিতে যাঁরা মারা গেছেন তাঁরা করোনা ভাইরাসে মরেননি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
দিল্লির উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে হওয়া সহিংসতায় স্থানীয় অপরাধীরাও বড় ভূমিকা নিয়েছে বলে খবর। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতীকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাদের মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। ওই অপরাধীদের কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে বলেও জানা গেছে।