This Article is From Mar 20, 2020

দেশের আইন সংশোধন করা উচিত, এতদিন পর ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় বললেন নির্ভয়ার বাবা

Nirbhaya Case: নির্ভয়ার বাবা বদ্রীনাথ জানান, সমাজ নয়, সিস্টেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁর, দীর্ঘদিন আদালতে চক্কর কাটার পর শেষপর্যন্ত ফাঁসি হওয়ায় খুশি তিনি

দেশের আইন সংশোধন করা উচিত, এতদিন পর ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় বললেন নির্ভয়ার বাবা

Nirbhaya: ছেলে ও মেয়ের মধ্যে কোনও পার্থক্য করবেন না, জনগণের প্রতি আবেদন নির্ভয়ার বাবার

হাইলাইটস

  • দোষীদের ফাঁসি হওয়ায় আমি সন্তুষ্ট: নির্ভয়ার বাবা
  • লড়াই করতে করতে বুঝেছি যে বিচার ব্যবস্থায় কত গলদ আছে, বলেন তিনি
  • সরকার যাতে আইন সংশোধন করে তার জন্যেও আবেদন জানান তিনি
নয়া দিল্লি:

এতদিন পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন তিনি, গত কয়েক বছর সব কাজ শিকেয় তুলে টানা আদালতে চক্কর কেটেছেন, একটাই চাহিদা ছিল, তাঁর মেয়ের (Nirbhaya) মৃত্যুর অপরাধীরা যেন চরম শাস্তি পায়, তিনি বদ্রীনাথ, নির্ভয়ার বাবা। ২০১২ সালের একটি শীতের রাত তাঁর কাছে হয়তো চিরদিন দুঃস্বপ্ন হয়েই থাকবে, তবু এটুকুই শান্তি যে, যে মানুষ রূপী দানবরা তাঁর মেয়ের উপর শারীরিক নির্যাতন চালায় ও মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়, তাঁদের ফাঁসি শেষপর্যন্ত কার্যকর হয়েছে, না শত চেষ্টার পরেও আইনের ফাঁক গলে বাঁচতে পারেনি নির্ভয়া কাণ্ডের অপরাধীরা। শুক্রবার ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে দিল্লির তিহার জেলে নির্ভয়া গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের (Nirbhaya case) ৪ আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেন পবন জল্লাদ। এই চরম শাস্তিই তো চেয়েছিল নির্ভয়ার পরিবার। দোষীদের মৃত্যুদণ্ড (Nirbhaya Convicts Hanged) হওয়ায় খুশি নির্ভয়ার মা আশা দেবীও। বিচার বিভাগ ও সরকারকে ধন্যবাদ দিয়েছেন তিনি।

এই প্রথম দিল্লির তিহার জেলে একটি নির্দিষ্ট মামলায় একসঙ্গে ৪ অপরাধীর ফাঁসি হল, ভারতের ইতিহাসেও এই ঘটনা নজিরবিহীন। মৃত্যুদণ্ডের সাজা কার্যকর করা হল আসামি অক্ষয় ঠাকুর (৩১), পবন গুপ্তা (২৫), বিনয় শর্মা (২৬) ও মুকেশ সিংয়ের বিরুদ্ধে।

দীর্ঘ ৭ বছর পর ফাঁসিতে ঝোলানো হল নির্ভয়া কাণ্ডের ৪ আসামিকে

ফাঁসি হওয়ার পর প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে নির্ভয়া নামে পরিচিত দিল্লির প্যারা মেডিকেল ছাত্রীর বাবা বদ্রীনাথ বলেন গোটা দুনিয়া আজ ভাবছে যে ন্যায়বিচার শেষ পর্যন্ত মিলেছে। তবে সব ক্ষেত্রেই যে দেশে প্রতিহিংসা ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হওয়া মেয়েরা বা তাঁদের পরিবার সুবিচার পাবে এমন নিশ্চয়তা কিন্তু এখনই দেওয়া যাচ্ছে না, সেকথাও মনে করিয়ে দেন তিনি। কারণ একটাই, আমাদের দেশে যেমন আইন আছে তেমন আবার আইনের ফাঁক গলে বেঁচে যাওয়ার বেশ কিছু সুযোগও আছে। তাই এবার নারীদের উপর হওয়া ধর্ষণ বা নির্যাতনের ঘটনায় দেশের আইন সংশোধন করা উচিত, সরকারের প্রতি এই আহ্বানও জানান তিনি। তবে এই দীর্ঘ আইনি লড়াই করতে করতে বুঝতে পেরেছেন যে দেরিতে হলেও ন্যায় পেয়েছেন তিনি।

মৃত্যু আতঙ্কে রাতভর দু'চোখের পাতা এক করতে পারেনি নির্ভয়া কাণ্ডের সাজাপ্রাপ্তরা

নির্ভয়ার বাবা বদ্রীনাথ জানান, সমাজ নয়, সিস্টেমের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তাঁর। পাশাপাশি  ছেলে ও মেয়ের মধ্যে কোনও পার্থক্য না করার জন্যে দেশের জনগণের প্রতি আবেদন জানান তিনি। নির্ভয়ার মা আশা দেবী বলেন, "তবে এই ফাঁসির ফলে অন্তত সবাই এটা জানতে পারলো যে এমন ঘটনা যদি কেউ ঘটায় তাহলে তাঁকেও ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হবে। ফাঁসি হওয়ায় আমি খুশি,  আমার মেয়ের ছবির সামনে গিয়ে মনে মনে আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি, তাঁর অপরাধীরা চরম শাস্তি পেয়েছে, একথাও জানিয়েছি তাঁকে"।

২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে দিল্লির ২৩ বছর বয়সী এক প্যারা মেডিকেল ছাত্রীকে নির্মমভাবে গণধর্ষণ করে রাজপথে ছুঁড়ে ফেলে দেয় মোট ৬ দুষ্কৃতি। ওই ঘটনায় (2012 Delhi Rape Case) অভিযুক্ত ৬ জনের মধ্যে একজন নাবালক বলে সংশোধনাগার থেকে ৩ বছর পরে ছাড়া পেয়ে যায় । আরেক অভিযুক্ত রাম সিং জেলের মধ্যেই আত্মহত্যা করে। বাকি ৪ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে আদালত। সেই ফাঁসিই কার্যকর হয় শুক্রবার।

.