This Article is From May 28, 2020

মুখ্যমন্ত্রীর আমফান বিপর্যয় তহবিল! এক লক্ষ অনুদান বিশ্বভারতী অধ্যাপক সমিতির

বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশিকার বিরোধিতা করে বলা হয়েছে, অধ্যাপক সমিতি সেই নির্দেশিকায় সংশোধনীর পক্ষে। সেখানে স্বেচ্ছা অনুদানের ভিত্তিতে অর্থ সংগ্রহের পরিসর তৈরি করা হোক

মুখ্যমন্ত্রীর আমফান বিপর্যয় তহবিল! এক লক্ষ অনুদান বিশ্বভারতী অধ্যাপক সমিতির

২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয় একটা নির্দেশিকায় জারি করে বলা হয়, "প্রত্যেক বিভাগীয় সদস্যদের একদিনের বেতন কাটা হবে। সেই টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে বরাদ্দ করা হবে।

কলকাতা:

বিশ্বভারতী অধ্যাপক সমিতি ঘূর্ণিঝড় (Amphan Disaster) বিপর্যয় মোকাবিলা খাতে এক লক্ষ টাকা অনুদান দিল। বোলপুরের বিডিও'র মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ (Bengal CM's Relief Fund) তহবিলে সেই টাকা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার জানান অধ্যাপক সমিতির এক সদস্য। বিশ্ববিদ্যালয় (Viswa Bharati) অধ্যাপক সমিতির সদস্য সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেছেন, "আমরা এক লক্ষ টাকা সংগ্রহ করে ত্রাণ তহবিলে দিয়েছি। আগামিদিনে আরও অনুদান দেওয়া হবে।" ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয় একটা নির্দেশিকা জারি করেছিল। তাতে উল্লেখ, "প্রত্যেক বিভাগীয় সদস্যদের একদিনের বেতন কাটা হবে। সেই টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে বরাদ্দ করা হবে। আমফান বিপর্যয়ে দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে এই সিদ্ধান্ত।" বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষর করা সেই নির্দেশিকাতে আরও বলা, "প্রাপ্ত টাকা আগামী ৩ জুনের মধ্যে ত্রাণ তহবিলে দেওয়া হবে।" সেই নির্দেশিকা সংরক্ষিত রেখে অধ্যাপক সমিতি প্রস্তাব পাঠিয়েছিল। সেই প্রস্তাবে উল্লেখ, "বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের ব্যাক্তিগত স্তরে অনুদানের সুযোগ দেওয়া হোক। যার যেমন সামর্থ্য সেই অনুপাতে অর্থ সংগ্রহ করা হবে।"

সতর্ক কর্নাটক, কোভিড ১৯ আক্রান্ত ৫ রাজ্যের যেকোনও পরিবহণে নিষেধাজ্ঞা জারি

পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশিকার বিরোধিতা করে বলা হয়েছে, অধ্যাপক সমিতি সেই নির্দেশিকায় সংশোধনীর পক্ষে। সেখানে স্বেচ্ছা অনুদানের ভিত্তিতে অর্থ সংগ্রহের পরিসর তৈরি করা হোক। তাদের যুক্তি, "এর আগেও করোনা সংক্রমণের সঙ্গে লড়তে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মীসমিতি একমাসের বেতন প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করছিলেন। পাশাপাশি স্থানীয় দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ত্রাণ কাজে হাত লাগিয়েছে। তাই এই বিপর্যয়ের পরেও দুর্গতদের পাশে দাঁড়ান আমাদের নাগরিক কর্তব্য।" 

আমফানের পর চার-পাঁচদিন ধরে কলকাতা ও পার্শবর্তী এলাকায় বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের দাবিতে বিক্ষোভ হয়। এর আগে মানুষকে ধৈর্য রাখার আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জীবন আবার ছন্দে ফেরাতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে প্রশাসন।

মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, বিদ্যুৎ দফতরের ১৫,০০০ আধিকারিক, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের ৩০টি দল, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৪১টি দল এবং ৩৫টি দমকল বাহিনী ছাড়াও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ১,২৫,০০০ পুলিশ আধিকারিককে মাঠে নামিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।

.