This Article is From Aug 04, 2020

কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের একবছর পূর্ণ হতে চলেছে, ৪ ও ৫ অগাস্ট জারি কারফিউ

Kashmir curfew on August 4 and 5: শুধুমাত্র করোনা মোকাবিলা পরিস্থিতির সঙ্গে জড়িত অতি আবশ্যকীয় পরিষেবাদানকারী ব্যক্তিদের ছাড় দেওয়া হবে এই কারফিউ থেকে

Jammu and Kashmir Curfew: ৪ ও ৫ অগাস্ট কাশ্মীরে কার্ফু জারি করা হয়েছে (ফাইল চিত্র)

হাইলাইটস

  • ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল হয়
  • একবছর পূর্তি উপলক্ষে উপত্যকায় অশান্তি এড়াতে জারি করা হয়েছে কারফিউ
  • আজ অর্থাৎ ৪ অগাস্ট ও আগামিকাল অর্থাৎ ৫ অগাস্ট জারি কঠোর নিষেধাজ্ঞা
নয়া দিল্লি:

২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) নিয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ওইদিন উপত্যকা থেকে ৩৭০ ধারা (Article 370) বাতিল করে সেটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দেখতে দেখতে একবছর পূর্ণ হতে চললো তার। এই সময় জম্মু ও কাশ্মীরে অশান্তি রুখতে আজ অর্থাৎ ৪ অগাস্ট ও আগামিকাল অর্থাৎ ৫ অগাস্ট কারফিউ (Curfew) জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। শ্রীনগরের জেলা শাসক জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে এই খবর এসেছে যে কাশ্মীরে কিছু "বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং পাকিস্তানের মদতপুষ্ট কিছু গোষ্ঠী ৫ অগাস্ট দিনটিকে কালা দিবস হিসাবে পালন করার পরিকল্পনা করেছে"। "এই পরিস্থিতিতে এলাকায় বিক্ষোভ হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। সাধারণ মানুষের জীবনকে বিপন্ন করার জন্য সহিংস বিক্ষোভ হতে পারে বলে সুনির্দিষ্ট তথ্য হাতে এসেছে", ফলে এই পরিস্থিতিকে সামাল দিতে প্রশাসনের তরফ থেকে কাশ্মীর উপত্যকা জুড়ে কারফিউ (Kashmir Curfew) জারি করা হয়েছে।

"জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থাকলে ভোটে দাঁড়াবো না", বললেন ওমর আবদুল্লা

কোভিড-১৯ মহামারীজনিত পরিস্থিতিতে (Coronavirus) যাঁরা আবশ্যকীয় পরিষেবাগুলির সঙ্গে যুক্ত তেমন ব্যক্তিদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। 

মেহবুবা মুফতির কন্যা ইলতিজা কি রাজনীতিতে আসবেন? উত্তর দিলেন ইলতিজা নিজেই

গত বছরের ৫ অগাস্ট সংবিধানের ৩৭০ ধারা অনুযায়ী জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে কেন্দ্র। পাশাপাশি রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখে বিভক্ত করা হয়। সেই সময় অশান্তি এড়াতে উপত্যকার কয়েকশো রাজনৈতিক নেতাকে আটক অথবা গ্রেফতার করা হয়। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি সহ অনেক নেতা এখনও গৃহবন্দি অবস্থাতেই রয়েছেন।

এদিকে জম্মু ও কাশ্মীরের আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ, যাকে প্রায় আট মাস আটক করে রাখার পরে গত ১১ মার্চ মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, তিনি টুইট করেন, "২০১৯ এ শ্রীনগরের পরিস্থিতির তুলনায় এবার আরও ২৪ ঘণ্টা আগেই সব প্রস্তুতি সারা হয়েছে এবং আমার ধারণা, উপত্যকা জুড়ে সব জায়গাতেই একই কাজ করা হচ্ছে, সব জায়গাতেই কঠোর কারফিউতে জারি করা হয়েছে।"

গত বছরের ৫ অগাস্ট থেকে আটক অবস্থায় রয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। তাঁকে জননিরাপত্তা আইনে আরও তিন মাসের জন্য আটক করে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রের পদক্ষেপের বিরোধিতা করায় আটক করা হয় পিপলস কনফারেন্সের প্রধান সাজাদ লোনকেও। যদিও তাঁকে গত ৩১ জুলাই আটক অবস্থা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। কিন্তু পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রধান মুফতি এক বছরেরও বেশি সময় আটক থাকার পরেও তাঁকে কবে মুক্তি দেওয়া হবে সেসম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কিছুই বলেনি কেন্দ্র।

.