
Omar Abdullah: ২৪ মার্চ থেকে প্রায় ৮ মাস বন্দি ছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন এই মুখ্যমন্ত্রী
হাইলাইটস
- জম্মু ও কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করায় ক্ষুব্ধ ওমর আবদুল্লা
- তিনি এই অবস্থায় আর কখনো ভোটে দাঁড়াবেন না বলে ঘোষণা করলেন
- এর আগে প্রায় ৮ মাস বন্দি থাকতে হয়েছিল ওমর আবদুল্লা ও তাঁর বাবাকে
দেখতে দেখতে জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu & Kashmir) বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করার একবছর পূর্ণ হতে চললো। আগামী ৫ অগাস্ট ওই একবছর পূর্ণ হবে। কিন্তু সেই দিনগুলোকে কিছুতেই ভুলতে পারছেন না উপত্যকার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এবিষয়ে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি (Omar Abdullah) বলেছেন যে, "জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থাকলে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবো না।" কোনও ভনিতা না করে আবদুল্লা বলেন, "আমি খুব স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই যে জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থাকাকালীন আমার পক্ষে কোনও বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সম্ভব নয়। এই এলাকা থেকেই সবচেয়ে বেশিবার সাংসদ হওয়ার পরেও যেভাবে আমাদের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে তাতে কিছুতেই আর সাংসদের সদস্য হতে পারবো না আমি।"
গত বছরের ৫ অগাস্ট, কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার এবং দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। সরকার যুক্তি দিয়েছিল যে ৩৭০ অনুচ্ছেদ (Article 370) এবং ৩৫ এ ধারা, দুটোই "সাংবিধানিকভাবে দুর্বল" এবং বৈষম্যমূলক ছিল এবং এটি জম্মু ও কাশ্মীরের বিকাশকে বাধা দিয়েছে।
তারপরেই নিরাপত্তা ও অশান্তি এড়ানোর যুক্তিতে তখন থেকেই সেখানে ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা সহ নানা নানা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। আটক করা হয় রাজনৈতিক নেতাদের। তাঁদের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীরাও রয়েছেন। পরে ওই ৩ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা, তাঁর ছেলে ওমর আবদুল্লা এবং মেহবুবা মুফতিকে জননিরাপত্তা আইনের আওতায় এনে তাঁদের বন্দিদশার মেয়াদ বাড়ানো হয়।
পরে যদিও গত ২৪ মার্চ ওমর আবদুল্লা প্রায় আট মাস বন্দিদশার পরে মুক্তি পান। তার আগের দিন অর্থাৎ ২৩ মার্চ মুক্তি দেওয়া হয় ওমরের বাবা এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাকেও। তবে আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এখনও আটক রয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে ওমর আবদুল্লা বেশ সোমবার একটি টুইটও করেন। তিনি লেখেন. "সংসদের মাধ্যমে যখন ৩৭০ অনুচ্ছেদটি পুরোপুরি এখান থেকে রদ করা হল, তখন অনেকগুলো যুক্তি দেওয়া হয়েছিল এর পক্ষে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল তার কোনওটাই পূরণ হচ্ছে না। বরং সন্ত্রাসবাদ মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে, বিনিয়োগের অভাব দেখা দিচ্ছে বা মানবিক উন্নয়নের সূচকগুলি নিম্নমুখী হচ্ছে।"
"Many reasons were given to justify the complete dilution of Article 370 when it was being rammed through Parliament, none stands the test of basic scrutiny. Whether on fuelling terrorism; lack of investment; or human development indices"
— Omar Abdullah (@OmarAbdullah) July 27, 2020
যখন ওমর আবদুল্লা সহ অন্যদের বন্দি বানানো হলো সেই দিনের কথা উল্লেখ করে ফারুকের ছেলে লেখেন,
"সেদিন সকালে আমার টেলিভিশন সেটে যা দেখছিলাম তা মেনে নেওয়া এককথায় অসম্ভব। সেই সময় আমাকে রাতারাতি গৃহবন্দি করে হয়েছিল এবং বলা হয়েছিল যে আমাকে সরকারি অতিথিশালায় স্থানান্তরিত করা হবে।"