This Article is From May 30, 2020

লকডাউনের পর ঘুরে দাঁড়াতে রাজ্যের চা শিল্পে জোর, ১০০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ শুরু ১ জুন থেকেই

West Bengal: পশ্চিমবঙ্গ সরকার ঠিক সময়ে ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেই মনে করছে টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া

লকডাউনের পর ঘুরে দাঁড়াতে রাজ্যের চা শিল্পে জোর, ১০০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ শুরু ১ জুন থেকেই

West Bengal Tea Garden: রাজ্যের চাবাগানগুলোতে ১ জুন থেকে পুরোদমে কাজ করার অনুমতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী (ফাইল চিত্র)

হাইলাইটস

  • ১ জুন থেকেই পুরোদমে কাজ শুরু হতে চলেছে রাজ্যের চা শিল্পে
  • শুক্রবারই সাংবাদিক সম্মেলন করে সেই অনুমতি দেন মুখ্যমন্ত্রী
  • মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্তে খুশি চা বাগানের মালিকরাও
কলকাতা:

১ জুন থেকেই ধীরে ধীরে (Coronavirus Lockdown) স্বাভাবিক ছন্দে ফিরুক পশ্চিমবঙ্গ, এমনটাই চান রাজ্যের (West Bengal) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই লক্ষ্যেই শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি (Mamata Banerjee) ঘোষণা করেন, আগামী ১ জুন থেকেই রাজ্যের চা বাগানগুলোতে (Tea Garden) ১০০ শতাংশ কর্মী নিয়ে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু হবে। গোটা দেশের মতো এরাজ্যেও করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এই কোভিড- ১৯ সঙ্কটের সময় সতর্ক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার চা বাগানগুলোতে কর্মী সংখ্যা কমিয়ে ২৫ শতাংশ করে দিয়েছিল। পরে অবশ্য সেই সংখ্যা থেকে বাড়িয়ে শতকরা ৫০ ভাগ কর্মী নিয়ে চাবাগানের কাজ চালানোর অনুমতি দেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এবার রাজ্যের অন্যতম বড় শিল্প চা শিল্পে ১০০ শতাংশ কর্মী নিয়েই কাজ চালু করার অনুমতি দিয়েছেন তিনি। তবে পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন, যাই করা হোক না কেন, সবই করোনা সতর্কতা মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সহ, মাস্ক-স্যানিটাইজার ব্যবহার করেই করতে হবে। 

১ জুন থেকে খুলছে মন্দির-মসজিদ-গির্জা, ৮ জুন থেকে খুলছে সমস্ত অফিস: মুখ্যমন্ত্রী

তবে এতদিনের দমবন্ধ পরিস্থিতির মধ্যে আগামী ১ জুন থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর অনুমতি পেয়ে অনেকটাই স্বস্তিতে দার্জিলিং। উত্তরবঙ্গ চা শিল্প মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। আসলে তাঁরা অনেকদিন ধরেই চাইছিলেন চা শিল্পের কাজ ফের আগের মতোই শুরু করতে। ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের (আইটিএ) প্রধান সম্পাদক অরিজিৎ রাহা বলেন, "আমরা রাজ্য সরকারের ১০০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ শুরু করার বিষয়ে দেওয়া এই অনুমতিকে স্বাগত জানাই"।

"সাংঘাতিকভাবে ভুগতে হচ্ছে": জাতির উদ্দেশে চিঠিতে পরিযায়ীদের প্রসঙ্গে লিখলেন প্রধানমন্ত্রী

আইটিএ অনুমান করছে যে চলতি লকডাউনের কারণে চা শিল্পের বেশ বড়সড় পরিমাণে ক্ষতি হয়েছে। প্রায় ১৪০ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদনে ঘাটতি হয়েছে। ওই সংস্থা মনে করে করোনা সঙ্কটের কারণে অসম ও পশ্চিমবঙ্গ মিলিয়ে শুধুমাত্র চা শিল্পের ক্ষেত্রেই দেশের প্রায় ২,১০০ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হতে চলেছে। অরিজিৎ রাহা বলেন, অসম সরকারও ইতিমধ্যেই ১০০ শতাংশ কর্মী নিয়ে চা শিল্পে কাজ শুরু করার অনুমতি দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাতে গোটা চা শিল্পের ক্ষেত্রে ভালো খবর। কেননা পুরো শক্তি নিয়ে কাজে নামলে ফের ভালো উৎপাদন হবে। কেননা দেশই শুধু নয়, বিদেশের বহু জায়গাতেই উত্তরবঙ্গের চা-এর চাহিদা সবসময়ই আছে। 

আইটিএ জানিয়েছে, এখন সময় এই শিল্পের উৎপাদনে যে ক্ষতি হয়েছে তা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে নতুন করে বেশি বেশি উৎপাদন করা। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ঠিক সময়ে ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেই মনে করছে টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া ।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.