This Article is From May 04, 2020

করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত তথ্যে গলদ রয়েছে স্বীকারোক্তি রাজ্য সরকারের

যদি ৭২ জন অজানা সংক্রমণে মৃত্যু যোগ করা হয়, তাহলে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ায় ১৩৩, যদিও সেই সংখ্যা যোগ করতে রাজি নয় রাজ্য সরকার

করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত তথ্যে গলদ রয়েছে স্বীকারোক্তি রাজ্য সরকারের

সোমবার রাজ্য সরকার ঘোষণা করে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬১ (প্রতীকি)

কলকাতা:

করোনা ভাইরাস (Coronavirus) নিয়ে তথ্য সংগ্রহে কিছু গলদ রয়েছে বলে প্রথমবার স্বীকার করল রাজ্য সরকার, এবং ফাঁকফোঁকর দিয়ে কিছু পরিসংখ্যানও বাদ পড়ে গিয়েছে বলেও জানানো হল রজ্যের তরফে। এদিন দৃঢ়ভাবে করোনা ভাইরাস নিয়ে লাগাতার মৃত্যু ৭২ পৌঁছানোর অভিযোগ অস্বীকার করে দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা (Chief Secretary), করোনা ভাইরাসের মৃতদের অজানা রোগে বা সংক্রমণে মৃত্যু বলে চিহ্নিত করেছে বিতর্কিত অডিট কমিটি। মুখ্যসচিব বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ জন করোনা রোগির মৃত্যু হয়েছে, ফলে এ রাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬১। ৩৩ জনের করোনা ভাইরাস নিশ্চিত করেছে অডিট কমিটি।

যদি ৭২ জন অজানা সংক্রমণে মৃত্যু যোগ করা হয়, তাহলে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ায় ১৩৩, যদিও সেই সংখ্যা যোগ করতে রাজি নয় রাজ্য সরকার।

রাজ্যে কোনও লাল জেলা নেই, জানাল রাজ্য সরকার

২৪ এপ্রিল রাজীব সিনহা বলেন, মৃত্যু সংক্রান্ত অডিট কমিটি ১০৫টি করোনা মৃত্যুর পরীক্ষা করেছে, যদিও সেটি তৈরি হয় ৩ এপ্রিল। ১০৫ জনের মধ্যে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে শুধুমাত্র করোনার কারণেই। বাকি ৭২ জনের অজানা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে এবং করোনা শুধুমাত্র “ঘটনাচক্র”।

দুরকম পরিসংখ্যান নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মুক্যসচিব বলেন, “আমরা মৃত্যু নিয়ে দুরকম তথ্য দিই নি। করোনার কারণেই মৃত্যু নিয়ে অডিট কমিটি আমাদের যে রিপোর্ট পেশ করেছে, আমরা সেটাই জানাচ্ছি”।

সাংবাদিক সম্মেলনে রাজীব সিনহা বলেন, “আমরা আফনাদের সঠিক তথ্য (৭২) জানাচ্ছি। অজানা সংক্রমণে মৃত্যু আর আমাদের কাছে আসে না কারণ হাসপাতালগুলিকে অজানা সংক্রমণে মৃত্যু জানাতে বারণ করা হয়েছে...ফলে তারা মৃত্যুর খবর জানাচ্ছে এবং আমরা তা জানাচ্ছি। এখানে সমসম্যাটা কোথায়?”।

ফলে এখন থেকে যে সমস্ত করোনা রোগির অন্য কোনও রোগে মৃত্যু হবে, তাঁদের খবর আর  জানাবে না হাসপাতালগুলি।

বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফেরানো শুরু ৭ মে, জানাল কেন্দ্র

সোমবার রাজ্যের মুখ্যসচিব বলেন, “ আমরা গততিনদিনে তথ্য দিইনি, কারণ জানানোর বিষয়টি খুবই জটিল। কোনওসময় দেখা গিয়েছে, আমরা তথ্য জানানোর পরে করোনা রোগী এসেছে, ফলে সেগুলি ধরা হয়নি। এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়”। তাঁর কথায়, “যে ব্যবস্থা আমরা করেছি, আমরা মনে করেছিলাম, এটা পুরোপুরি নির্ভরযোগ্য, যদিও সমস্ত ব্যবস্থা গতিশীল এবং উন্নতি হয়েছে আমাদের শেখার মাধ্যমে”। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “এখন আমরা চেষ্টা করছি, যাতে ফাঁকফোঁকর দিয়ে কোনও তথ্য না গলে যায়”।

সোমবার রাজ্য সরকার ঘোষণা করে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬১, ফলে এ রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৯০৮। শুক্রবার স্বাস্থ্যসচিব এবং স্বাস্থ্য বিভাগের পরষ্পরবিরোধী তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরেই বিতর্ক দানা বাঁধে। সপ্তাহভর কোনও তথ্য দেয়নি রাজ্য।

.