This Article is From Apr 26, 2020

রাজ্যে করোনা আক্রান্ত বেড়ে ৪৬১, নতুন করে আক্রান্ত ৩৮, মৃত বেড়ে ২০

শনিবার রাতে সংক্রমিত অবস্থায় স্বাস্থ্য দফতরের সহ-অধিকর্তা তথা চিকিৎসক বিপ্লবকান্তি দাশগুপ্তের মৃত্যু হয়

রাজ্যে করোনা আক্রান্ত বেড়ে ৪৬১, নতুন করে আক্রান্ত ৩৮, মৃত বেড়ে ২০

রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১০,৮৯৩ জনের (প্রতীকি ছবি)

কলকাতা:

করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) প্রভাবে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪৬১, নতুন করে আক্রান্ত ৩৮ জন, রবিবার এমনটাই জানিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর (West Bengal Heath Department)। নতুন করে এই ভাইরাসের বলি হয়েছে ২ জন, ফলে এ রাজ্যে করোনার প্রভাবে মৃত বেড়ে ২০ বলে জানানো হয়েছে রাজ্যের তরফে। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১০,৮৯৩ জনের, তারমধ্যে নতুন করে ১,০১৩ জনের করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে রাজ্যের তরফে। শনিবার রাতে সংক্রমিত অবস্থায় স্বাস্থ্য দফতরের সহ-অধিকর্তা তথা চিকিৎসক বিপ্লবকান্তি দাশগুপ্তের মৃত্যু হয়। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

দীর্ঘমেয়াদি বহু মানুষকে গরীবীর দিকে ঠেলে দেবে, বললেন প্রাক্তন আরবিআই গর্ভনর

জানা গিয়েছে, মৃত চিকিৎসকের স্ত্রী-ও সংক্রমিত। চিকিৎসকের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে, চিকিৎসক ফোরাম এই মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত পিপিই কিটের আয়োজন রাখতে আবেদন করেছে এই সংগঠন। জানা গিয়েছে, মৌলালির সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরের সহ-অধিকর্তা ছিলেন এই চিকিৎসক বিপ্লবকান্তি দাশগুপ্ত।

এদিকে, করোনা ভাইরাস লকডাউন নিয়ে সোমবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিশেষ করে পূর্ব ও উত্তর পূর্বের রাজ্য মিলিয়ে মোট ৯টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন সেই বৈঠকে। বেশ কিছু ক্ষেত্রের জন্য ২০ এপ্রিল থেকে যে ছাড় দেওয়া হয়েছে, তা নিয়েও আলোচনা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রীরা, এছাড়াও পরীক্ষার কিট এবং চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিয়েও আলোচনা হতে পারে।  সকাল ১০টায় শুরু হবে ভিডিও কনফারেন্স, সেখানেই লকডাউন বাড়ানো নিয়ে পর্যালোচনা হবে। কীভাবে পর্যায়ক্রমে পরবর্তী পদক্ষেপ করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হবে ভিডিও কনফারেন্সে।

করোনা আক্রান্ত কর্মী, সিল করা হল দিল্লির আরও একটি হাসপাতাল

কেন্দ্রের থেকে রাজ্যগুলি আর্থিক প্যাকেজের দাবি জানাতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে, এছাড়াও রাজকোষ সম্পর্কিত আইনের সংশোধনেরও দাবি উঠতে পারে। যেহেতু বর্তমান পরিস্থিতিতে ত্রাণের ব্যাপক প্রয়োজন এবং বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পড়া অতিমারীর মোকাবিলায় বড় অঙ্কের টাকা খরচ হবে, ফলে, রাজকোষ ঘাটতির সম্ভাবনা রয়েছে।

.