This Article is From Mar 25, 2020

২১ দিনের লকডাউন! ওয়ার্ক ফ্রম হোমে মজে বাংলার রাজনীতিবিদরাও

জনসংযোগ গড়তে এবার মানুষের দরবারে না বরং বাড়িকেই বেছে নিলেন বাংলার রাজনীতিবিদরা।

২১ দিনের লকডাউন! ওয়ার্ক ফ্রম হোমে মজে বাংলার রাজনীতিবিদরাও

২১ দিনের লকডাউনে শুনশান কলকাতা। (ফাইল ছবি)

কলকাতা:

জনসংযোগ গড়তে এবার মানুষের দরবারে না বরং বাড়িকেই বেছে নিলেন বাংলার রাজনীতিবিদরা। দলমত নির্বিশেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ঘরে থেকেই মানুষের কাজ করবেন তাঁরা। প্রয়োজনে সাহায্য নেওয়া হবে সোশাল মিডিয়ার। সোশাল মিডিয়ার সাহায্যেই কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হবে। ডান-বাম সব পক্ষ থেকে এমনটাই জানা গিয়েছে। রাজ্যে করোনা সংক্রমণের মাত্রা আর তার জেরে মৃত্যুর ঘটনাকে বিবেচনার মধ্যে রেখে সব রাজনৈতিক কর্মসূচি স্থগিত রেখেছে শাসক-বিরোধী পক্ষ। বিপর্যয় থেকে মুক্তি না মিললে, আয়োজন করা হবে না কোনও জমায়েত, পদয়াত্রা। এমনটাই জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি, বাম ও কংগ্রেস। এবার সেই সামাজিক দূরত্ব বজায়ের পরিসর আরও বাড়াতে গৃহবন্দি থেকেই মানুষের কাজ করতে উদ্যোগ নিলেন নেতারা। বুধবার সিপিআই(এম) নেতা মহম্মদ সেলিম বলেছেন, আমরা কর্মী ও সমর্থকদের নিরাপদ ও সজাগ থাকতে বলেছি। ফোনে আর সামাজিক মাধ্যমে আমরা যোগাযোগ রেখে চলেছি। আমাদের জেলা ও রাজ্য দফতরগুলোয় ন্যূনতম কর্মী-সমর্থক কাজ করছেন। প্রয়োজনে সেগুলোয় তালা ঝুলবে। তাঁর দাবি, "দলের তরুণ কর্মী-সমর্থকরা স্থানীয়ভাবে হোয়াটজ অ্যাপ গ্রুপ খুলেছেন। এলাকার অসুস্থ, প্রবীণ নাগরিকদের চাহিদা মেটাতে সেই গ্রুপগুলো সক্রিয়।" 

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এবার ব্রিটেনের যুবরাজ চার্লস

বিজেপি সভাপতি এবং দলীয় সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেছেন, আমি ফোনেই সব কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আগামী ২১ দিন সব দলীয় কার্যালয় বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকি, সব রাজ্য নেতা ও কর্মীদের ঘরে থেকেই কাজ করতে বলা হয়েছে। এই ২১ দিন আপনার রুটিন কী? এই প্রশ্ন দিলীপ ঘোষকে করা হয়েছিল। তিনি জবাবে বলেন, "বই পড়া, দলীয় পত্রিকাতে চোখ রাখা আর করোনা সংক্রমণ সম্পর্কিত খবরে নজর রাখা।"

"২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৫ জন করোনা সংক্রমিত দিল্লিতে", জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

একই সুর শোনা গিয়েছে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের গলাতে। এদিকে রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেছেন, মন্ত্রীরাও বাড়ি থেকে দফতরের কাজ সামলাচ্ছেন। অত্যন্ত জরুরি হলে ফোনেই আধিকারিকদের নির্দেশ দিচ্ছেন। তিনি বলেছেন , বাড়িতে বসে পরিবারের সঙ্গেই সময় কাটাচ্ছি। বাইরের কারও সঙ্গে সাক্ষাৎ বন্ধ রেখেছি। 

.