This Article is From Jun 08, 2020

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাস বাসা বাঁধলো আরও ৯,৯৮৩ জনের শরীরে

Coronavirus: সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এই ভাইরাসের প্রকোপে মৃত্যু হয়েছে মোট ৭,১৩৫ জনের, দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২,৫৬,৬১১ জন

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাস বাসা বাঁধলো আরও ৯,৯৮৩ জনের শরীরে

Coronavirus Cases: করোনা আক্রান্তের বিচারে বিশ্বের মধ্যে এখন পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারত

হাইলাইটস

  • দেশে লাগাতার বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা
  • এই সংক্রমণের মধ্যেই খুলে দেওয়া হল শপিং মল, রেস্তোরাঁ, ধর্মীয় স্থানগুলো
  • ভারতে মোট করোনা আক্রান্ত ২,৫৬,৬১১ জন
নয়া দিল্লি:

প্রতিদিনই ভারতে করোনা ভাইরাস (Coronavirus Cases) যেন আরও বেশি করে শক্তি বৃদ্ধি করে জাঁকিয়ে বসছে। সোমবার যে পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক তাতে দেখা যাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে (Coronavirus Cases Today) নতুন করে করোনায় (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৯,৯৮৩ জন। এর ফলে ওই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ২.৫৬ লক্ষ পেরিয়ে গেল। এদিকে গত প্রায় ২ মাস ধরে লকডাউন চালানোর পরেও করোনা সংক্রমণ রোখা যায়নি। আজ (সোমবার) থেকেই তাই বেশ কয়েকটি বিষয়ে লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশে বাড়তে থাকা করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই খুলে গেল শপিং মল, রেস্তোরাঁ, ধর্মীয় স্থানগুলো। এই নিয়ে টানা ৬ দিন একদিনে ৯,০০০ এরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেন কোভিড- ১৯ এ। করোনা আক্রান্তের বিচারে বিশ্বের মধ্যে এখন পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারত। 

করোনার সঙ্গে এবার মুখোমুখি যুদ্ধ, শপিং মল, হোটেল এবং ধর্মীয় স্থান খুললেও সতর্ক থাকুন

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এই ভাইরাসের প্রকোপে মৃত্যু হয়েছে মোট ৭,১৩৫ জনের, দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২,৫৬,৬১১ জন, যার মধ্যে চিকিৎসা সহায়তায় যদিও সুস্থ হয়েছেন মোট ১,২৪,০৯৫ জন। ওই মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন ২০৬ জন।

দ্রুতহারে বাড়ছে সংক্রমণ, গত একদিনে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত আরও ৪৪৯ জন

তবে ভারতে পুনরুদ্ধারের হার বাড়ায় আশার আলো দেখছেন অনেকেই। ওই মারণ রোগের সঙ্গে লড়াই করে বর্তমানে সুস্থ জীবনে ফিরে গেছেন ৪৮.৩৫ শতাংশ রোগী এবং দৈনিক এই বৃদ্ধির হার গড়ে ৩.৮৯ শতাংশ।

দেশের কনটেইনমেন্ট জোনগুলি ছাড়া মোটামুটি গোটা দেশই এখন হাঁটছে আনলক ১ এর মধ্যে দিয়ে। এই পরিকল্পনার অধীনে খুলে গেছে দেশের সমস্ত সরকারি-বেসরকারি অফিস, ফিরছে কর্মসংস্কৃতি। আজ (৮ জুন) থেকেই খুলে যাচ্ছে  শপিং মল, রেস্তোরাঁ, ধর্মীয় স্থানগুলোও।

দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী রয়েছে। শুধু ওই রাজ্যেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫,০০০ ছাড়িয়ে গেছে। সেরাজ্যে ৩,০০০ এরও বেশি মানুষ মারা গেছেন ওই মারণ রোগে ভুগে। মহারাষ্ট্রের মধ্যে আবার সবচেয়ে বেশি করোনার প্রকোপ দেখা দিয়েছে মুম্বইয়ে। 

মহারাষ্ট্রের পরেই রয়েছে তামিলনাড়ু এবং দিল্লি। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশের মোট সংক্রমণের প্রায় ৭০ শতাংশ এবং মোট মৃত্যুর প্রায় ৭৮ শতাংশই রয়েছে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, দিল্লি, গুজরাট এবং রাজস্থানে। এই ৫টি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ রাজ্যের পরেই রয়েছে উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশ, যেখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দশ হাজারের কাছাকাছি।

এখন আর ঘরবন্দি থেকে করোনাকে এড়ানো নয়, এবার লড়াই পথে নেমে ওই ভয়ঙ্কর ভাইরাসের সম্মুখীন হয়ে তাকে হারানো। আর এর জন্যে যেটা সবচেয়ে আগে প্রয়োজন তা হল, করোনা সংক্রমণকে আটকাতে নেওয়া সতর্কতা। প্রত্যেককে আবশ্যিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, আধ ঘণ্টা অন্তর স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুতে হবে, বড় জনসমাগম করা যাবে না, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং সবরকমভাবে সতর্ক থাকতে হবে। 

.