This Article is From Sep 04, 2019

১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইডি হেফাজতে কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমার

তদন্তে সহযোগিতা না করার অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডিকে শিবকুমারকে গ্রেফতার করে ইডি (ED)।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডিকে শিবকুমারকে গ্রেফতার করে ইডি

হাইলাইটস

  • মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডিকে শিবকুমারকে গ্রেফতার করে ইডি
  • কর্ণাটকে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করে কংগ্রেস
  • গত বছর তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরূপের মামলা রুজু করে ইডি
নয়াদিল্লি:

১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হেফাজতে কংগ্রেস নেতা তথা ক্রাইসিস ম্যানেজার ডিকে শিবকুমার (DK Shivakumar)। তদন্তকারীদের তরফে তাঁকে ১৪ দিনের হেফাজত চাওয়া হয়, যদিও ১০ দিনের হেফাজত মঞ্জুর করে আদালত। পাশাপাশি ধৃত কংগ্রেস নেতার পরিবারের সদস্য ও আইনজীবী প্রতিদিন আধঘন্টার জন্য তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন বলেও জানিয়েছে আদালত। তদন্তে সহযোগিতা না করার অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডিকে শিবকুমারকে গ্রেফতার করে ইডি (ED)। তদন্তকারী সংস্থার যুক্তির পাল্টা শিবকুমার দাবি করেন, অপরাধ স্বীকার না করা মানেই অসহযোগিতা করা নয়। শিবকুমারের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, “অভিযুক্ত অপরাধ স্বীকার করছেন না, সেটাকে কি অসহযোগিতা বলা যায়? ব্যক্তিগত স্বাধীনতা কোথায়”? পি চিদাম্বরমকে গ্রেফতার করে সিবিআই, তাঁর পক্ষেও আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি।

আর্থিক তছরূপের অভিযোগে গ্রেফতার কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমার

আদালতে অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, “গত চারদিন ধরে তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হচ্ছে। তিনি তদন্তে যোগ দেন, যদিও ইডি বলছে তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন না...ইডি বলছে, তিনি সত্য প্রকাশ করছেনা...সত্যটা কী এখানে ? সত্যটা কি তদন্তকারী সংস্থা নাকি অভিযুক্তের তরফে হবে?যদি সত্য মানে, তদন্তকারী সংস্থার মনমতো হয়, তাহলে এখানে সবাই গ্রেফতার হবে”

শিবকুমারের গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে কর্ণাটকসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ করে কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, শিবকুমারের গ্রেফতারি কেন্দ্রের “প্রতিহিংসার রাজনীতি”, এবং “ব্যর্থ নীতি ও অর্থনীতির দুরবস্থা থেকে নজর ঘোরানো”-র পদক্ষেপ।

শুক্রবার দিল্লি উড়ে আসেন কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমার, চারদিন ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর, তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার তাঁকে, বিশেষ বিচারক অজয় কুমার কুহারের এজলাসে তোলা হয়।

সিদ্ধারামাইয়া সরকারের পাশাপাশি এএইচডি কুমারস্বামীর জোট সরকারের মন্ত্রী ছিলেন ডিকে শিবকুমার। কর্ণাটক হাইকোর্টে তাঁর করা মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ হয়ে যায়, এবং গ্রেফতারি থেকে তাঁর সুরক্ষাও মঞ্জুর হয়নি, তারপরেই গ্রেফতার হন তিনি।

“প্রতিহিংসার রাজনীতি”, ডিকে শিবকুমারের গ্রেফতারি নিয়ে বললেন রাহুল গান্ধি

গত বছর ডিকে শিবকুমারসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরূপের মামলা দায়ের করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাঁর বাড়িসহ ৬০টি এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ৩০০ কোটি টাকা “হিসাব বর্হিভূত” আয়ের সন্ধান মেলে দাবি করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে কোটি টাকার কর ফাঁকি এবং হাওয়ালা লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়।

ডিকে শিবকুমার এবং তাঁর অভিযুক্ত ঘনিষ্ঠ এসকে শর্মার বিরুদ্ধে হিসাব বর্হিভূত টাকা “হাওয়ালা” চক্রের মাধ্যমে লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে।

.